ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

রোহিঙ্গা সঙ্কটের সমাধান কূটনৈতিকভাবেই হবে ॥ কৃষিমন্ত্রী

প্রকাশিত: ০২:১০, ২১ সেপ্টেম্বর ২০১৭

রোহিঙ্গা সঙ্কটের সমাধান কূটনৈতিকভাবেই হবে ॥ কৃষিমন্ত্রী

স্টাফ রিপোর্টার ॥ কৃষিমন্ত্রী বেগম মতিয়া চৌধুরী বলেছেন, দুটি বন্যার ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে না উঠতেই দেশে রোহিঙ্গাদের ঢল নামে। রোহিঙ্গা সঙ্কটের সমাধান কূটনৈতিকভাবেই হবে। তবে এখন অনেকেই নানাভাবে পরামর্শ দিচ্ছেন। তাদের সময়েও রোহিঙ্গা এসেছে। তারা কিন্তু কিছু করেনি। তিনি বলেন, আউশের ফলন গতবছরের চেয়ে ৫ লাখ টন বেশি হয়েছে। তেমন কোন বালামছিবত না হলে আমনের ফলনও কৃষক ঘরে তুলবে। বন্যার আগে অবশ্য আমরা চাল রফতানি করতাম। এখন চাল আমদানি করতে হচ্ছে। হটাৎ ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে একটি খবর ছাপানো হলো। সিল স্বাক্ষর ছাড়া কাগজ দেখেই ভারত চাল রফতানি করবে না বলে খবর ছড়িয়ে দেওয়া হলো। পরবর্তীতে অবশ্য প্রমাণ হয়েছে যে ওই খবরটি ভুল। খারাপ ঘটনা ঘটলেই তো আপনি নিউজ করবেন। যেটা ঘটে নাই সেটা তো খবর নয়। সেটা আপনার কষ্ট কল্পনা। অথবা আপনার দূরভিসন্ধিমূলক কোন উদ্দেশ্য। বৃহস্পতিবার সকালে ঢাকা রিপোর্টাস ইউনিটিতে অপরাজেয় বাংলা আয়োজিত ‘দেশী-বিদেশী কুচক্রী মহলের ষড়যন্ত্র এবং অবৈধ পন্থায় সরকার পতনের অপচেষ্টায় লিপ্ত সকল গণশত্রুদের অপকর্মের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ সভা’য় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। কৃষিমন্ত্রী বলেন, আওয়ামী লীগ গঠিত হওয়ার পর সাময়িকভাবে থমকে যাওয়ার ইতিহাস আছে, হারার ইতিহাস নেই। ২১ আগস্টের ঘটনা প্রসঙ্গে খালেদা বলেছিল ওনি (শেখ হাসিনা) ব্যানিটি ব্যাগে করে গ্রেনেড নিয়ে গেছে। ওই ঘটনা নিয়ে সংসদেও আলোচনা হতে দেন নি তিনি। খালেদা জানে না গ্রেনেডের ওজন কতো। সদ্য ক্ষমতা ছাড়ার পরও ওয়ান এলিভেনের সময় প্রথমে শেখ হাসিনাকে গ্রেফতার করা হয়। শেখ হাসিনাকে গ্রেফতারের পর কেবল ঢাকা শহরে মাত্র ৭ দিনে ২৫ লাখ গণ স্বাক্ষর সংগ্রহ করা হয়। এরপর অনেকেই বুঝতে সক্ষম হয়েছে আওয়ামী লীগকে সহজে ধ্বংস করা যাবে না। তিনি বলেন, হাসিনা সরকারের কর্মকান্ড কিন্তু নিন্মমুখী নয়; উর্ধ্বমূখী। বিএনপি যখন বুঝতে পারলো আওয়ামী লীগকে নির্বাচনে পরাজিত করতে পারবে না তখন টানা ৯২ দিন আগুন সন্ত্রাসে লিপ্ত হল। কোকোর মৃত্যুতে তার বড় ভাই তারেক রহমান কিন্তু জানাযাতেও অংশ নেয় নি। শেখ হাসিনা শোক সন্তপ্ত পরিবারকে দেখতে গেলেন, তাকেও বাড়িতে ঢুকতে দেওয়া হয়নি। খালেদা ভেবেছিলেন- এসব করে তিনি ক্ষমতা দখল করবেন। তাকে কেউ চেয়ারে বসিয়ে দেবে। তিনি আরও বলেন, খালেদা বিদেশে গেলেন। বললেন ১৫ তারিখ আসবেন। তিনি এখনও আসেন নি। কবে আসবেন কেউ জানে না। এখন বলছেন ডাক্তারের অ্যাপয়নমেন্ট পেলে আসবেন। আরে বিদেশের ডাক্তাররা তো গলির মোড়ের ডাক্তার নয় যে তারা অ্যাপয়মেন্ট দিয়ে রোগী দেখবেন না। আপনার অন্য কিছু স্বপ্ন ছিলো। সেটা ঘটে নাই। তাই ডাক্তারের অ্যাপয়নমেন্টও মিলে নাই। এখন হয়তো তিনি অন্য কিছুর জন্য অপেক্ষা করছেন। বিশেষ অতিথির বক্তব্যে খাদ্যমন্ত্রী অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম বলেন, রোহিঙ্গাদের যখন কূটনৈতিকভাবে ফিরিয়ে দিতে পারবো বলে প্রত্যাশা করতে পারছি তখনও ষড়যন্ত্র থেমে নেই। সেই অবস্থায় দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে কেউ কেউ। দেশের সমস্ত মানুষ যখন এই ইস্যুতে একতাবদ্ধ তখন বিএনপি ‘আলোচনার’ কথা বলছে। কোন ইস্যুতেই তাদের সঙ্গে সংলাপের প্রশ্ন উঠে না। তিনি বলেন, সমস্ত জাতি যখন নির্বাচনের জন্য প্রস্তুত হচ্ছি, তখনও ষড়যন্ত্র থেমে নেই। বিচার বিভাগে কিভাবে একটা ক্যু করা যায়; সেই চিন্তাও করেছিল অনেকেই। বিচার বিভাগের ঘাড়ে পা রেখেও তারা ব্যর্থ হয়েছে। তিনি আরও বলেন, ষড়যন্ত্রকারীরা এখনও সক্রিয়। সুগভীর পক্রিয়ায় তারা লিপ্ত। এদের বিরুদ্ধে আমাদের অতন্দ্রপ্রহরীর মতো সজাগ থাকতে হবে। অপরাজেয় বাংলার আহ্বায় এইচ রহমান মিলুর সভাপতিত্বে এতে আরও বক্তব্য রাখেন শিল্পকলা একাডেমীর পরিচালক চারুশিল্পী মুনিরুজ্জামান, আওয়ামী লীগের ঢাকা মহানগরের দক্ষিণের সাধারণ সম্পাদক শাহে আলম মুরাদ ও তরুণ আওয়ামী লীগ নেতা রাকেশ রহমান।
×