ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

মুন্সীগঞ্জে টেক্সটাইল মিলে শ্রমিক মৃত্যুর এখনও মামলা হয়নি

প্রকাশিত: ২১:২০, ২১ সেপ্টেম্বর ২০১৭

মুন্সীগঞ্জে টেক্সটাইল মিলে শ্রমিক মৃত্যুর এখনও মামলা হয়নি

স্টাফ রিপোর্টার, মুন্সীগঞ্জ ॥ মুন্সীগঞ্জে টেক্সটাইল মিলে আগুন থেকে বিষাক্ত গ্যাসে আক্রান্ত হয়ে এক নারীসহ ৬ শ্রমিকের মৃত্যুর ঘটনায় এখনো মামলা হয়নি। এদিকে মুন্সীগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে নিহতদের লাশ ময়না তদন্ত শেষে দুপুর ২টার দিকে স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। স্থানীয় সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট মৃণাল কান্তি দাস এবং সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার আনিস-উজ-জামান মর্গে গিয়ে স্বজনদের সমমর্মিতা জানান। এদিকে হস্তান্তরের সময় জেলা প্রশাসক সায়লা ফারজানা উপস্থিত থেকে নিহতের প্রতিটি পরিবারকে ২৫ হাজার টাকা করে প্রদান করেন। একই সাথে স্বজনরা যাতে লাশ নিজ এলাকায় নির্বিগ্নে নিয়ে যেতে পারে সেব্যাপারেও পদক্ষেপ নেয়া হয়। এই দুর্ঘটনায় নিহত শ্রমিকেরা হলো- চুয়াডাঙ্গা জেলার রহিম বক্সের ছেলে ইস্রাফিল, সিরাজগঞ্জ জেলার সাহাদাতগঞ্জের আমির হামজার ছেলে নাজমুল, সিরাজগঞ্জ জেলা বড় মাথা থানার হানিফ বেপারীর ছেলে বাবু মিয়া, ঝিনাইদাহের কালিগঞ্জ থানার মৃত সাহেদ আলীর ছেলে সজিব, মনিকগঞ্জ জেলা ঘিওর থানার কলিমউদ্দিনের ছেলে রতন মিয়া এবং বরগুনার জেলার বাবনা থানা চারাখালি গ্রামের রশিদের স্ত্রী করখানার ঝাড়–দার হাসিনা বেগম। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোস্তাফিজুর রহমান জানান, এখনো মামলা হয়নি। লাশগুলোর ময়না তদন্ত শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর নিয়ে ব্যস্ত থাকায় মামলায় বিলম্ব হচ্ছে। তবে পুলিশ বাদী হয়ে শিঘ্রই মামলা দায়ের করা হবে। কারখানার জিএমসহ পাঁচ জন থানায় আটক রয়েছে। দুর্ঘটনার দিন কারাখানাটির সপ্তাহিত ছুটি ছিল। এখানে দুই শিফটে সাড়ে চার শতাধিক শ্রমিক কাজ করে। কারখানা বন্ধ থাকায় বড় ধরণের ট্র্যাজেডী থেকে রক্ষা হয়। কারখানার ক্যামিক্যাল গুদামের ভেতরে তাক তৈরী করার জন্য ওয়েলডিং করার সময় স্ফূলিঙ্গ ক্যামিক্যালে পড়ে গিয়ে আগুন লেগে যায়। মুহুর্তের মধ্যেই আগুন গুদামের পুরো ক্যামিক্যালে ছড়িয়ে পড়ে বিষাক্ত গ্যাস সৃষ্টি হয়। এতেই ভবনের দ্বিতীয় তলায় থাকা তিন জন এবং চার তলায় থাকা তিনজন নিহত হয়। উল্লেখ্য বধুবার সকালে মুন্সীগঞ্জ সদর উপজেলার চরমুক্তারপুর এলাকায় আইডিয়াল টেক্সটাইল মিলের ছয় তলা ভবনের নিচ তলায় ক্যামিক্যাল গুদামে অগ্নিকান্ডে বিষাক্ত গ্যাসে আক্রান্ত হয়ে এক নারীসহ ছয় শ্রমিক নিহত হয়। মুন্সীগঞ্জ ও নারায়ণগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের ৪টি ইউনিট দুই ঘন্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। পুলিশ এই ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য কারখানার জিএমসহ পাঁচ জনকে আটক করেছে। জেলা প্রশাসন অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট একেএম শওকত আলম মজুমদারকে প্রধান করে ৬ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে। এদিকে অগ্নিকান্ডের ঘটনার পর থেকে কারখানাটি বন্ধ রয়েছে।
×