ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

রাঙ্গাবালী উপজেলা পরিষদে নিয়োগে ঘুষ লেনদেনের অভিযোগ

প্রকাশিত: ২০:৫০, ২১ সেপ্টেম্বর ২০১৭

রাঙ্গাবালী উপজেলা পরিষদে নিয়োগে ঘুষ লেনদেনের অভিযোগ

স্টাফ রিপোর্টার, গলাচিপা ॥ পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালী উপজেলা পরিষদে তিনটি পদে চারজন কর্মচারী নিয়োগে ব্যাপক ঘুষ লেনদেনের অভিযোগ উঠেছে। এ বিষয়ে নিয়োগ বঞ্চিত ৬ জন প্রার্থী দুর্নীতি দমন কমিশন ও পটুয়াখালীর জেলা প্রশাসকসহ সংশ্লিষ্ট উর্ধতন কর্তৃপক্ষের বরাবরে লিখিত অভিযোগ করেছেন। নিয়োগকারী কর্তৃপক্ষ ঘুষ লেনদেনের অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে, ২০১৬ সালের ১৭ অক্টোবর রাঙ্গাবালী উপজেলা পরিষদে সাঁট-মুদ্রাক্ষরিক কাম-কম্পিউটার পদে একজন, গাড়ি চালক একজন ও অফিস সহায়ক পদে দুইজন নিয়োগের আবেদন আহ্বান করে জাতীয় ও স্থানীয় পত্রিকায় নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। প্রায় এক বছর পরে গত ১১ সেপ্টেম্বর আবেদনকারীদের লিখিত, ব্যবহারিক ও মৌখিক পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। গত ১৯ সেপ্টেম্বর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রেজাউল করিম লিখিত, ব্যবহারিক ও মৌখিক পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ করেন। ওই ফলাফলে সাঁট-মুদ্রাক্ষরিক কাম-কম্পিউটার পদে প্রথম আল আমিন, গাড়ি চালক পদে প্রথম সেরাজুল তালুকদার, অফিস সহায়ক পদে প্রথম মেহেদী হাসান ও দ্বিতীয় ফেরদাউসের নাম প্রকাশ করা হয়। এরা কেউ জাল সার্টিপিকেট বা কারো বয়স বেশি বলে কয়েকজন প্রার্থী অভিযোগ করে। উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান জেসমিন সুলতানা বলেন, ‘মোটা অঙ্কের টাকার বিনিময়ে ইউএনও এবং উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান যোগ্য লোকদের বাদ দিয়ে এ নিয়োগ প্রক্রিয়া করেছেন বলে বেশ কয়েকজন প্রার্থী আমার কাছে মৌখিক অভিযোগ দিয়েছেন। এসব অভিযোগের বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (অতিরিক্ত দায়িত্বে) মো. রেজাউল করিম বলেন, আমার জানামতে সমস্ত প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে যথাযথ ভাবে যোগ্য লোককেই নিয়োগ দেয়া হয়েছে। যদি কেউ অভিযোগ করে থাকে সেটা তাদের মনগড়া ব্যাপার। অভিযোগগুলো ভিত্তিহীন বলে আমি মনে করি। এ ব্যাপারে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান দেলোয়ার হোসেন বলেন, ‘নিয়োগ বোর্ডে লিখিত এবং মৌখিক পরীক্ষায় যারা ভাল করেছে, কর্তৃপক্ষ তাদেরকেই নিয়োগ দিয়েছে। যথাযথ ভাবে নিয়োগ প্রক্রিয়া করা হয়েছে। এ ধরণের অভিযোগ সত্য নয়। অভিযোগকারীরা জানিয়েছেন, প্রতিটি নিয়োগে মোটা অঙ্কের টাকা লেনদেন হয়েছে। তারা নিয়োগ স্থগিত করে নতুন ভাবে নিয়োগ পরীক্ষার দাবি করেছেন।
×