ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ১৯ মার্চ ২০২৪, ৫ চৈত্র ১৪৩০

জাতিসংঘে সু চির বক্তব্যের সাফাই গাইল মিয়ানমার

প্রকাশিত: ১৮:৪৫, ২১ সেপ্টেম্বর ২০১৭

জাতিসংঘে সু চির বক্তব্যের সাফাই গাইল মিয়ানমার

অনলাইন ডেস্ক ॥ রোহিঙ্গা ইস্যুতে জাতিসংঘে অং সান সু চির বক্তব্যেরই সাফাই গাইল মিয়ানমার। বুধবার মিয়ানমারের দ্বিতীয় ভাইস প্রেসিডেন্ট হেনরি ভন থিয়ো দাবি করেছেন, রাখাইন পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে। সু চির মতো তিনিও রোহিঙ্গা শব্দটি একবারও ব্যবহার করেননি। তিনি বলেছেন, রাখাইন থেকে মুসলিমরা কেন পালিয়ে যাচ্ছে, তার কারণ তাদের কাছে পরিষ্কার নয়। এ বিষয়ে তারা সুনির্দিষ্ট তদন্ত করে দেখতে চান। এ ছাড়া মিয়ানমার সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে জাতিগত নিধনের যে অভিযোগ উঠেছে, সে বিষয়েও তিনি কিছু বলেননি। মিয়ানমারের রাষ্ট্রীয় পরামর্শক সু চিও মঙ্গলবার জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে এ অভিযোগের বিষয়ে তার সরকারের মতামত দেননি। পরিস্থিতির জন্য তারা শুধু উদ্বেগ জানিয়েছে। রাখাইনের সহিংসতা ও রোহিঙ্গাদের মানবিক বিপর্যয় আড়াল করে সার্বিক পরিস্থিতি ভালো আছে বলে দাবি করছে মিয়ানমার সরকার। এ বিষয়ে গুরুত্ব দিয়ে সরকারের দৃষ্টিভঙ্গি আন্তর্জাতিক মহলে প্রতিষ্ঠিত করার চেষ্টা অব্যাহত রেখেছে দেশটি। বুধবার জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের এক বৈঠকে যুক্তরাষ্ট্রের ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইক পেন্স বলেছেন, ‘সংকটের সমাধান, রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর দুর্ভোগের সময় তাদের প্রতি প্রত্যাশা ও সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেওয়ার জন্য জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের প্রতি প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ও আমি আহ্বান জানাচ্ছি।’ মিয়ানমারের নিরাপত্তা বাহিনীর আউটপোস্টে হামলার প্রতিক্রিয়ায় ‘ভয়ংকর, বর্বর, গ্রাম জ্বালিয়ে দেওয়া ও ঘরবাড়ি থেকে রোহিঙ্গাদের বিতাড়িত করার’ অভিযান পরিচালনার জন্য দেশটির সেনাবাহিনীকে অভিযুক্ত করেছেন মাইক পেন্স। বুধবার জাতিসংঘে ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল ম্যাক্রোঁ রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর অভিযানকে ‘গণহত্যা’-এর অভিযান চলে উল্লেখ করেন। মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে দেশটির সরকার কোনো কথাই বলছে না। তারা দাবি করছে, ৫ সেপ্টেম্বর থেকে রাখাইনে কোনো সহিংসতা হয়নি। কিন্তু ২৫ আগস্ট থেকে ৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত কী হয়েছিল, সে বিষয়ে তারা কিছুই বলছে না। আবার দাবি করছে, কেন মুসলিমরা বাংলাদেশে পালিয়ে যাচ্ছে, তার কারণ তাদের কাছে পরিষ্কার নয়। রোহিঙ্গাদের নাগরিকত্ব দেওয়া, তাদের সাংবিধানিক অধিকার দেওয়ার বিষয়ে কোনো বক্তব্য নেই মিয়ানমারের। জাতিসংঘে মিয়ানমার সরকারের প্রতি সহিংসতা বন্ধে বারবার আহ্বান জানালেও স্পষ্ট করে তারা কখনো বলেনি সহিংসতা বন্ধ করা হচ্ছে।
×