ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

তিনি বালিতে মাথা গুঁজে আছেন ॥ এ্যামনেস্টি

সুচির ভাষণের সমালোচনায় বিশ্বনেতারা

প্রকাশিত: ০৪:৩৯, ২১ সেপ্টেম্বর ২০১৭

সুচির ভাষণের সমালোচনায় বিশ্বনেতারা

মিয়ানমারের স্টেট কাউন্সিলর ও ক্ষমতাসীন দলের নেত্রী আউং সান সুচি রোহিঙ্গা পরিস্থিতি নিয়ে যে ভাষণ দিয়েছেন তার সমালোচনা আসতে শুরু করেছে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় থেকে। মঙ্গলবারের ওই ভাষণে সুচি রাখাইনে মানবাধিকার লঙ্ঘনের নিন্দা করেছেন তবে সেনাবাহিনীর বিষয়ে কিছু বলেননি। অথচ রাখাইনে ভয়াবহ নির্যাতনের জন্য সেনাবাহিনীকেই দায়ী করছে রোহিঙ্গারা। খবর বিবিসি অনলাইনের। আগস্টের শেষ সপ্তাহ থেকে শুরু করে এখন পর্যন্ত প্রায় চার লাখ রোহিঙ্গা বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে বলে জানিয়েছে জাতিসংঘ। বাংলাদেশে আসতে গিয়ে মৃত্যু হয়েছে শতাধিক রোহিঙ্গার। আবার অনেকে এসেছেন যারা গুলিতে আহত হয়েছেন কিংবা নিজের অগ্নিদগ্ধ শরীর বয়ে এনেছেন। অথচ সুচি বলেছেন অধিকাংশ মুসলিমই রাখাইনে অবস্থান করছে। তিনি মুসলিমরা সেখান থেকে পালাচ্ছে কেন সেটিও খুঁজে বের করার কথা বলেছেন। এদিকে রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের নেতারা ইতোমধ্যেই সুচির বক্তব্য প্রত্যাখ্যান করে এ বক্তব্যকে সেনাবাহিনীর বক্তব্য বলে বলে আখ্যায়িত করেছেন। যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী রেক্স টিলারসন সুচিকে ফোন করে বলেছেন, তার বক্তব্যকে তিনি এ জন্য স্বাগত জানাচ্ছেন যে শরণার্থীদের যাচাই করে ফিরিয়ে নেয়া হবে। তিনি একই সঙ্গে রাখাইনে সহিংসতায় আক্রান্তদের ত্রাণ সহায়তা এবং সেখানে ভয়াবহ মানবাধিকার লঙ্ঘন বন্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের দিকেও নজর দিতে বলেন। ফরাসী প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ বলেছেন, রাখাইনে সামরিক অভিযান অবশ্যই বন্ধ করতে হবে। মানবিক সহায়তার সুযোগ নিশ্চিত করতে হবে। জাতিগত নিধন বন্ধে আইনের শাসন পুনঃপ্রতিষ্ঠা করতে হবে। তিনি আরও বলেন, সহিংসতা বন্ধ করে মানবিক সহায়তা পৌঁছানোর জন্য তারা নিরাপত্তা পরিষদের মাধ্যমে একটি উদ্যোগ নেবেন। জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তনিও গুতেরেসও সামরিক অভিযান বন্ধ করে রোহিঙ্গাদের ক্ষোভের দিকে দৃষ্টি দেয়ার জন্য মিয়ানমার সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইপ এরদোগান মিয়ানমারের সঙ্কট নিরসনে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে সক্রিয় হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। ইউরোপীয় ইউনিয়নের এক মুখপাত্র বলেছেন, আন্তর্জাতিক কূটনীতিকদের মিয়ানমার পরিদর্শনের যে আহ্বান জানিয়েছেন সে আহ্বানের মাধ্যমে সুচি প্রকৃতপক্ষে তা প্রত্যাখ্যান করেছেন। ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী টেরেসা মে রাখাইনে সামরিক অভিযান বন্ধ করার কথা বলেছেন। এ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল সুচির সমালোচনা করে বলেছে, তিনি বালিতে মাথা গুঁজে আছেন।
×