আমরা যে সভ্যতার বিকাশ নিয়ে গর্ব করি, মানুষের উপর মানুষের বর্বর আচরণ দেখে মনে হয় তা শুধুই বিজ্ঞান এবং প্রযুক্তির বিকাশ, মানবিক বিকাশ নয়। মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে রোহিঙ্গাদের ওপর যে দমন, নিপীড়ন, নির্যাতনের ছবি আমরা প্রত্যক্ষ করছি তা মানুষের নিষ্ঠুরতা এবং বর্বরতাকেই তুলে ধরে। সভ্যতার পোশাকি নামের আড়ালে এ এক নিষ্ঠুর বর্বরতা। জঙ্গী বা বিচ্ছন্নতাবাদী দমনের নামে গণহত্যা, সাধারণ নাগরিকদের ভিটেমাটি থেকে উচ্ছেদ কোনভাবেই সুশাসনের এবং সভ্যতার পরিচয় বহন করে না।
মানুষ মানুষের জন্য। প্রতিবেশী রাষ্ট্রের রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী মানবিক বিপর্যয়ের শিকার হয়ে তাদের বসত ভিটে মাটি ছেড়ে আমাদের দেশে আশ্রয় প্রার্থী। মানবিক কারণে আমরা আশ্রয় দিচ্ছি। কিন্তু রোহিঙ্গা ইস্যু আমাদের জাতীয় স্বার্থে যাতে নেতিবাচক প্রভাব না ফেলে এ জন্য আমাদের সরকারকে যেমন বিচক্ষণতার পরিচয় দিতে হবে তেমনি সজাগ থাকতে হবে। লক্ষণীয় যে ইতোমধ্যেই ভারত, চিন এবং রাশিয়া তাদের জাতীয় স্বার্থে কৌশলগত অবস্থান নিয়েছে। আশার কথা যে রোহিঙ্গা ইস্যুতে বিশ্ববিবেক এখন সোচ্চার। রোহিঙ্গাদের ওপর মিয়ানমার সরকারের মানবিক বিপর্যয়কে জাতিসংঘ ‘দ্রুততম ক্রমবর্ধমান সঙ্কট’ হিসেবে চিহ্নিত করেছে।
অপরদিকে বিভিন্ন মিডিয়া সূত্রে যা উঠে আসছে তাতে মনে করার যথেষ্ট কারণ আছে যে প্যান ইসলামিক সন্ত্রাসী কর্মকা-ে মদদদানে বাংলাদেশকে জড়ানোর এক গভীর চক্রান্ত চলছে যার মূল লক্ষ্য দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় সাম্প্রদায়িক বিভাজন এবং বিদ্বেষ উস্কে দেয়া। রোহিঙ্গা শরণার্থী সমস্যার মোকাবিলা আমাদের কূটনৈতিকভাবে করাই হবে বুদ্ধিমানের কাজ এবং কুটনৈতিক কৌশলের ওপর নির্ভর করছে এর ইতিবাচক সাফল্য।
কাদিরগনজ, রাজশাহী থেকে
আরো পড়ুন
শীর্ষ সংবাদ: