ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

ভাবতে হবে ভবিষ্যত;###;শতাব্দী জুবায়ের

সমাজ ভাবনা ॥ বিষয় ॥ রোহিঙ্গা শরণার্থী

প্রকাশিত: ০৪:৩৫, ২১ সেপ্টেম্বর ২০১৭

সমাজ ভাবনা ॥ বিষয় ॥ রোহিঙ্গা শরণার্থী

নাফ নদীতে ভাসছে অর্ধগলিত শিশু, যুবা, পুরুষ, নারীর লাশ। গর্ভবতী মায়েরা সন্তান জন্ম দিচ্ছে জঙ্গলে-পাহাড়ে। কেউবা অনাগত সন্তান পেটে নিয়ে হাঁটছে মাইলের পর মাইল। শুধু বেঁচে থাকার জন্য ভয়কে তুচ্ছ জ্ঞান করে পাড়ি দিচ্ছে উত্তাল সাগর। মাঝে মাঝে ডুবছে নৌকা। ডুবেও মরছে কেউ। কোন রকম প্রাণ নিয়ে এসে বাংলাদেশে শরনার্থী শিবিরে আশ্রয় নিচ্ছে। এই সাময়িক অশ্রয়েই কি সব সমস্যার সমাধান হয়ে গেল? হয়তো ভয়ানক গুলির শব্দ আর মৃত্যুভয় থেকে রোহিঙ্গারা রক্ষা পেয়েছে বাংলাদেশ সরকারের মানবিক সহায়তায় জন্য। কিন্তু মিয়ানমার থেকে পালিয়ে আসা এই রোহিঙ্গাদের নিত্য পেট ভরানোর মতো খাবার না হলেও কিছু খাবার তো লাগছে। এই খাবার আসবে কোথা থেকে? যেখানে বন্যার ক্ষত থেকেই বের হতে পারছে না বাংলাদেশ। হয়তো কিছু দেশ সাময়িক সময়ের জন্য কিছু ত্রাণ দিচ্ছে। সব সময় কি এই ত্রাণ দিয়ে যাবে ওরা? ইতিহাসে এমন কোন ঘটনা নেই যে বছরের পর বছর ত্রাণ দিয়ে যাবে। এক সময় সবাই চুপ হয়ে যাবে। তখন মানবিক আশ্রয় দেয়া রোহিঙ্গাদের খাবার সরবরাহ করা হবে আমাদের খাবারের অংশ থেকে। এই যে ভয়াবহ সংকট, এর সমাধান কি? বাংলাদেশ যে বড় ঝুঁকিতে পড়তে যাচ্ছে সেটা অনেকখানি স্পষ্ট। ২৫ আগস্ট থেকে শুরু হওয়া রোহিঙ্গা জাতি গোষ্ঠির নিধন এখনও নিত্য ধারাবাহিক ভাবেই চলছে। বাংলাদেশ সীমান্ত দিয়ে নিয়মিতই রোহিঙ্গারা ঢুকছে। মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশে আসা এই প্রায় ৪ লক্ষ রোহিঙ্গার পুনর্বাসনের জন্য কোন আর্ন্তজাতিক উদ্যোগও দেখা যাচ্ছে না। এটা বাংলাদেশের জন্য কি ভাল খবর? ২০১২ সালে যে দেড় লক্ষ রোহিঙ্গা এসেছে তাদের একজনকেও ফিরিয়ে নেয় নি মিয়ানমার। এর জন্য কোন দেশকে কথা বলতেও দেখছি না। বাঙ্গালি জাতি মানবিকতার দৃষ্টান্ত রেখেছে বারবার। রোহিঙ্গা ইস্যুতেও রাখছে। কিন্তু বাংলাদেশ বাড়তি জনসংখ্যার জন্য এমনিতেই হিমশিম খাচ্ছে, সেখানে রোহিঙ্গাদের বাড়তি বোঝা দীর্ঘ মেয়াদে কি সামাল দেয়া সম্ভব? তাদের যতদ্রুত সম্ভব দেশে পাঠানো দরকার। কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে
×