ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

যুদ্ধাপরাধী বিচার

দুই এক দিনের মধ্যেই ট্রাইব্যুনাল পুনর্গঠন হচ্ছে

প্রকাশিত: ০৫:৪৬, ২০ সেপ্টেম্বর ২০১৭

দুই এক দিনের মধ্যেই ট্রাইব্যুনাল পুনর্গঠন হচ্ছে

স্টাফ রিপোর্টার ॥ একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের সময় মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে অভিযুক্তদের বিচারের জন্য গঠিত আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল দুই একদিনের মধ্যেই পুনর্গঠন করা হচ্ছে। আর শীঘ্রই ট্রাইব্যুনাল পেতে যাচ্ছে একজন নতুন চেয়ারম্যান। পাশাপশি সদস্যদের মধ্যেও রদবদল হচ্ছে। ১৩ জুলাই ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি মোঃ আনোয়ারুল হকের মৃত্যুর পর থেকেই শূন্য রয়েছে চেয়ারম্যানের পদটি। এদিকে সদস্য বিচারপতি মোঃ সোহরাওয়ার্দীকে হাইকোর্টে ফিরিয়ে নেয়া হয়েছে। অন্যদিকে বিচারপতি আমীর হোসেনকে হাইকোর্ট থেকে ট্রাইব্যুনালে নিয়োগ দেয়া হচ্ছে। ট্রাইব্যুনাল পুনর্গঠনের ধারাবাহিকতায় ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান ও সদস্যদের নিয়োগ নিয়ে আলোচনা করেছেন আইনমন্ত্রী এ্যাডভোকেট আনিসুল হক। প্রধান বিচারপতির দায়িত্বে থাকা বিচারপতি মোঃ আবদুল ওয়াহ্হাব মিঞার সঙ্গে গত ১২ সেপ্টেম্বর সুপ্রীমকোর্টে তার কার্যালয়ে এ নিয়ে আলোচনা হয়। বৈঠকের পর মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে একজন বিচারপতির নাম চেয়ে চিঠি দেয়া হয় সুপ্রীমকোর্টে । যার প্রেক্ষিতে বিচারপতি আমীর হোসেনের নাম প্রস্তাব করে মন্ত্রণালয়কে চিঠি দেয় সুপ্রীমকোর্ট। আইনমন্ত্রী এ্যাডভোকেট আনিসুল হক জনকণ্ঠকে বলেন, বিচারপতি আমীর হোসেনের নিয়োগের বিষয়ে সুপ্রীমকোর্ট থেকে তার নামের প্রস্তাব এসেছে। অন্যদিকে বিচারপতি মোঃ সোহরাওয়ার্দীকে হাইকোর্টে ফিরিয়ে নেয়া হচ্ছে। দুই একদিনের মধ্যেই ট্রাইব্যুনাল পুনর্গঠন করা হবে। অন্যদিকে আইন সচিব আবু সালেহ শেখ মোঃ জহিরুল হক জনকণ্ঠকে বলেন , শীঘ্রই ট্রাইব্যুনাল পুনর্গঠন হচ্ছে। আমরা ইতোমধ্যে সুপ্রীমকোর্ট থেকে বিচারপতি আমীর হোসেনের নামের প্রস্তাব পেয়েছি। চেয়ারম্যান ও সদস্যসহ ট্রাইব্যুনাল পুনর্গঠন করে দ্রুত মানবতাবিরোধী বিচার শুরু করা হবে। ২০১০ সালের ২৫ মার্চ পুরাতন হাইকোর্ট প্রাঙ্গণে স্থাপন করা হয় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল । মামলার সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়াতে ২০১২ সালের ২২ মার্চ আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২ নামে আরেকটি ট্রাইব্যুনাল গঠন করা হয়। সর্বশেষ ২০১৫ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর ট্রাইব্যুনাল পুনর্গঠন করে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ নামে একটি ট্রাইব্যুনাল করা হয়। ট্রাইব্যুনাল গঠন করার পর এ পর্যন্ত ২৮টি মামলার রায় ঘোষণা করা হয়। এসব মামলায় ৫৫ জন আসামি ছিলেন। দন্ড দেয়া হয়েছে ৫৩ জনকে। রায় হওয়ার পূর্বে কেন্দ্রীয় কারাগারে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন দুইজন।
×