ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

অস্থির চালের বাজার নিয়ন্ত্রণের উদ্যোগ ॥ সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে অভিযানে দাম কমছে

মিল মালিকদের সঙ্গে আজ খাদ্য বাণিজ্য কৃষিমন্ত্রীর বৈঠক

প্রকাশিত: ০৫:০০, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০১৭

 মিল মালিকদের সঙ্গে আজ খাদ্য বাণিজ্য কৃষিমন্ত্রীর বৈঠক

তপন বিশ্বাস ॥ মিল মালিকদের কারসাজিতে চালের বাজার অস্থিতিশীল হয়ে উঠেছে। নির্বাচন সামনে রেখে সরকারকে বেকায়দায় ফেলতে অসাধু ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেটের মাধ্যমে চালের বাজারকে অস্থিতিশীল করে তুলছে বলে অভিযোগ রয়েছে। অবৈধ মজুদকারীদের গ্রেফতারের নির্দেশ দেয়ায় সোমবার চালের দাম প্রতি কেজি এক-দুই টাকা করে কমেছে। এই পরিস্থিতিতে সরকারও ওএমএস (খোলা বাজার চাল বিক্রি) কার্যক্রম শুরু করেছে। চালের বাজার নিয়ন্ত্রণে আনতে আজ মঙ্গলবার মিল মালিকদের সঙ্গে খাদ্য, বাণিজ্য এবং কৃষিমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক হবে। এ ব্যাপারে খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম জনকণ্ঠকে বলেন, মঙ্গলবার মিলারদের সঙ্গে বৈঠক হবে। সেখানে ফলপ্রসূ আলোচনা হবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন। হাওড়ে আগাম বন্যার অজুহাতে এবার চালের বাজারকে অস্থিতিশীল করে তুলতে থাকে মিল মালিকরা। হাওড়ের পর দেশে বন্য পরিস্থিতি নিয়ে ব্যাপক প্রচার শুরু হয়। অনেকে এবার বিগত ২০০ বছরের রেকর্ড ছাড়িয়ে যাওয়ার সতর্কতা জারি করেন। এই অজুহাতে অসাধু ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেটের মাধ্যমে দফায় দফায় চালের দাম বাড়াতে থাকে। একপর্যায়ে সরকার চালের আমদানি শুল্ক কমাতে বাধ্য হয়। আমদানি শুল্ক কমালে বেশ কিছু দিন চালের বাজার স্থিতিশীল থাকে। সম্প্রতি দেশে রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশের পর থেকে চালের বাজার নিয়ন্ত্রণ করা কঠিন হয়ে ওঠে। অযৌক্তিকভাবে বাড়তে থাকে চালের দাম। দেশে চালের ঘাটতি না থাকলেও এই মূল্য বৃদ্ধিতে সকলকে ভাবিয়ে তুলেছে। এই পরিস্থিতিতে সরকার ওএমএস কার্যক্রম শুরু করেছে। পাশাপাশি অবৈধভাবে চাল মজুদকারীদের গ্রেফতারের নির্দেশ দিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ। অবৈধভাবে চাল মজুদকারীদের গ্রেফতারের জন্য দেশের প্রতিটি জেলা প্রশাসক ও পুলিশকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। মূল্য বৃদ্ধির জন্য কেউ যাতে আর অবৈধভাবে চাল মজুদ করার সাহস না দেখায় সে জন্যই এই নির্দেশনা। সোমবার থেকে দেশের বিভিন্ন স্থানে অভিযান শুরু হয়েছে। সরকারের এই ঘোষণার পর চালের বাজার সোমবার কেজিপ্রতি এক-দুই টাকা পর্যন্ত কমেছে। আমদানি শুল্ক ২৮ থেকে কমিয়ে ২ শতাংশ করা, বিদেশ থেকে জিটুজি (সরকার থেকে সরকার) ও আন্তর্জাতিক দরপত্রের মাধ্যমে আমদানির পরও বাগে আসছে না চালের বাজার। উল্টো বেড়েই চলেছে দাম। মোটা চালের কেজি আবারও ৫০ টাকা ছাড়িয়েছে। আর চিকন চালের কেজি ৭০ টাকায় ঠেকেছে। চালের এ লাগামহীন মূল্য বৃদ্ধির জন্য একটি সিন্ডিকেট দায়ী। কারসাজি করে চক্রটি দাম বাড়িয়েছে। ইতোমধ্যে সিন্ডিকেটের হোতা শনাক্ত হয়েছেন। তাদের ধরতে খোদ বাণিজ্যমন্ত্রী নির্দেশ দিয়েছেন। নির্দেশ পেয়ে দুই হোতার মিলে পুলিশ অভিযানও চালিয়েছে। চলতি বছরের শুরু থেকে চালের দাম বৃদ্ধির ধারা অব্যাহত রয়েছে। মাঝে আমন ধান ওঠার সময় এবং আমদানির কারণে চালের দাম নামমাত্র কমলেও এখন পরিকল্পিতভাবে আবার বাড়তে শুরু করেছে দাম। এখন একেবারে চালকল বা খামার পর্যায় থেকে শুরু করে পাইকারি-খুচরা সব পর্যায়েই বাড়ছে চালের দাম। এর প্রভাবে গত ৮ মাসে চালের দাম কেজিপ্রতি বেড়েছে ১৫ টাকার ওপরে। এমনকি সারা দেশে চালের গুদামে অব্যাহত অভিযান চালিয়েও কাক্সিক্ষত সুফল আসছে না। এর প্রভাব পড়ছে সাধারণ মানুষের ওপর। বিশেষ করে বাড়তি টাকায় চাল কিনতে গিয়ে স্বল্প আয়ের মানুষের নাভিশ্বাস উঠেছে। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এলসি খোলার পর থাইল্যান্ড থেকে চাল আমদানিতে সময় লাগে ২০-২৫ দিন। ভারত থেকে সময় লাগে ৭-১০ দিন। সংশ্লিষ্টরা এ জন্য সরকারের গোয়েন্দা নজরদারি জোরদারের পাশাপাশি বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ও সব সিটি কর্পোরেশন এবং জেলা শহরের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তৎপরতা জোরদার রাখার পরামর্শ দেন। জানতে চাইলে বাংলাদেশ রাইস মার্চেন্ট এ্যাসোসিয়েশনের সহ-সভাপতি জাকির হোসেন রনি বলেন, পরিস্থিতি এখন পাল্টেছে। প্রতিদিন বিভিন্ন বন্দর দিয়ে চাল আমদানি হচ্ছে। সোমবারই বাবুবাজার ও বাদামতলীতে পাইকারি মোটা চালের দাম কমেছে কেজিপ্রতি ২-৩ টাকা। এটা খুচরা বাজারে শীঘ্রই প্রভাব পড়তে শুরু করবে। তিনি দাবি করেন, চালের দাম কমবে। তবে সেটা পাইকারি বাজারেই ৪২-৪৪ টাকার নিচে নামার সুযোগ কম। কারণ চালের আমদানি দাম ও পরিবহন খরচ বেশি পড়ছে। ব্যবসার পরিচালন ব্যয়ও বাড়ছে। এদিকে সৎভাবে চাল ব্যবসায় জড়িত এমন একাধিক ব্যবসায়ী নাম প্রকাশ না করার শর্তে জনকণ্ঠকে বলেন, ‘চালকল মালিকরা দাম বাড়ার নেপথ্যে কলকাঠি নাড়ছেন। কারণ এ মুহূর্তে কৃষকের কাছে ধান নেই। কৃষকের ধান বিক্রির পর তা ফড়িয়াদের মাধ্যমে অনেক আগেই চলে গেছে মিল মালিকদের হাতে। তারা যেনতেন দামে ধান কিনে তা মজুদ করে রাখছেন নিজস্ব গুদামে। এভাবে ধানের কৃত্রিম সঙ্কট তৈরি করে বাড়ানো হচ্ছে ধানের দাম। অন্যদিকে ধানের দাম বাড়ানোর পর তারা দ্বিতীয় দফা চালের দামও বাড়িয়েছেন। এভাবে মিল পর্যায়ে দাম বাড়ার পর পাইকারি থেকে খুচরা পর্যায়ে আসতে যত হাত বদল হয় ততবারই দাম বাড়ে। ফলে ভোক্তা পর্যায়ে পৌঁছানোর আগে তাকে সর্বোচ্চ দাম দিয়েই কিনতে হচ্ছে। বাজার অনুসন্ধানে দেখা গেছে, চলতি বছরের জানুয়ারিতে মোটা চালের দাম ছিল ৩৮-৩৯ টাকা এবং সরু চালের দাম ছিল ৪৪-৬০ টাকার মধ্যে। ফেব্রুয়ারিতে কিছুটা কমে মোটা চালে ৩৬-৩৭ টাকা এবং সরুতে ৪৮-৫২ টাকায় ওঠানামা করে। মার্চে তা বেড়ে ৩৮-৪০ এবং সরুতে ৫২-৫৭ টাকায় উঠে। একইভাবে এপ্রিলে মোটা চালের দাম ছিল ৪১-৪২ টাকা এবং সরু ৫৮ টাকা। মে মাসে মোটা চালের দাম বেড়ে ৫০ টাকা স্পর্শ করে এবং সরু ৬০-৬৩ টাকায় ওঠানামা করে। জুন, জুলাই ও আগস্টে মোটা চালের দাম কিছুটা কমে দাঁড়ায় ৪৪-৪৮ টাকায় এবং সরু চালে ৫৬-৬৫ টাকা। সেপ্টেম্বরে যা বেড়ে মোটা চাল ৫০-৫২ টাকা এবং সরু ৫৮ থেকে ৭০ টাকা পর্যন্ত পৌঁছে। চালের দাম বৃদ্ধি সম্পর্কে কনজ্যুমার এ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) সভাপতি গোলাম রহমান বলেন, লাগাতার চালের দাম বাড়ছে। যে হারে দাম বাড়ছে এতে বুঝতে হবে নিশ্চয় এর পেছনে ব্যবসায়ীদের কারসাজি রয়েছে। এ কারসাজি রোখার দায়িত্ব সরকারের। কিন্তু সরকার সে কাজটি করছে না বা করতে পারছে না। ফলে ভুগতে হচ্ছে দেশের প্রতিটি ভোক্তাকে। তিনি দাবি করেন, প্রতিদিন শত শত ট্রাকে করে চাল আমদানি হচ্ছে। ওই চাল কী সবই বাজারে আসছে। যদি এসেই থাকে তাহলে সরবরাহ বেশি বেশি এবং দাম কমবে। সেটা তো হচ্ছে না। আমরা দেখছি উল্টো দাম বাড়ছে। এর পেছনে কী কারণ রয়েছে। কোথায় সঙ্কট। সঙ্কটের পেছনে কারও কলকাঠি থাকলে তা সরকারকে খুঁজে বের করতে হবে। এ বিষয়ে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের মহাপরিচালক শফিকুল ইসলাম লস্কর বলেন, চালের দাম বাড়ার পর অধিদফতর থেকে ব্যবসায়ীদের সঙ্গে আলোচনা করা হয়। ব্যবসায়ীরা বলছেন, বাজারে চালের ঘাটতি আছে। খাদ্য মন্ত্রণালয়ের আমদানি করা চাল এখনও বাজারে আসেনি। এ কারণে দাম কিছুটা বাড়ছে। তিনি বলেন, কেউ যাতে চাল গুদামজাত করে রাখতে না পারে সে জন্য কুষ্টিয়া, নাটোর, দিনাজপুর ও নওগাঁর চালকলে অধিদফতরের পক্ষ থেকে অভিযান চালানো হচ্ছে। এছাড়া সারা দেশের ডিসি-এসপিদেরও এ বিষয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় থেকে গভীর নজরদারি করতে বলা হয়েছে। জানা গেছে, খাদ্য মন্ত্রণালয়ের সোমবার তথ্য অনুযায়ী সরকারী গুদামে চালের মজুদ রয়েছে ৩ লাখ ৩৮ হাজার টন। গত বছরের এ দিনে মজুদ ছিল ৭ লাখ ২১ হাজার টন। হাওড় অঞ্চলে অকাল বন্যা, ব্লাস্ট রোগের কারণে সারা দেশে বোরোর ফলন কম হওয়া এবং ১০ টাকা কেজি দরের সাড়ে ৭ লাখ টন চাল বিতরণের ফলে এবার চালের মজুদ তলানিতে ঠেকে। আর এর সুযোগ নেয় অসাধু ব্যবসায়ীরা। তাদের কারসাজিতে মোটা চালের দাম প্রতি কেজি ৫০ টাকায় ওঠে। দাম বেশি হওয়ায় বোরো সংগ্রহ কাক্সিক্ষত লক্ষ্যে পৌঁছেনি। ৮ লাখ টন কেনার টার্গেট থাকলেও মিলারদের সঙ্গে সরকারের চুক্তি হয়েছে আড়াই লাখ টন। চালের এই ঘাটতি পূরণ ও দাম সহনীয় পর্যায়ে নামিয়ে আনতে আমদানির সিদ্ধান্ত নেয় সরকার। এর অংশ হিসেবে চলতি অর্থবছরে মোট ১৫ লাখ টন চাল আমদানির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়। জিটুজি পদ্ধতিতে ভিয়েতনাম থেকে আড়াই লাখ টন, কম্বোডিয়া থেকে আড়াই লাখ টন চাল আনা হচ্ছে। মিয়ানমার থেকে দেড় লাখ টন চাল আনার উদ্যোগ রয়েছে। এ ছাড়া আটটি আন্তর্জাতিক দরপত্রের মাধ্যমে চার লাখ টন চালের মধ্যে আড়াই লাখ টন আনার চুক্তি হয়েছে। ইতোমধ্যে কয়েক দফায় চাল এসেছে। মিয়ানমার এক লাখ ৩০ হাজার টন আতপ এবং ২০ হাজার টন সিদ্ধ চাল দিতে রাজি হয়েছে। দাম কমাতে ঢাকাসহ বিভাগীয় শহরে ওএমএস কার্যক্রম শুরু ॥ চালের দাম কমানো ও স্বল্প আয়ের মানুষের স্বস্তি নিশ্চিত করতে খোলা বাজারে ওএমএস কার্যক্রম চালু করেছে খাদ্য মন্ত্রণালয়। ওএমএসের চাল ১৫ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৩০ টাকা করেছে সরকার। এছাড়া আটা আগের মতো ১৭ টাকায় বিক্রি করা হচ্ছে। ঢাকা মহানগরীতে চালের পাশাপাশি আটা বিক্রি হবে। আর ঢাকার বাইরে জেলা শহরে বিক্রি হবে শুধু চাল। ইতোমধ্যে ঢাকায় ১০৯টি ট্রাকে করে বাজারসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে ওএমএসের চাল বিক্রি করা হচ্ছে। সারাদেশে মোট ৬২৭টি ট্রাকে করে চাল বিক্রি করা হবে। এছাড়া আটা বিক্রি হবে ২৫১টি ট্রাকে। খাদ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক মোঃ বদরুল হাসান জানিয়েছেন, আগে ওএমএসের চালের দাম ২৪ টাকা থেকে কমিয়ে ১৫ টাকায় করা হয়। অনেক দিন হয়ে গেছে, চালের দামও বেড়েছে, আগের দাম রাখলে তো বাজার মূল্যের সঙ্গে ব্যাপক পার্থক্য সৃষ্টি হয়। আর বেশি পার্থক্য থাকলে লিকেজের সম্ভাবনা রেড়ে যায়, নানান রকমের সমস্যা হয়। এ কারণে চালের দাম বাড়ানো হয়েছে। এছাড়া রবিবার থেকে সারা দেশে ওএমএস চালু হওয়ার কথা থাকলেও সব জায়গায় চালু হয়নি। সোমবার থেকে সব বিভাগীয় শহরে ওএমএস কার্যক্রম চালু করা হবে। সারাদেশে ৬২৭টি ট্রাক থেকে ওএমএসের চাল ও আটা বিক্রি করা হবে জানিয়ে তিনি আরও বলেন, ঢাকা মহানগরীতে ১২০টি ট্রাকে করে চাল ও আটা বিক্রি করা হবে, প্রতি ট্রাক থেকে দুই টন আটা ও এক টন চাল বিক্রি করা হবে। ঢাকার বাইরে বিক্রি হবে শুধু চাল। ওএমএসের প্রতি কেজি চালের গুদাম মূল্য সাড়ে ২৮ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। এদিকে মিয়ানমার থেকে এক লাখ টন আতপ চাল আমদানির সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম। সোমবার বিকেলে সচিবালয়ে খাদ্যমন্ত্রী সাংবাদিকদের এ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এর আগে রবিবার সন্ধ্যায় হোটেল সোনারগাঁওয়ে দুই দেশের প্রতিনিধিদের মধ্যে বৈঠকে হয়। এরপরই এক লাখ টন আতপ চাল কেনার সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত করা হয়। কামরুল ইসলাম বলেন, এক সপ্তাহ পর জনগণ আতপ চাল কিনতে হুমড়ি খেয়ে পড়বে। কেননা গত বছর চালের দাম কম থাকায় আমরা খোলা বাজারে ১৫ টাকা কেজি দরে চাল বিক্রি করতে পেরেছিলাম। কিন্তু এবার সারাদেশে বন্যা ও নানা কারণে চালের দাম অনেক বেড়ে যাওয়ায় খোলা বাজারে চালের দাম ৩০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। কবে নাগাদ চাল আমদানি শুরু হতে পারে সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, প্রক্রিয়া শেষ হতে যে কয়দিন সময় লাগে। প্রথমে প্রধানমন্ত্রীর সম্মতির জন্য প্রস্তাব পাঠানো হবে। পরে পর্যায়ক্রমে অর্থনৈতিক বিষয়ক সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি ও সরকারী ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিপরিষদ কমিটির অনুমোদন হলেই আমরা চাল আমদানির জন্য এলসি খুলব। তার পরেই চাল আসা শুরু করবে।
×