ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ১৯ মার্চ ২০২৪, ৫ চৈত্র ১৪৩০

ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজ জাতীয়করণের নির্দেশনা চেয়ে রিট

ক্রিকেট বোর্ড ও জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের এজিএম বন্ধ চেয়ে উকিল নোটিস

প্রকাশিত: ০৪:৪১, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০১৭

ক্রিকেট বোর্ড ও জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের এজিএম বন্ধ চেয়ে উকিল নোটিস

স্টাফ রিপোর্টার ॥ বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) ও বিশেষ সাধারণ সভা (ইজিএম) বন্ধ চেয়ে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) ও জাতীয় ক্রীড়া পরিষদকে (এনএসসি) লিগ্যাল নোটিস পাঠিয়েছেন স্থপতি মোবাশ্বের হোসেন। বিসিবির গঠনতন্ত্র-সংক্রান্ত মামলার বাদী স্থপতি মোবাশ্বের হোসেনের পক্ষে সুপ্রীমকোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার মাহবুব শফিক রবিবার এ লিগ্যাল নোটিস পাঠান। অন্যদিকে পুরান ঢাকার জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ও বাহাদুর শাহ পার্কের পাশেই অবস্থিত ঢাকা ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজকে (জাতীয়) সরকারীকরণের প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়ার নির্দেশনা চেয়ে রিট করা হয়েছে হাইকোর্টে। রিটে ঢাকা ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালকে সরকারীকরণের প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ কেন নেয়া হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারির আর্জি জানানো হয়েছে। এদিকে দিনাজপুর পৌরসভার মেয়র, বিএনপি নেতা সৈয়দ জাহাঙ্গীর আলমের সাময়িক বরখাস্তের আদেশ স্থগিত করে আদেশ দিয়েছে হাইকোর্ট। ২ অক্টোবর বার্ষিক সাধারণ সভা ও বিশেষ সাধারণ সভা আহ্বান করেছিল বিসিবি পরিচালনা পর্ষদ। বিসিবির গঠনতন্ত্র-সংক্রান্ত এক মামলায় আপীলের রায়কে নিজেদের পক্ষে দাবি করে বার্ষিক সাধারণ সভা ও বিশেষ সাধারণ সভার তারিখ ঘোষণা করায় ক্রিকেট বোর্ডের বর্তমান পরিচালনা পর্ষদকে আইনী নোটিস পাঠিয়েছেন মামলার রিটকারী। মামলার বাদী স্থপতি মোবাশ্বের হোসেনের দাবি, রায় অনুযায়ী বিসিবির বর্তমান পরিচালনা পরিষদের সাধারণ সভা ঘোষণা করার কোন বৈধতা নেই। তারপরও তা করায় সাধারণ সভা ও বিশেষ সভাসহ বোর্ডের সব কার্যক্রম বন্ধের জন্য বিসিবি, বিসিবি সভাপতিসহ সাত ব্যক্তি এবং প্রতিষ্ঠানের বরাবর তিনি এ আইনী নোটিস পাঠান। বিসিবি ও বিসিবি সভাপতি ছাড়া আইনী নোটিস পাঠানো হয়েছে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় ও এর সচিব, জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ, ক্রীড়া পরিষদের চেয়ারম্যান এবং এর সচিব বরাবরও। এমন তথ্যই জানিয়েছেন নোটিস প্রেরণকারীর আইনজীবী ব্যারিস্টার মাহবুব শফিক। তাতে বলা হয়েছে, এ নোটিশ প্রাপ্তির ৭২ ঘণ্টার মধ্যে বিসিবিকে বার্ষিক ও বিশেষ সভা আয়োজনের যাবতীয় কার্যক্রম বন্ধ করতে হবে। একইসঙ্গে বর্তমান বোর্ড সভাপতি এবং পরিচালনা পর্ষদকে তাদের দায়িত্ব পালন থেকে বিরত থাকতে বলা হয়েছে। আইনী নোটিস পাওয়ার পর কী ব্যবস্থা নেয়া হলো, সেটি আগামী তিন দিনের মধ্যে না জানালে তাদের বিরুদ্ধে আইনী ব্যবস্থা নেয়া হবে বলেও উল্লেখ করা হয়েছে। আইনজীবী ব্যারিস্টার মাহবুব শফিক জানান, ‘১২ সালের বিসিবির সংশোধিত গঠনতন্ত্র অবৈধ ঘোষণা করে ২০১৩ সালের ২৭ জানুয়ারি রায় দেয় হাইকোর্ট। হাইকোর্টের এ রায় অনুযায়ী নির্বাচিত বিসিবির বর্তমান কমিটির কোন বৈধতা নেই।’ ‘যেহেতু গঠনতন্ত্রই অবৈধ তাহলে ওই গঠনতন্ত্র অনুযায়ী গঠিত বর্তমান কমিটিও অবৈধ। সেজন্য আমরা জাতীয় ক্রীড়া পরিষদকে বলেছি বিসিবি যেন এজিএম, ইজিএমসহ কোন কার্যক্রম পরিচালনা করতে না পারে, সে ব্যাপারে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে। নয়তো এ বিষয়ে রিট পিটিশন দায়ের করা হবে।’ ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজ জাতীয়করণের নির্দেশনা চেয়ে রিট পুরান ঢাকার জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ও বাহাদুর শাহ পার্কের পাশেই অবস্থিত ঢাকা ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজকে (জাতীয়) সরকারীকরণের প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়ার নির্দেশনা চেয়ে রিট করা হয়েছে হাইকোর্টে। রিটে ঢাকা ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালকে সরকারীকরণের প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ কেন নেয়া হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারির আর্জি জানানো হয়েছে। সোমবার হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় এ রিট দায়ের করেন সুপ্রীমকোর্টের আইনজীবী ইউনুছ আলী আকন্দ। রিটে স্বাস্থ্য সচিব, স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক, ঢাকা ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ, কলেজের পরিচালনা পর্ষদের (এডহক) চেয়ারম্যান, ঢাকা ন্যাশনাল মেডিক্যাল ইনস্টিটিউশন ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যকে বিবাদী করা হয়েছে। মঙ্গলবার হাইকোর্টের বিচারপতি এসএম এমদাদুল হক ও বিচারপতি ভীষ্মদেব চক্রবর্তীর সমন্বয়ে গঠিত অবকাশকালীন বেঞ্চে আবেদনটি শুনানির জন্য কার্যতালিকায় থাকবে বলেও জানান আইনজীবী। ইউনুছ আলী আকন্দ বলেন, ব্রিটিশ আমলে ১৯২৬ সালে ঢাকা ন্যাশনাল মেডিক্যাল ইনস্টিটিউশন প্রতিষ্ঠা করা হয়। তখন থেকেই সরকারের অর্থায়ন ও নিয়ন্ত্রণে এটি পরিচালিত হয়ে আসছে। পাকিস্তান আমলে ১৯৫৮ সালে চার বছরের মেডিক্যাল কোর্স (এলএমএফ) চালু হলেও পরে তা বন্ধ হয়ে যায়। পরবর্তীতে দেশ স্বাধীনের পর ১৯৯৪-৯৫ সেশনে ইনস্টিটিউশনের পাশাপাশি বেসরকারীভাবে মেডিক্যাল কলেজ করে ৬৩ শিক্ষার্থীকে ভর্তি করা হয়। ২০১৬-১৭ সেশেনে ২৩তম ব্যাচে ১৩০ জনকে ভর্তি করা হয়। এ পর্যন্ত ১২৮১ শিক্ষার্থী চিকিৎসা বিজ্ঞানে ডিগ্রী অর্জন করেছেন। তিনি বলেন, প্রত্যেক মেডিক্যাল কলেজের একটি হাসপাতাল থাকতে হয়। অথচ এখানে সরকারী হাসপাতাল আছে কিন্তু কলেজ বেসরকারী। ১৯২৬ সালে প্রতিষ্ঠিত এ হাসপাতালকে সরকারীকরণের উদ্যোগ নেয়া হয়নি। অথচ সরকারের সেখানে অর্থ ব্যয় হয়েছে। এদিকে কলেজের নামে বেসরকারীভাবে ছাত্র ভর্তি করে লাখ টাকা নেয়া হয়েছে। তাই ১৯২৬ সালের এই ইনস্টিটিউটকে কলেজসহ সরকারীকরণের প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে রিট দায়ের করা হয়েছে। দিনাজপুর পৌর মেয়রের বরখাস্তের আদেশ হাইকোর্টে স্থগিত দিনাজপুরের পৌরসভার মেয়র, বিএনপি নেতা সৈয়দ জাহাঙ্গীর আলমের সাময়িক বরখাস্তের আদেশ স্থগিত করে আদেশ দিয়েছে হাইকোর্ট। একইসঙ্গে তাকে মেয়র হিসেবে দায়িত্ব পালনে বাধা না দিতেও নির্দেশ দিয়েছে আদালত। এক আবেদনের শুনানি নিয়ে সোমবার হাইকোর্টের বিচারপতি এস এম এমদাদুল হক ও বিচারপতি ভীষ্মদেব চক্রবর্তীর সমন্বয়ে গঠিত অবকাশকালীন বেঞ্চ এই আদেশ দেন। আদালতে মেয়রের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল। তার সঙ্গে ছিলেন এ্যাডভোকেট নুসরাত ইয়াসমিন সুমাইয়া, মোসাদ্দেক বিল্লাহ ও রেজাউল করিম। অপরদিকে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি এ্যাটর্নি জেনারেল খুরশিদুল আলম।
×