ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

ইস্পাহানি মির্জাপুর বাংলাবিদ চ্যাম্পিয়ন ঢাকার মেয়ে নুসরাত সায়েম

প্রকাশিত: ০০:৩১, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০১৭

ইস্পাহানি মির্জাপুর বাংলাবিদ চ্যাম্পিয়ন ঢাকার মেয়ে নুসরাত সায়েম

স্টাফ রিপোর্টার ॥ ‘বাংলায় জাগো ভরপুর’ প্রতিপাদ্য নিয়ে ইস্পাহানি মির্জাপুর ও চ্যানেল আই আয়োজন করেছিল বাংলাভাষার শুদ্ধ উচ্চারণ, বানান ও ব্যাকরণের সঠিক ব্যবহার ছড়িয়ে দিতে বাংলাভাষা বিষয়ক মেধাভিত্তিক টিভি রিয়েলিটি শো ‘ইস্পাহানি মির্জাপুর বাংলাবিদ-২০১৭’ এর চ্যাম্পিয়ন হয়েছে চ্যাম্পিয়ন ঢাকার মেয়ে নুসরাত সায়েম। এ প্রতিযোগিতায় দ্বিতীয় হয়েছে সিরাজুল আরেফিন (খুলনা) এবং যৌথভাবে তৃতীয় হয়েছে রাইসা সালসাবিল (লক্ষ্মীপুর) ও সোয়েব আনিয়াদ খান তুর্য (পাবনা)। শীর্ষস্থান অধিকারী প্রতিযোগী পুরস্কার হিসেবে পেয়েছে ১০ লাখ টাকার মেধাবৃত্তি। দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থান অধিকারীকে দেয়া হয়েছে যথাক্রমে ৩ লাখ টাকা ও ২ লাখ টাকার মেধাবৃত্তি। এক থেকে দশম স্থান অধিকারী প্রত্যেকে পেয়েছে ৫০ হাজার টাকার সমমূল্যের একটি করে ল্যাপটপ এবং ব্যক্তিগত লাইব্রেরি গড়ে তোলার জন্য বাংলা বই ও একটি করে বই রাখার আলমারি। এ প্রতিযোগিতার মহোৎসব অনুষ্ঠিত হয়েছে ১৫ সেপ্টেম্বর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে। ৩৫ হাজার প্রতিযোগী থেকে সর্বশেষ টিকে থাকা ৬ জন প্রতিযোগীকে নিয়ে অনুষ্ঠিত হয় এ মহোৎসব অনুষ্ঠান। অনুষ্ঠানের শুরুতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন চ্যানেল আইয়ের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ফরিদুর রেজা সাগর, শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন পরিচালক ও বার্তাপ্রধান শাইখ সিরাজ এবং এমএম ইস্পাহানি লি. এর মহাব্যবস্থাপক ওমর হান্নান। বিজয়ীর হাতে পুরস্কার তুলে দিয়েছেন সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর, চ্যানেল আইয়ের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ফরিদুর রেজা সাগর, ‘ইস্পাহানি মির্জাপুর বাংলাবিদ’ মহোৎসবের অতিথি বিচারক এবং চ্যানেল আইয়ের পরিচালক ও বার্তাপ্রধান শাইখ সিরাজ, এম এম ইস্পাহানি লিমিটেডের উপদেষ্টা জাহিদা ইস্পাহানি ও ইস্পাহানি ফুড লিমিটেডের পরিচালক আলী ইস্পাহানি, প্রতিযোগিতার বিচারক ড. সৌমিত্র শেখর, সুবর্ণা মুস্তাফা প্রমুখ। প্রতিযোগিতার আরেক বিচারক আনিসুল হক বিশেষ কারণে উপস্থিত না থাকতে পারলেও ভিডিও বার্তায় বিজয়ীদের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। বিজয়ীদের নাম ঘোষণার আগমুহূর্তে মঞ্চে এসে সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর ‘নূরুলদীন এর সারাজীবন’ থেকে অংশ বিশেষ আবৃত্তি করেন। অনুষ্ঠানের সূচনা হয় প্রতিযোগিতার থিম-সং ‘বাংলা আমার এক ঠিকানা’ পরিবেশনের মধ্য দিয়ে। পুরো অনুষ্ঠানজুড়ে ছিল নানা চমক। এরই ধারাবাহিকতায় বাংলা নিয়ে ছিল বিশেষ গেম শো রাউন্ড। গেম শোগুলোর মধ্যে ছিল- আমার পছন্দ, গানে গানে খেলা, হিজিবিজি, প্রতিদিনের ভুলগুলো, আমার কথা বুঝতে পার এবং মূকাভিনেতা রাজের অভিনয় পর্ব। বাংলা ভাষাকে সমৃদ্ধ করেছে নানা ধরনের দেশাত্মবোধক গান। সেই রকম একটি গান ‘একটি বাংলাদেশ তুমি জাগ্রত জনতার’ পরিবেশন করেছেন উপমহাদেশের বিখ্যাত সঙ্গীতশিল্পী বাংলাদেশের গর্ব সাবিনা ইয়াসমিন। গানটি গেয়ে শোনার আগে সাবিনা ইয়াসমিন বলেন, সেরা ৬ জন প্রতিযোগী গানটি খুব মনোযোগ দিয়ে শুনতে হবে। কারণ, এই গান থেকে কিছু প্রশ্ন থাকবে তোমাদের জন্য। যে প্রশ্নগুলোর উত্তর তোমাদের চূড়ান্ত স্থান নির্ধারণে নম্বরের ভিত্তিতে এগিয়ে নেবে। অনুষ্ঠানে ‘আগুনের পরশমনি’ গানটি পবিশেন করেন রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা। গানটি পরিবেশনের পাশাপাশি ছিল মনোমুগ্ধকর নৃত্য যা, পরিবেশন করেছেন চ্যানেল আই সেরা নাচিয়ে তুষার ও তার দল। এর আগে প্রতিযোগিতাটির শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত কিছু অংশ বিশেষ দেখানো হয়। একদল নৃত্যশিল্পীর অংশগ্রহণে কাজী নজরুল ইসলামের ‘চল চল চল’ কবিতার আবৃত্তি করেন আবৃত্তিশিল্পী মাহিদুল ইসলাম। ‘মহোৎসব’ অনুষ্ঠানটি ঐদিন সন্ধ্যা ৭-৩৫ মিনিট থেকে সরাসরি সম্প্রচার করেছে চ্যানেল আই। ‘ইস্পাহানি মির্জাপুর বাংলাবিদ’ উপস্থাপনা করেছেন খায়রুল বাশার এবং পরিচালনা করেছেন তাহের শিপন। সেরা ৬ জন প্রতিযোগী হলেন- সোয়েব আনিয়াদ খান তুর্য (পাবনা), সিরাজুল আরিফিন (খুলনা), রাইসা সালসাবিল (লক্ষ্মীপুর), নুসরাত সায়েম (ঢাকা), প্রতীক পনতীর্থ (সিলেট) ও সমর্পণ বিশ্বাস (খুলনা)। দশম স্থান অধিকারী অন্য চারজন প্রতিযোগী- পার্থ প্রতীম দাস প্রিতম, সালে মাহমুদ তানিম, রোকাইয়া ইসলাম ও আলভী আমীন।
×