অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ ভার্চুয়াল মুদ্রা নিয়ে সরকার সতর্ক বার্তা দেওয়ার পর অন্যতম জনপ্রিয় মুদ্রা বিটকয়েন বন্ধ করতে যাচ্ছে চীন। দেশটির মানি এক্সচেঞ্জগুলো এই মুদ্রার লেনদেন বন্ধ করা শুরু করেছে।
চীনের মুদ্রা বিনিময়ে সবচেয়ে বড় প্রতিষ্ঠানগুলোর একটি বিটিসিসি। প্রতিষ্ঠানটি সম্প্রতি জানিয়েছে, তারা সরকারের ডাকে সাড়া দিতে আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর থেকে এই মুদ্রার লেনদেন আনুষ্ঠানিকভাবে বন্ধ করে দেবে।
চীনের কর্তৃপক্ষ এই মুদ্রার লেনদেন বন্ধে গত ৫ সেপ্টেম্বর প্রাথমিকভাবে নির্দেশনা দেয়। এরপর থেকে এক্সচেঞ্জ হাউজগুলো এ ধরনের পদক্ষেপ নেওয়া শুরু করে। ডিজিটাল এই মুদ্রার লেনদেন দেশটিতে ব্যাপক বিস্ফোরণ দেখা যায়। একসময় এই মুদ্রায় বিনিয়োগের আর্থিক ঝুকির আশঙ্কা বৃদ্ধি পায়।
বিবিসির জানায়, গত বৃহস্পতিবার বিটিসিসি এই তথ্য জানানোর পর বিকেলে ব্যাপক দরপতন হয় এই মুদ্রার। একাধিক আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যমের খবর অনুযায়ী, চলতি বছরে এক পর্যায়ে মুদ্রাটির দাম ৫ হাজার ডলার ছাড়িয়ে যায়। কিন্তু চীনের জেরেই এটি দর এখন ৩ হাজার ডলারের নিচে। অবশ্য এই ২ হাজার ডলার গায়েব হয়েছে সম্প্রতিই।
২০০৮ সালে এ মুদ্রা চালু হয়। এটি চালু হওয়ার পর মনে করা হয়, খুব শিগগির এই মুদ্রা জনপ্রিয়তা পাবে না। চালুর পর থেকেই এর মূল্য ওঠা-নামা করতে থাকে। ২০১৪ সালে বিটকয়েনের বড় আকারের দরপতন ঘটে।
কিন্তু কোনো কিছুই এর উত্থান থামাতে পারেনি। গত দুই বছরে এই মুদ্রা বিশ্বব্যাপী জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে। অনেক দেশ নতুন করে এই মুদ্রার বৈধতা দেওয়ার কথা ভাবছিল।
তবে মুদ্রাটির বিরুদ্ধে অভিযোগও ছিল। চীনের অভিযোগ ছিল, বিটকয়েনের মাধ্যমে বিদেশে অর্থ পাচার হচ্ছে। দেশটি পাচার বিরোধী অভিযানও শুরু করে। বাড়ানো হয় নজরদারি। এ মুদ্রায় মানি লন্ডারিংয়ের মতো বড় কোনো সমস্যা ঘটতে পারে কি না তাও বিশ্লেষণ করা হয়। এরপরই চীন এ মুদ্রা নিয়ে সিদ্ধান্ত নেয়। এখন তা কার্যকর হওয়ার পালা।
আরো পড়ুন
শীর্ষ সংবাদ: