ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

বন্যা ও রোহিঙ্গা সমস্যা সরকারের জন্য চ্যালেঞ্জ ॥ সেতুমন্ত্রী

প্রকাশিত: ০২:৫৯, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০১৭

বন্যা ও রোহিঙ্গা সমস্যা সরকারের জন্য চ্যালেঞ্জ ॥ সেতুমন্ত্রী

সংসদ রিপোর্টার ॥ বন্যা ও রোহিঙ্গা সমস্যা নিয়ে সরকার চ্যালেঞ্জিং সময় পার করছে বলে মন্তব্য করেছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, আমাদের মনে রাখতে হবে এই মুহুর্তে খুব ’চ্যালেঞ্জিং টাইম’ অতিক্রম করছি। বন্যায় আমরা মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছি। হাওড়ে, উপকূলে এবং সাম্প্রাতিক বন্যায় আমাদের রাস্তাগুলো মারাত্মক ক্ষতি করেছে। এখন আবার নতুন করে যুক্ত হয়েছে একটা ’ফ্যাটাসটিক সিচুয়েশন (হৃদয় বিদারক অবস্থা), তা হচ্ছে রোহিঙ্গাদের জনস্রোত। এরই মধ্যে ৪ লাখ রোহিঙ্গা বাংলাদেশে এসেছে। আরো লক্ষাধিক রোহিঙ্গা প্রবেশের অপেক্ষায়। বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদ অধিবেশনে জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য নুরুল ইসলাম ওমরের উত্থাপিত বগুড়া জেলার সাথমাথা হতে দত্তবাড়ী পর্যন্ত ফ্লাইওভার নির্মাণ সংক্রান্ত আনিত সিদ্ধান্ত প্রস্তাবের জবাব দিতে গিয়ে মন্ত্রী এসব কথা বলেন। সড়ক ও সেতু মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন কার্যক্রম তুলে ধরে ওবায়দুল কাদের বলেন, সংসদ সদস্যরা যে প্রস্তাবগুলো করেছেন এবং এর সঙ্গে যে সকল সংশোধনী প্রস্তাব এসেছে এগুলো যুক্তিসঙ্গত ও বাস্তবমুখি। কিন্তু এগুলো নির্মাণ করা অত্যন্ত ব্যয়বহুল ও সময় সাপেক্ষ। তবে এটাও মনে রাখতে হবে এক সঙ্গে এত প্রকল্প যদি গ্রহণ করতে যাই সেটা বাস্তব সম্মত নয়। মন্ত্রী বলেন, টানা বর্ষণজনিত প্লাবণের কারণে আমাদের রাস্তাগুলোর ভাল অবস্থায় নেই। রাস্তায় এখন প্রচন্ড যানজট। আমরা কোনটাকে অগ্রাধিকার দেব? আগে ক্ষতিগ্রস্ত রাস্তা সংস্কার করবো নাকি নতুন নতুন ফ্লাইওভার নির্মাণ করবো? সরকারের বিভিন্ন উন্নয়ন কার্যক্রম তুলে ধরে সেতুমন্ত্রী বলেন, সময়মত কক্সবাজারে মেরিন ড্রাইভ নির্মাণ করতে পেরেছিলাম বলেই সেদিন ৩৬টি দেশের কূটনৈতিকরা উখিয়ার কুতুপালং-এ যেতে পেরেছিলেন। তিনি বলেন, ক্ষতিগ্রস্ত রাস্তাগুলো নিয়মিত সংস্কারের প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। মেরিন ড্রাইভ নির্মাণ করতে এককালীন অনেক অর্থ ব্যয় হয়েছে। বন্যায় অনেক ক্ষতি হয়েছে। এই অবস্থায় অগ্রাধিকার কোথায় দেব? রাস্তার প্রশস্থতা বাড়াতে হবে। এরকম অপ্রত্যশিত অনেক ব্যয় সামনে চলে এসেছে। কিন্তু এসব করতে আমাদের বাজেট নেই। বন্যায় রাস্তায় ধুয়ে গেছে। এসব জায়গাতেও বাজেটে বরাদ্দ নেই। এগুলোকে আবার পূর্বাবস্থায় ফিরিয়ে আনা জরুরী এবং ব্যয়বহুল। মন্ত্রী আরো বলেন, ঢাকা সিটিসহ নির্মিত এবং নির্মিয়মান অনেকগুলো ফ্ল্যইওভার রয়েছে। এছাড়া ১৪টির মত রেলওভার পাস এবং ফ্লাইওভার নির্মাণাধিন রয়েছে। কাজেই যেসব কাজ অগ্রাধিকার ভিত্তিতে করতে হবে, সেগুলোই ঠিক করার পর অন্য কাজ করতে পারব। সেটা করতে পারব না সেই ধরণের ওয়াদা দিতে পারব না।
×