ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

দ্বিতীয়বারের মতো অনুষ্ঠিত হচ্ছে ডাটা সেন্টার টেকনোলজি সামিট

প্রকাশিত: ০২:২৪, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০১৭

দ্বিতীয়বারের মতো অনুষ্ঠিত হচ্ছে ডাটা সেন্টার টেকনোলজি সামিট

স্টাফ রিপোর্টার ॥ বিশ্বের ৯ দেশের অংশগ্রহণে দেশে দ্বিতীয়বারের মতো অনুষ্ঠিত হচ্ছে ‘ডাটা সেন্টার টেকনোলজি সামিট-২০১৭’। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ডাটা সেন্টার ব্যবস্থাপনায় দেশের বিশ্ববিদ্যালয় থেকে যেসব প্রকৌশলী তৈরী হচ্ছে তা পর্যাপ্ত নয় বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন সংশ্লিষ্টরা। দক্ষ মানব সম্পদ উন্নয়নে ডাটা সেন্টার প্রযুক্তি সংশ্লিষ্টরা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রকৌশল বিভাগে ‘ডাটা সেন্টার প্রযুক্তি’ বিষয় অন্তুর্ভুক্তির প্রস্তাব দেন। সামিটের প্রথম দিনে বিভিন্ন সেশন ও সেমিনারে, ডাটা সেন্টার নির্মাণ থেকে শুরু করে এর প্রযুক্তিগত অবকাঠামো উন্নয়নের বিভিন্ন দিক উঠে আসে। প্রযুক্তিটিকে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে বা সমমানে উন্নীত করতে এডিটিং ও সার্টিফিকেশন প্রক্রিয়া নিয়েও আলোচনা হয়। বলা হয়, ডাটার নিরাপত্তাই সর্বপ্রথম অগ্রগন্য। এজন্য ডাটাকে সুরক্ষিত করতে হবে বিভিন্ন ধাপে। বৃহস্পতিবার সকালে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে আনুষ্ঠানিকভাবে পর্দা উঠে এই সামিটের। দুই দিনের এই সামিট শেষ হচ্ছে শুক্রবার। সকালে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে সামিটের উদ্বোধন করেন বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশন রেগুলেটরি কমিশনের চেয়াম্যান ড: ইমরান আহমেদ এমপি। বাংলাদেশী প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান ডিসি আইকন ও ডাটা সেন্টার প্রফেশনাল সোসাইটি অব বাংলাদেশ যৌথভাবে এই সামিটের আয়োজন করে। সামিট আয়োজনের লক্ষ্য তুলে ধরে ডিসিআিইকনের প্রধান নির্বাহী মাসুদ পারভেজ বলেন, সবার প্রথমেই ডাটার নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। আমাদের লক্ষ্য হলো যারা ডাটা সেন্টার করবেন অথবা তৈরি করছেন তাদের সবাইকে একত্রিত করা। সামিটে তথ্য প্রযুক্তি সংশ্লিষ্ট যে কেউই আসতে পারবেন এবং তার নলেজ শেয়ার করতে পারবেন। তিনি বলেন, এটি তথ্যপ্রযুক্তি পেশাজীবী বা নীতি নির্ধারকদের জন্য একটি উন্মুক্ত সামিট। এই সামিট থেকে ভোক্তারা সব ধরণের সমস্যার সমাধান পাবেন এবং এর মাধ্যমে দেশের তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির খাত আরও সুষ্ঠুভাবে ব্যবহার করতে পারবেন। বিটিআরসি চেয়ারম্যান শাজাহান মাহমুদ বলেন, দেশে প্রযুক্তি ভিত্তিক কার্যক্রম বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে বাড়ছে তথ্যের পরিমাণ। দেশে বর্তমানে ইউনিয়ন পর্যায়েও প্রযুক্তির ব্যবহার জনপ্রিয়। এতো বড় জনগোষ্ঠীর প্রযুক্তি তথ্য ব্যবস্থাপনায় ডাটা সেন্টার প্রযুক্তি সম্ভাবনাময়। এই খাতে অভ্যন্তরীণ দক্ষতা উন্নয়নে আমাদের মনযোগী হতে হবে। সংসদ সদস্য ইমরান আহমেদ বলেন, সরকারের ডিজিটাল বাংলাদেশ ভিশনের অন্যতম উদ্যোগ ফোর টায়ার ন্যাশনাল ডাটা সেন্টার। আমাদের দেশের প্রযুক্তি তথ্য ব্যবস্থাপনায় দক্ষ মানব সম্পদ পর্যাপ্ত নয়। দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর কম্পিউটার বিজ্ঞান বিভাগের সঙ্গে ডাটা সেন্টার বিষয়টি অন্তুর্ভুক্তি করে দক্ষ মানব সম্পদ উন্নয়নে নজর দেয়া দরকার। এসময় আয়োজকরা বলেন, সামিট আয়োজনের মূল লক্ষ্য হলো সার্বিকভাবে দেশের ডাটা সেন্টার প্রযুক্তির অবকাঠামোগত উন্নয়ন এবং বিশ্বায়নে কার্যকরী ভূমিকা রাখার সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখা। অর্থাৎ এই প্রযুক্তিকে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে বা সমমানে উন্নীত করা এবং পাশাপাশি শিক্ষিত মেধাবী যুবকদের তথ্য প্রযুক্তির উন্নয়নে যথাযত প্রক্রিয়ায় আকৃষ্ট করে জীবন যাত্রার মান আধুনিক পর্যায়ে উন্নীত করা। তারা বলেন, অবকাঠামোগত উন্নয়ন, কারিগরি ও চালিকা প্রক্রিয়ায় সহযোগিতা প্রদান, এডিটিং ও সার্টিফিকেশন প্রক্রিয়ায় সহযোগিতা করা এর অন্যতম লক্ষ্য। এবারের ডাটা সেন্টার টেকনোলজি সামিটে মোট সেশন হবে ৫৯টি এবং সেমিনার হবে ৫০টিরও বেশি। এবারের সামিটে আমেরিকা, জার্মানি, ফ্রান্স, ইংল্যান্ড, ইতালি, সিঙ্গাপুর, সুইজারল্যান্ড, ইন্ডিয়া, শ্রীলঙ্কার অংশগ্রহণে বিআইসিসি কেন্দ্র ছিলো মুখরিত। ডাটা কেন্দ্রিক প্রযুক্তিপ্রেমীদের চোখে মুখে নতুন জ্ঞান আহরণের প্রচেষ্টা লক্ষ্য করা গেছে। সামিট সকাল ১০ টা থেকে শুরু হয়ে সন্ধ্যা ৬ টা পর্যন্ত চলছে।
×