ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

প্রতিটি নাগরিকে হেলথ কার্ড দেওয়া হবে ॥ স্বাস্থ্যমন্ত্রী

প্রকাশিত: ০০:৫৩, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০১৭

প্রতিটি নাগরিকে হেলথ কার্ড দেওয়া হবে ॥ স্বাস্থ্যমন্ত্রী

সংসদ রিপোর্টার ॥ বিশ্বে যে সব দেশে কম ওজন নিয়ে জন্ম নেওয়ার শিশুর হার বেশি, বাংলাদেশ তার অন্যতম। তা প্রতিরোধে বর্তমান সরকার ২০১৩ সালের জুলাইয়ে ঘোষিত এ প্রমিজন রিনিউ-এ শিশু বেঁচে থাকার অধিকার সংরক্ষণে ১৩টি মাতৃ ও শিশু স্বাস্থ্য এবং নবজাতক কৌশল গ্রহণ করেছে। ক্যাঙারু মাদার কেয়ার (কেএমসি)- এ ১৩টি কৌশলগুলোর একটি। ডেপুটি স্পীকার এ্যাডভোকেট ফজলে রাব্বি মিয়ার সভাপতিত্বে বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদ অধিবেশনে প্রশ্নোত্তর পর্বে সরকার দলীয় সংসদ সদস্য মমতাজ বেগমের প্রশ্নের জবাবে প্রশ্নের জবাবে এ তথ্য জানান স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম। অপর এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী জানান, দেশের প্রতিটি নাগরিকের স্বাস্থ্য উপাত্তভিত্তিক একটি ইলেট্রনিক তথ্য ভান্ডার গড়ে তোলার জন্য গ্রাম পর্যায়ে বসবাসকারী সকল নাগরিকের তথ্য সম্বলিত ডাটাবেজ তৈরির কাজ সম্পন্ন হয়েছে। এখন এই ডাটাবেইজভিত্তিক লাইফ টাইম শেয়ার পোর্টেবল সিটিজেনস ইলেকট্টনিক হেলথ কার্ড তৈরির কাজ চলছে। তিনি জানান, সিভিল রেজিস্ট্রেশন এ্যান্ড ভাইটাল স্টাটিকস নামে একটি আন্তর্জাতিক উদ্যোগের আওতায় বর্তমানে জন্ম-মৃত্যু নিবন্ধন, ইলেকশন কমিশন ভোটার ডাটাবেইজ, স্বাস্থ্য ডাটাবেইজ এবং নির্মিয়মান দারিদ্র্য ডাটাবেইজসমূহ সম্বলিত করে আঙ্গুলের ছাপ ও রেটিনার ছবিযুক্ত ন্যাশনাল ইলেকট্টনিক পপুলেশন রেজিস্টার তৈরির কাজ চলছে। সংসদ সদস্য আলী আজমের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী জানান, স্বাস্থ্য বিভাগের সরকারি স্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠানে বর্তমানে এমবিবিএস ডাক্তারের অনুমোদিত পদ সংখ্যা ২৪ হাজার ৪৫৭টি এবং বর্তমানে কর্মরত ডাক্তারের সংখ্যা ২০ হাজার ২২৭টি। সরকার দলীয় সংসদ সদস্য সেলিম উদ্দিনের প্রশ্নের জবাবে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানান, দেশে চিকুনগুনিয়ায় আক্রান্ত হয়ে কোন লোক মারা যায়নি। চলতি বছরের ৪ মাসে আইইডিসিআর-এ প্রাপ্ত রক্তের নমুনা পরীক্ষায় চিকুনগুনিয়ায় আক্রান্তের সংখ্যা সর্বমোট ৯৮০ জন। দেশের বিভিন্ন জেলার সিভিল সার্জন ও মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল হতে প্রাপ্ত সম্ভাব্য চিকুনগুনিয়া রোগীর সংখ্যা ঢাকাতে ১৩ হাজার ৩৯৪ জন। ঢাকা সিটি করপোরেশন ব্যতিত সারা দেশে ১৮৫ জন, সর্বমোট ১৩ হাজার ৫৭৯ জন। সংসদ সদস্য আলী আজমের প্রশ্নের জবাবে মোহাম্মদ নাসিম জানান, দেশে মোট ৩২টি সরকারি, ৬৩টি বেসরকারি এবং আর্মফোর্সেস মেডিকেল কলেজ মিলিয়ে মোট ১০০টি মেডিকেল কলেজ চলমান। এসব মেডিকেল কলেজে ৭ হাজার ২০১টি এবং বাংলাদেশ আর্মি নিয়ন্ত্রিত ৬টি মেডিকেলে ৩৫০টি এমবিবিএস আসন আছে। অর্থাৎ মোট এমবিবিএস আসন সংখ্যা ১০ হাজার ৮৪৭টি। সরকার দলীয় সংসদ সদস্য মোহাম্মদ মিজানুর রহমানের প্রশ্নের জবাবে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানান, দেশে ডায়াবেটিক ও কিডনি রোগের সংখ্যা বহু গুণে বৃদ্ধি পেয়েছে। বর্তমনে দেশের প্রতিটি সরকারি হাসপাতালেই ডায়াবেটিক রোগীদের স্বল্পমূল্যে চিকিৎসা প্রদান করা হচ্ছে। সরকারিভাবে জাতীয় কিডনি ডিজিজেস এন্ড ইউরোলজি হাসপাতালে কিডনি রোগীদের ডায়ালাইসিসসহ উন্নত চিকিৎসা প্রদান করা হচ্ছে। তাছাড়া দেশে সকল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে কিডনি ডায়ালাইসিস সেবা চালু আছে। পর্যায়ক্রমে জেলা সদর হাসপাতালে ডায়ালাইসিস সেবা চালু করা হবে।
×