ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

এই বিস্ময়বালক মাত্র ৩ মিনিটে বলতে পারে ১৯৮টি দেশের রাজধানীর নাম

প্রকাশিত: ১৯:১৫, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০১৭

এই বিস্ময়বালক মাত্র ৩ মিনিটে বলতে পারে ১৯৮টি দেশের রাজধানীর নাম

অনলাইন ডেস্ক ॥বয়স মাত্র পাঁচ। তবে তাকে ঘিরে বিস্ময়ের শুরুটা হয়েছিল আরও আগে, দেড় বছর বয়সে। যখন একটি শিশুর মনে সবেমাত্র রং সম্পর্কে ধারণা তৈরি হতে শুরু করে, তখনই বছর দেড়েকের সোমদীপ পড়ালি নিমেষেই চিনে ফেলতে পারত একাধিক রং। অক্ষর চিনে পড়ে ফেলতে পারত খবরের কাগজ। পড়ে ফেলতে পারত গাড়ির নম্বরও। সরকারি চাকরির সূত্রে সোমদীপের বাবা দীপেন্দ্রনাথ তখন অসমের ডিব্রুগড়ে থাকতেন। ছেলের এমন ক্ষমতায় অবাক হয়ে গিয়েছিলেন বাবা-মা। তার স্মৃতিশক্তি যে আর পাঁচটা ছেলের মতো নয়, তা বুঝে যান তাঁরা। ২০১৬ সালে চার বছর বয়সেই ইন্ডিয়া বুক অব রেকর্ডস (আইবিআর)-এ নাম ওঠে সোমদীপের। সে বার ১ থেকে ১০০ সংখ্যা এবং ইংরেজি বর্ণমালার ‘জেড’ থকে ‘এ’ পর্যন্ত উল্টোদিকে ঝড়ের গতিতে বলতে পেরেছিল সোমদীপ। ১০০ থেকে ১-এ ফিরতে সময় নিয়েছিল ৫১ সেকেন্ড। আর ‘জেড’ থকে ‘এ’ পর্যন্ত বলেছিল ৩.৫ সেকেন্ডে। দুটি ক্ষেত্রেই আইবিআর বিস্ময়বালক হিসাবে সোমদীপকে স্বীকৃতি দেয়। ২০১৬ সালেই আরও দুটি রেকর্ড করে সে। ৭৪টি দেশের নাম আর তার রাজধানী বলে দেওয়ার পাশাপাশি ৭৫টি শব্দের বিপরীত শব্দ সে বলে দিয়েছিল মাত্র এক মিনিটে। ২০১৭ সালে মাত্র তিন মিনিটে ১৯৮টি দেশের নাম আর রাজধানী একনাগাড়ে বলতে পারায় সোমদীপকে বিশ্বে দ্রুততম হিসাবে স্বীকৃতি দেয় ইউনিভারসাল রেকর্ড ফোরাম। দেয় শংসাপত্র ও ট্রফি। সোমদীপের বাবা-মা বলেন, ‘‘প্রথমে ছেলের এমন কাণ্ড দেখে অনেকেই ঘাবড়ে গিয়েছিলেন। দীপেন্দ্রবাবু জানান, কর্মসূত্রে কেরলের কোচিতে বদলি হয়ে গেলে এ সবের জন্য সেখানে ছেলেকে স্কুলে ভর্তিতে সমস্যা হচ্ছিল। পরে অবশ্য তাকে বিশেষ ভাবে ভর্তি নেয়। সোমদীপের মা জানান, ওর এমন স্মৃতিশক্তি দেখে স্কুলের শিক্ষকরাই উদ্যোগী হয়েছিলেন প্রতিযোগিতায় নামাতে। সবকিছুই ও খুব দ্রুত বলতে পারে বর্তমানে হলদিয়ার একটি বেসরকারি স্কুলের ছাত্র সোমদীপ। তবে এত কম বয়সে এমন স্মৃতিশক্তির বিষয়ে মনোচিকিৎসক জয়রামন বলেন, ‘‘বয়স অনুপাতে এটা অস্বাভাবিক মনে হলেও এমন ঘটনা যে এর আগে দেখা যায়নি তা নয়।’’ তবে সোমদীপের এমন স্মৃতিশক্তি তার পড়াশোনার ক্ষেত্রে সহায়ক হবে কি না সেই প্রশ্নে তিনি জানান, সেটা এত আগে নিশ্চিত করে বলা সম্ভব নয়। সূত্র : আনন্দবাজার পত্রিকা
×