ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

নিরাপত্তা পরিষদকে হস্তক্ষেপ চান নোবেলজয়ীরা

প্রকাশিত: ০৫:৫৩, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০১৭

নিরাপত্তা পরিষদকে হস্তক্ষেপ চান নোবেলজয়ীরা

বিডিনিউজ ॥ রোহিঙ্গা সঙ্কট অবসানে নিরাপত্তা পরিষদের জরুরী হস্তক্ষেপ চেয়ে খোলা চিঠি লিখেছেন মুহাম্মদ ইউনূসসহ ৩০ ব্যক্তি, যাদের মধ্যে নোবেলজয়ী ১৮ জনের সঙ্গে রয়েছেন বিভিন্ন দেশের সাবেক মন্ত্রী, ব্যবসায়ী, সমাজসেবী ও অধিকারকর্মী। বুধবার ইউনূস সেন্টারের মাধ্যমে আসা এই খোলা চিঠিতে বলা হয়, মিয়ানমারের রাখাইন এলাকায় মানবীয় ট্র্যাজেডি ও মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ যে ভয়ঙ্কর রূপ নিয়েছে, তার অবসানে আপনাদের জরুরী হস্তক্ষেপ প্রয়োজন। আপনাদের এই মুহূর্তের দৃঢ়সংকল্প ও সাহসী সিদ্ধান্তের ওপর মানব ইতিহাসের ভবিষ্যত গতিপথ অনেকটাই নির্ভর করছে। বাংলাদেশের নোবেলজয়ী ইউনূসের সঙ্গে এই আহ্বানে যুক্ত শান্তিতে নোবেলজয়ীরা হলেন আর্চবিশপ ডেসমন্ড টুটু, শিরিন এবাদী, মালালা ইউসুফজাই, মেইরিড মাগুইর, বেটি উইলিয়াম্স, অসকার আরিয়াস সানচেজ, জোডি উইলিয়াম্স, লেইমাহ বোয়ি, তাওয়াক্কাল কারমান। ১৯৯৩ সাল চিকিৎসায় নোবেলজয়ী স্যার রিচার্ড জে রবার্টস এবং ২০০৯ সালে চিকিৎসায় নোবেলজয়ী এলিজাবেথ ব্লাকবার্নও এই আহ্বান জানিয়েছেন। পাকিস্তানের মানবাধিকার নেত্রী আসমা জাহাঙ্গীর, ভারতের কবি জাভেদ আখতার ও অভিনেত্রী শাবানা আজমীও এই চিঠিতে যুক্ত হয়েছেন। অন্যদের মধ্যে রয়েছেন মালয়েশিয়ার সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী সাইয়েদ হামিদ আলবার, ইতালির সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী এমা বোনিনো, নরওয়ের সাবেক প্রধানমন্ত্রী গ্রো হারলেম ব্রান্ডটল্যান্ড, থাইল্যান্ডের সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী কাসিত পিরোমিয়া, আসিয়ানের সাবেক মহাসচিব সুরিন পিতসুয়ান। তাদের চিঠিতে লেখা হয়, সহিংসতার মাত্রা বৃদ্ধি পেলে গত বছরের শেষে আমরা কয়েক নোবেল লরিয়েট ও বিশ্বের বিশিষ্ট নাগরিকবৃন্দ এ বিষয়ে জরুরী হস্তক্ষেপের আহ্বান জানিয়ে আপনাদের নিকট অনুরোধ জানিয়েছিলাম। আপনাদের হস্তক্ষেপ সত্ত্বেও পরিস্থিতির কোন উন্নতি হয়নি। পরিস্থিতির ক্রমাগত অবনতির প্রেক্ষিতে নিরীহ নাগরিকদের ওপর অত্যাচার বন্ধ এবং রাখাইন এলাকায় স্থায়ী শান্তি প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে সুনির্দিষ্ট ও কার্যকর পদক্ষেপ নেয়ার জন্য আমরা আবারও আপনাদের কাছে অনুরোধ জানাচ্ছি। এই মাসে জাতিসংঘ সাধারণ অধিবেশনের আগে রোহিঙ্গা সঙ্কটের বিষয়টি বিশ্বজুড়ে আলোচিত। আলোচনার জন্য সুইডেন ও যুক্তরাজ্য জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠক ডাকার আহ্বান জানিয়েছে। যুক্তরাজ্যের পাশাপাশি নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্য হিসেবে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়া, চীন ও ফ্রান্স। এই দেশগুলোর যে কোন প্রস্তাব আটকে দেয়ার ক্ষমতা রয়েছে। নিরাপত্তা পরিষদের অস্থায়ী সদস্যরাষ্ট্র হিসেবে সুইডেনের সঙ্গে এখন রয়েছে বলিভিয়া, মিসর, ইথিওপিয়া, ইতালি, জাপান, কাজাখস্তান, সেনেগাল, ইউক্রেন ও উরুগুয়ে।
×