ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

রাজশাহী হাই-টেক পার্কে ১৪ হাজার তরুণ-তরুণীর কর্মসংস্থান

প্রকাশিত: ০২:৩০, ১৩ সেপ্টেম্বর ২০১৭

রাজশাহী হাই-টেক পার্কে ১৪ হাজার তরুণ-তরুণীর কর্মসংস্থান

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ রাজশাহীতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব হাই-টেক পার্কের কাজ শেষ হলে এখানে প্রায় ১৪ হাজার তরুণ-তরুণীর কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে। যা রাজশাহীর আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে বড় ধরনের অবদান রাখবে। আগামী ১৪ সেপ্টেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রাজশাহীতে যেসব প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করবেন তার মধ্যে সবচেয়ে বড় প্রকল্প হলো বঙ্গবন্ধু হাই-টেক পার্ক। ২০১১ সালের ২৪ নভেম্বর রাজশাহীতে এক জনসভায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব হাই-টেক পার্ক নির্মাণের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পরে গেলো বছরের ২৩ ডিসেম্বর একনেকের এক সভায় প্রকল্পটির অনুমোদন দেয়া হয়। পদ্মা নদীর তীরে প্রায় ৩১ একর জমির ওপর নির্মিত হতে যাওয়া এ প্রকল্পের সম্ভাব্য ব্যয় ধরা হয়েছে ২৮১ কোটি ১৯ লাখ টাকা। যা নির্মিত হতে যাচ্ছে রাজশাহী নগরীর নবীনগর মৌজার হড়গ্রাম বাজারের পাশে। এ বছরের ১৮ জুলাই গেট ও সীমানা প্রাচীরের ভিত্তিপ্রস্তর উন্মোচনের মধ্য দিয়ে এর অবকাঠামো নির্মাণের প্রাথমিক পর্যায়ের কাজ শুরু হয়। ২০২১ সালের মধ্যে এই প্রকল্পের নির্মাণ কাজ শেষ হবে। বিওবির অর্থায়নে হাই-টেক পার্কটিতে ১০ তলার একটি এমটিবি ভবন নির্মাণ করা হবে। এছাড়া ৬২ হাজার বর্গফুট আয়তনের পাঁচতলার একটি আইটি ইনকুবেটর কাম ট্রেনিং সেন্টার স্থাপন করা হবে। এ বিষয়ে গাজীপুরের কালিয়াকৈর হাই-টেক পার্কের অতিরিক্ত প্রকল্প পরিচালক আজিজুল ইসলাম বলেন, ‘রাজশাহীতে এই হাই-টেক পার্ক আমরা সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে পারবো। আমরা পূর্বের অভিজ্ঞতা এখানে কাজে লাগাতে পারবো। এখানে ১৪ হাজার ছেলেমেয়েদের প্রশিক্ষণের দ্বারা আউট সোর্সিংয়ের মাধ্যমে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনে সক্ষম হব’। রাজশাহী সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র ও মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব হাই-টেক পার্ক রাজশাহীর একটি স্বপ্ন। এটি এখন বাস্তবে রূপ নিতে চলেছে। যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালির আদলে এ পার্কটি নির্মিত হতে যাচ্ছে। আর এই পার্ক থেকে ভারতের ব্যাঙ্গালুরু, শ্রীলংকা, আমেরিকার সানফ্রান্সিসকো বা ক্যালিফোর্নিয়ার সিলিকন সিটির মতো বিশ্বমানের সফটওয়্যার তৈরিসহ আউট সোর্সিংয়ের মাধ্যমে প্রায় ১৪ হাজার তরুণ-তরুণী আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন করবে। তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর ভাবনা অনুযায়ী ব্যাপক তরুণ জনশক্তি থাকায় রাজশাহীতেই আইটি শিল্পটা বিকাশ হওয়ার স্বম্ভাবনা সবচেয়ে বেশি। হাইটেক পার্কের নির্মাণ শেষে এখানে ১৪ হাজার তরুণ-তরুণীর কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা হবে। ২০২১ সাল নাগাদ রাজশাহীকে সারাবিশ্ব চিনবে এই হাই-টেক পার্কের মধ্য দিয়ে।
×