ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

জিয়া পরিবারের টাকা পাচার সংক্রান্ত রিপোর্ট সরকারের হাতে

প্রকাশিত: ০১:৪৪, ১৩ সেপ্টেম্বর ২০১৭

জিয়া পরিবারের টাকা পাচার সংক্রান্ত রিপোর্ট সরকারের হাতে

সংসদ রিপোর্টার ॥ প্রধানমন্ত্রী ও সংসদ নেতা শেখ হাসিনা বলেছেন, জিয়া পরিবারের দুবাইসহ ১২টি দেশে ১২শ’ কোটি টাকা পাচার সংক্রান্ত যুক্তরাষ্ট্র ভিত্তিক গোয়েন্দা সংস্থা গ্লোবাল ইন্টেলিজেন্স নেটওয়ার্কের (জিআইএন) রিপোর্ট সরকারের হাতে এসেছে এবং এ নিয়ে তদন্ত চলছে। তদন্তে জিআইএনের রিপোর্টের সত্যতা প্রমাণিত হলে যারা দেশের জনগণের সম্পদ লুন্ঠন করে বিদেশে পাচার করেছে তাদের বিরুদ্ধে অবশ্যই ব্যবস্থা নেয়া হবে। একই সঙ্গে পাচারকৃত অর্থ আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে দেশে ফেরত আনা হবে। স্পীকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে বুধবার জাতীয় সংসদ অধিবেশনে প্রধানমন্ত্রীর জন্য নির্ধারিত ত্রিশ মিনিটের প্রশ্নোত্তর পর্বে বিরোধী দল জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য ফখরুল ইমামের সম্পুরক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, আমরা যদি এ বিষয়টি তুলে ধরতাম তখন বাংলাদেশে বহু লোক আছে মায়াকান্না কানবে আর বলবে আমরা নাকি হিংসাত্মক হয়ে পড়েছি। যেহেতু এটা বিরোধী দল থেকে এসেছে, তখন দেশের মানুষ সত্যিই এটা উপলব্ধি করতে পারবে জনগণের সম্পদ কীভবে লুট করেছে। যার কারণে বিএনপির আমলে বাংলাদেশ পাঁচ পাঁচবার দুর্নীতিতে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। তিনি বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংকের ফিনান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট মানি লন্ডারিং আইনে বিষয়টি নিয়ে তদন্ত করছে। তবে তদন্তের স্বার্থে এখনই আমি সবকিছু বলবো না, তবে জড়িতদের বিরুদ্ধে অবশ্যই ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। প্রশ্ন করতে গিয়ে ফখরুল ইমাম জিআইএনের রিপোর্টের কিছু অংশ তুলে ধরেন। বলেন, জিআইএনের সম্প্রতি প্রকশিত রির্পোর্ট অনুযায়ী বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া থেকে আরম্ভ করে তাঁর পরিবারের সদস্যরা বিদেশে যে টাকা পাচার করেছে তার একটি তালিকা আছে। আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্যরা তা তা পড়ে শোনানোর জন্য সমম্বরে বলতে থাকেন। ফখরুল ইসলাম তাঁর কাছে থাকা রিপোর্টের কিছু অংশ পড়ে শোনান। তিনি বলেন, জিআইএনের প্রতিবেদন অনুযায়ী শুধু দুবাই নয়, অন্তত্য পক্ষে ১২টি দেশে জিয়া পরিবারের সম্পদ আছে। যার প্রাক্কলিত মূল্য ১ হাজার দুই’শ কোটি টাকা। সৌদি আরবে আহমদ আল আসাদের নামে আল আরাবা শপিং মল রয়েছে। কিন্তু শপিং মলটির মালিকানা হল বেগম জিয়ার। কাতারে বহুতল বাণিজ্যিক ভবন ইকরা। এটির মালিকও বাংলাদেশী এবং এটার মালিকও উনি এবং তাঁর ছোট ছেলে আরাফাত রহমানের নামে পুরো মালিকানা দেখা যায়। তাছাড়া খালেদা জিয়ার ভাতিজা তুহিনের নামে কানাডায় তিনটি বাড়ি রয়েছে। এছাড়া স্বাস্থ্যমন্ত্রী ড. খন্দকার মোশাররফ সিঙ্গাপুরের হোটেল মেরেনডি’র ১৩ হাজার শেয়ারের মালিক। বিএনপির সাবেক মন্ত্রী ব্যারিষ্টার আমিনুল হকের নামে লন্ডনে স্টেন্ডফোর্ড ও অলগেটিতে দুটি এ্যাপার্টমেন্ট রয়েছে। আরেকমন্ত্রী ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদের নামেও এপার্টমেন্ট আছে। বিএনপি আমলের মন্ত্রী মির্জা আব্বাসের ন্ত্রী’র নামে দুবাইতে আছে বিলাস বহুল এ্যাপার্টমেন্ট। সিঙ্গাপুরে মির্জা আব্বাস ও তাঁর সন্তানদের নামে কিনেছেন দুটি এ্যাপান্টমেন্ট। বিএনপি নেতা নজরুল ইসলাম খানের নামে সিঙ্গাপুরে রয়েছে বিলাস বহুল এ্যার্পান্টমেন্ট। এসব তথ্য জিআইএন প্রতিবেদন থেকে তুলে ধরলাম। এর জবাব দিতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, তথ্যগুলো যখন বের হয়েছে তখন নিশ্চয় আমাদের কাছে আছে এবং এটা নিয়ে তদন্ত চলছে। আমাদের বাংলাদেশ ব্যাংকের অধীনে একটি তদন্ত কমিটি কাজ করছে। এই তদন্তের মাধ্যমে এ তদন্ত যাচাই করে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া হবে। তিনি বলেন, একথা তো সকলেই জানে বিএনপি ক্ষমতায় আসার পর একদিকে মানুষ হত্যা-খুন করেছে। আন্দোলনের নামে আগুন দিয়ে মানুষ পুড়িয়ে মেরেছে। একদিকে সন্ত্রাস জঙ্গীবাদ, অপরদিকে ক্ষমতায় থাকতে দুর্নীতি করা , অর্থ পাচার করা এধরনের বহু অভিযোগ তো জনগণ সব সময় করেছে এবং এটা সকলেই জানে। এজন্য খালেদা জিয়ার ছোট ছেলের পাচারকৃত কিছু টাকা আমরা ফেরত এনেছি। বাংলাদেশের ইতিহাসে পাচার করা সম্ভব হয়েছে আমাদের সরকারের আমলে। বিষয়টি তোলার জন্য সংসদ সদস্য ফখরুল ইমামকে ধন্যবাদ জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা যদি বিষয়টি তুলে ধরতাম বাংলাদেশে বহু লোক আছে মায়াকান্না কানবে আর বলবে আমরা নাকি হিংসাত্মক হয়ে পড়েছি। যেহেতু এটা বিরোধী দল থেকে এসেছে, তখন দেশের মানুষ সত্যিই এটা উপলব্ধি করতে পারবে জনগণের সম্পদ কীভবে লুট করেছে। যার কারণে বিএনপির আমলে বাংলাদেশ পাঁচ পাঁচবার দুর্নীতিতে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। কিন্তু তারা দেশের উন্নতি করতে পারেনি। বরং আর্থ সামাজিক অবস্থার অবনতি ঘটেছিল বিএনপি-জামায়াত সরকারের আমলে। সরকার প্রধান বলেন, জনগণের সম্পদ যারা লুটে নিয়েছে নিশ্চয় তাদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া হবে। তদন্ত করে যখনই আমরা সঠিক তথ্য পাব কোথায় কীভাবে রয়েছে নিশ্চয় আমরা ফেরত আনার পদক্ষেপ নেব। ইতোমধ্যে আমরা কিছু পদক্ষেপ নিয়েছি। তদন্ত চলার স্বার্থে হয়তো সব আমি বলতে পারলাম না। তবে সত্যতা প্রমাণিত হলে অবশ্যই ব্যবস্থা নেয়া হবে। সরকার দলীয় সংসদ সদস্য মমতাজ বেগমের প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, একটি শান্তি প্রিয় দেশ গঠনে সরকার সন্ত্রাস ও জঙ্গীবাদের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি অনুসরণ করে আসছে। এ কারণে বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে একটি দায়িত্বশীল রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে। সরকারের দক্ষ পরিচালনায় অর্থনীতির সব সূচকে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি সাধিত হয়েছে। সামাজিক সূচকগুলোর অগ্রগতিতে বাংলাদেশ প্রতিবেশী দেশগুলোর তুলনায় অনেক ক্ষেত্রে এগিয়ে গেছে। তিনি বলেন, বর্তমান সরকারের চূড়ান্ত লক্ষ্য হলো ক্ষুধা, দারিদ্র্য, নিরক্ষরতা, জঙ্গীবাদ ও সাম্প্রদায়িকতামুক্ত একটি সুখী-সমৃদ্ধ অসাম্প্রদায়িক ন্যায়ভিত্তিক জ্ঞাননির্ভর ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণ। এ লক্ষ্য অর্জনে সরকার দারিদ্র্য নিরসন এবং আঞ্চলিক বৈষম্য দূরীকরণে উন্নয়ন পরিকল্পনার অন্যতম কৌশল হিসেবে গ্রহণ করেছে। তিনি বলেন, বাংলাদেশ গত কয়েক বছরে বিষ্ময়কর প্রবৃদ্ধি অর্জনে সক্ষম হয়েছে। আর এসকল কারণেই দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন তথা প্রকৃত গণতন্ত্র ও সুষম সমাজ প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব হয়েছে। এই অব্যাহত ধারায় ২০২১ সালের মধ্যে দেশকে একটি প্রযুক্তি নির্ভর প্রগতিশীল মধ্যম আয়ের দেশে রুপান্তর করা সম্ভব হবে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকার একটি শান্তিপ্রিয়, উন্নত, ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত সুস্থ্য সবল আলোকময় বাংলাদেশ গড়তে নানা প্রকার দরিদ্র-বান্ধব কর্মসূচি ও পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে। যার ফলে দেশে দারিদ্র্যের হার বহুলাংশে হ্রাস পেয়েছে এবং ধনী-দরিদ্রের বৈষম্য পূর্বের তুলনায় কমেছে। সর্বোপরি দেশের সর্বস্তরের জনগণের ক্রয়ক্ষমতা বৃদ্ধি পেয়েছে। আমাদের সার্বিক প্রচেষ্টায় প্রতি বছর প্রায় ১ দশমিক ৭৪ শতাংশ হারে বাংলাদেশে দারিদ্র্য কমে আসছে। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনীকে দারিদ্র্য দূরীকরণের অন্যতম হাতিয়ার হিসেবে মনে করে। সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির লক্ষ্য হচ্ছে চরম দরিদ্র জনগণের জীবনের ঝুঁকিগুলো মোকাবেলার মাধ্যমে তাদেরকে চরম দারিদ্র্যের বলয় থেকে মুক্ত করা। দারিদ্র্য হ্রাসে গ্রামীণ অর্থনীতিতে অর্জিত গতিশীলতা এবং হতদরিদ্রদের জন্য টেকসই নিরাপত্তা বেষ্টনীর মাধ্যমে জনগণের খাদ্য নিরাপত্তা, অতি দরিদ্র ও দুঃস্থদের জন্য বিনামূল্যে খাদ্য বিতরণ, কাজের বিনিময়ে খাদ্য ও টেস্ট রিলিফ ছাড়াও একটি বাড়ি একটি খামার, আশ্রায়ণ, গৃহায়ণ, আদর্শ গ্রাম, গুচ্ছগ্রাম, ঘরে ফেরা কর্মসূচির পাশাপাশি ওএমএস, ফেয়ার প্রাইস কার্ড প্রভৃতি কর্মসূচি বাস্তবায়িত হচ্ছে। সংসদ নেতা আরও বলেন, বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকার তার বিগত মেয়াদ হতে রূপকল্প-২০২১, দিন বদলের সনদ এবং মুক্তিযুদ্ধের চেতনার আলোকে ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত একটি অসাম্প্রদায়িক প্রগতিশীল আধুনিক গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ গড়ে তোলার কর্মসূচি গ্রহণ করে। এই পরিকল্পনা বাস্তবায়নের মাধ্যমেই সরকার সুখী সমৃদ্ধ মধ্যম আয়ের বাংলাদেশ গঠনে বদ্ধ পরিকর। জঙ্গী অর্থায়নের অভিযোগ পেলেই কঠোর ব্যবস্থা ॥ সরকার দলীয় সংসদ সদস্য ফরিদুল হক খানের প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বর্তমানে জঙ্গী কর্মকান্ড একটি বৈশ্বিক সমস্যা এবং বাংলাদেশ এর ব্যতিক্রময় নয়। তবে আমাদের মানুষ ধর্মভীরু হলেও ধর্মান্ধ নয়। ফলে ইতোমধ্যে জঙ্গী দমনে আমাদের সফলতা আন্তর্জাতিক অঙ্গনে প্রশংসিত হচ্ছে। জঙ্গী দমনে সরকার জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করেছে এবং সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়ে কাজ করছে। তিনি বলেন, জঙ্গীরা যেমন নতুন নতুন কৌশল অবলম্বন করে তাদের কর্মকান্ড পরিচালনা করার চেষ্টা চালাচ্ছে, তেমনি তাদের অর্থের যোগানদাতা ও মদদদাতাগণও বিভিন্ন কৌশল অবলম্বন করছে। তিনি জানান, বিদেশ থেকে আসা রেমিটেন্স এবং দেশীয় অর্থ কোন জঙ্গী তৎপরতায় ব্যবহৃত হচ্ছে কি না এ বিষয়ে গোয়েন্দা নজরদারি অব্যাহত আছে। এছাড়া কোন বেসরকারি স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা, হাসপাতাল, ক্লিনিক, কোচিং সেন্টার, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, এনজিও, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠানে জঙ্গী তৎপরতা ও সাংগঠনিক কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে কি না, সীমান্তে অবৈধ অর্থের লেনদেন, আদান-প্রদান, চলাচল ও স্থানান্তর একই সঙ্গে বিভিন্ন কুরিয়ার সার্ভিস, মোবাইল ব্যাংকিং ও বিকাশের মাধ্যমে অস্বাভাবিক অর্থ আদান প্রদান হচ্ছে কি না সে বিষয়ে নজরদারি অব্যাহত আছে। শেখ হাসিনা বলেন, জঙ্গী অর্থায়ন সংক্রান্ত রুজুকৃত মামলাসমূহ সর্বোচ্চ গুরুত্ব সহকারে তদন্ত করা হচ্ছে। জঙ্গী অর্থায়নের সঙ্গে আরও বেশকিছু ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান যুক্ত রয়েছে মর্মে সন্দেহ করা হচ্ছে। যাদের সনাক্ত পূর্বক তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করার প্রচেষ্টা অব্যাহত আছে। দেশে জঙ্গী উৎস অনুসন্ধান কার্যক্রম আরও জোরদারকরণ এবং এ কার্যক্রম অধিকতর সমন্বয়ের লক্ষ্যে গোয়েন্দা সংস্থা এবং আইন-শৃৃঙ্খলা বাহিনী সমূহ নিয়মিতভাবে কাজ করে যাচ্ছে। কোন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে জঙ্গী অর্থায়নের অভিযোগ পাওয়া মাত্র তাদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্য বেগম আমাতুল কিবরিয়া কেয়া চৌধুরীর প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আওয়ামী লীগ যখনই ক্ষমতায় গিয়েছে তখনই দেশের মানুষের ভাগ্যেন্নয়নে কাজ করেছে। আর বিএনপি-জামায়াত সরকার ক্ষমতায় গিয়ে দেশে হাওয়া ভবনের মাধ্যমে দুর্নীতির মহোৎসব শুরু করে দিয়েছিল। বর্তমান সরকার প্রজাতন্ত্রের কর্মচারীদের মাধ্যমে দক্ষ ও দুর্নীতি মুক্ত সেবা জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছাতে নানা পদক্ষেপ গ্রহন করেছে। তিনি বলেন, বাংলাদেশকে দুর্নীতিমুক্ত করার জন্য দুর্নীতিদমন কমিশন স্বাধীন ও নিরপেক্ষভাবে কাজ করে যাচ্ছে। দুর্নীতি দমন আইন সংশোধন করে অধিকতর শক্তিশালী করা হয়েছে। তাছাড়া বাংলাদেশকে দুর্নীতিমুক্ত করা এবং শুদ্ধাচার প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে সরকার ২০১২ সালে জাতীয় শুদ্ধাচার কৌশল প্রণয়ন করেছে। শুদ্ধচার বাস্তবায়নের মাধ্যমে দেশকে দুর্নীতিমুক্ত করার লক্ষ্যে সকল মন্ত্রণালয়/বিভাগ/অন্যান্য রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানসমূহ, দফতর/সংস্থা এবং মাঠ পর্যায়ের কার্যালয়সমূহের প্রধানের নেতৃত্বে নৈতিকতা কমিটি গঠন করা হয়েছে।
×