ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

বরিশালে গৃহবধুকে নির্যাতন করে হত্যার অভিযোগ

প্রকাশিত: ২৩:৫২, ১৩ সেপ্টেম্বর ২০১৭

বরিশালে গৃহবধুকে নির্যাতন করে হত্যার অভিযোগ

স্টাফ রিপোর্টার, বরিশাল ॥ বিদেশে যাওয়ার জন্য মেয়ে জামাতাকে দেয়া ধারের দেড় লাখ টাকা চাওয়ার অপরাধে শ্বশুড় বাড়ির লোকজনের অমানুষিক নির্যাতন করে এক গৃহবধূকে হত্যা করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনার পর থেকে শ্বশুড় বাড়ির লোকজন বাড়িঘর ছেড়ে আত্মগোপন করেছেন। মঙ্গলবার দিবাগত রাতে নিহতের ময়নাতদন্ত শেষে বাবার বাড়ির পারিবারিক কবরস্থানে লাশ দাফন করা হয়েছে। ঘটনাটি জেলার গৌরনদী উপজেলার খাঞ্জাপুর ইউনিয়নের কমলাপুর গ্রামের। পুলিশ জানান, ইল্লা গ্রামের নুরুল ইসলাম কাজীর কন্যা কোহিনুর বেগমের আটবছর পূর্বে একই ইউনিয়নের কমলাপুর গ্রামের এসকেন মেলকারের পুত্র সোহাগ মেলকারের সাথে সামাজিকভাবে বিয়ে হয়। বর্তমানে তাদের সংসারে সিয়াম নামের চার বছরের একটি পুত্র সন্তান রয়েছে। নিহত কোহিনুর বেগমের পিতা নুরুল ইসলাম কাজী অভিযোগ করেন, দুই বছর পূর্বে মেয়ে জামাতা সোহাগকে ওমান পাঠানোর জন্য তার পরিবারের সদস্যরা ধারবাবদ দেড় লাখ টাকা দাবি করেন। তাদের দাবি অনুযায়ী গ্রাম্য এক সুদি মহাজনের কাছ থেকে চড়াসুদে দেড় লাখ টাকা এনে সোহাগকে দেয়া হয়। বর্তমানে ওই টাকায় আরও এক লাখ সুদ হওয়ায় তা পরিশোধের জন্য গ্রাম্য সুদি মহাজন বিভিন্ন ধরনের চাঁপ প্রয়োগ করেন। তিনি (নুরুল ইসলাম) আরও জানান, অতিসম্প্রতি কোহিনুরের শ্বশুড় বাড়ির লোকজনের কাছে ধারবাবদ দেয়া দেড় লাখ টাকা পরিশোধের জন্য অনুরোধ করা হয়। এসময় কোহিনুরের শ্বশুড় এসকেন মেলকাল, ভাসুর আমির হোসেন, দেবর মিলনসহ অন্যান্যরা টাকা ফেরত দিতে অপরাগতা প্রকাশ করেন। এরপর থেকে টাকা ফেরত চাওয়ার অপরাধে উল্লেখিতরা কোহিনুরকে শারীরিকভাবে নির্যাতন করে আসছিলো। সর্বশেষ সোমবার গভীর রাতে কোহিনুরকে অমানুষিক নির্যাতন করা হয়। একপর্যায়ে কোহিনুর মৃত্যুর কোলে ঢলে পরে। এসময় নির্যাতনকারীরা কোহিনুরের মুখে বিষ ঢেলে এলাকায় আত্মহত্যার অপপ্রচার করেন। পরবর্তীতে প্রতিবেশীদের কাছে খবর পেয়ে কোহিনুরের বাবার বাড়ির লোকজনে ওই বাড়িতে গিয়ে কোহিনুরের লাশ দেখে থানা পুলিশকে খবর দেন। গৌরনদী থানার এসআই মেহেদী হাসান জানান, খবর পেয়ে মঙ্গলবার সকালে নিহত কোহিনুরের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে প্রেরন করা হয়। এসআই আরও জানান, নিহতের শরীরের বিভিন্নস্থানে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পাওয়ার পর পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
×