ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

সুনামগঞ্জে ১১ বছরেও সমাপ্ত হয়নি সেতু নির্মাণের কাজ

প্রকাশিত: ২৩:১৫, ১৩ সেপ্টেম্বর ২০১৭

সুনামগঞ্জে ১১ বছরেও সমাপ্ত হয়নি সেতু নির্মাণের কাজ

নিজস্ব সংবাদদাতা, সুনামগঞ্জ ॥ সুনামগঞ্জের ছাতক ও বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার সুরমা নদীর ব্রীজ ও আবুয়া নদীর ওপর সেতু নির্মাণ কাজ ১১ বছরেও শেষ হয়নি। কাজটি স্থায়ী ভাবে বন্ধ হয়ে যাওয়ায় জেলা শহরের সাথে ৫ উপজেলাসহ সারাদেশের সড়ক যোগাযোগে চরম অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে। ছাতক ও দোয়ারাবাজারের সুরমা নদীর ব্রীজে সড়ক জনপথের অদূরদর্শী পরিকল্পনার নকশা ডিজাইনে গড়া সেতুটির দুপাড়ে ৪৫ শতাংশের গার্ডার পিলার নির্মাণ ব্যয়ে সরকারের গচ্ছা গেছে ৮ কোটি টাকা। সড়ক ও জনপথ বিভাগের সুত্র জানায়, সুনামগঞ্জ জেলা সদরে সাথে পাঁচটি উপজেলার সড়ক যোগাযোগ স্থাপনসহ সারাদেশের সড়ক যোগাযোগ সহজ করার দীর্ঘদিনের দাবী জেলাবাসীদের। জনতার দাবীতে সরকার ছাতক ও দোয়ারাবাজারের সুরমা নদীর ওপর ২০০৪ সালে সেতুটি নির্মাণের উদ্যোগ নেয়। পরে ওই বছরের ২৩ আগস্ট সেতুর ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করেন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া। এরপর সরকারের একটি বিশেষ প্রকল্পের আওতায় ২০০৬ সালে জানুয়ারিতে ১৮ কোটি টাকা ব্যয়ে শুরু হয় সেতুর নির্মাণ কাজ। ২০০৭ সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ক্ষমতায় আসার পর সেতুর নির্মাণ কাজ বন্ধ হয়ে যায়। এতে প্রকল্পটি এডিপি(বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি) থেকে বাতিল হয়ে যায়। ২০১০ সালে আবার সেতু নির্মাণের কাজ শুরু হওয়ার জন্য ৫১ কোটি টাকার একটি নতুন সংশোধিত প্রকল্প যোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের অনুমোদনের জন্য পাঠানো হয়। এই আবেদনের প্রেক্ষিতে আবার নতুন করে ১শ’১২ কোটি ৯৯ লাখ ৪৯ টাকার প্রকল্প অনুমোদনের জন্য সড়ক ও জনপদ বিভাগের প্রধান কার্যালয়ে পাঠানো হয়। গত বছরের অক্টোবর মাসে পরিকল্পিত এপ্রোচ ও নেভিগেশন ব্যবস্থার মাধ্যমে সেতু নির্মাণে ১শ’১৩ কোটি টাকার প্রকল্প জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক) সভায় অনুমোদন পায়। ওই অনুমোদনের পর এখনও ঝুলে আছে সেতু নির্মাণের কাজ। তবে সড়ক ও জনপথ বিভাগ দাবী করছে ছাতক ও দোয়ারাবাজারের সুরমা ব্রীজের কাজ ৩০ ভাগ সম্পন্ন হয়েছে। সড়ক ও জনপথ বিভাগের (সওজ) নির্বাহী প্রকৌশলী রফিকুল ইসলাম জানান, মূল সেতুর দরপত্র মুল্যায়ন শেষ পর্যায়ে রয়েছে। এটি অনুমোদনের জন্য সংশ্লিষ্ট মন্ত্রনালয়ে পাঠানো হয়েছে। পূর্বের ৪টি পিলারের সাথে নতুন ৩টি পিলার সংযোজন করেই সেতুর কাজ সম্পন্ন হবে। ১ মাসের মধ্যে কাজ শুরু হবে। প্রকল্পের দুবছর মেয়াদের মধ্যে নির্মাণ কাজ সমাপ্ত করা হবে।
×