ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

অপরাধীদের সঙ্গে সঙ্গে কমিশনেরও কৌশল পরিবর্তন করা হবে ॥ দুদক চেয়ারম্যান

প্রকাশিত: ০৫:২৬, ১৩ সেপ্টেম্বর ২০১৭

অপরাধীদের সঙ্গে সঙ্গে কমিশনেরও কৌশল পরিবর্তন করা হবে ॥ দুদক চেয়ারম্যান

স্টাফ রিপোর্টার ॥ অপরাধীদের আচরণের কৌশল পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে কমিশনেরও কৌশলগত কর্মপরিকল্পনা পরিবর্তন করা হবে বলে জানিয়েছেন দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) চেয়ারম্যান ইকবাল হাসান মাহমুদ। মঙ্গলবার সকালে রাজধানীর সেগুনবাগিচায় সংস্থাটির প্রধান কার্যালয়ে দুদক ও জার্মানভিত্তিক উন্নয়ন সহযোগী সংস্থা জিআইজেড এর যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। এ সময় কমিশনের এক বছর মেয়াদী কৌশলগত কর্মপরিকল্পনা ২০১৭ এর ২য় কোয়ার্টার (এপ্রিল-জুন, ২০১৭) এর বাস্তবায়ন অগ্রগতি ম্যাট্রিক্স নিয়ে এক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় দুদক কমিশনার এএফএম আমিনুল ইসলাম, মহাপরিচালক (বিশেষ তদন্ত) মোঃ আসাদুজ্জামান, মহাপরিচালক (তদন্ত) মোঃ জাফর ইকবাল, মহাপরিচালক (মানিলন্ডারিং) মোঃ আতিকুর রহমান খান, মহাপরিচালক (লিগ্যাল) মোঃ মঈদুল ইসলাম, জিআইজেড এর এভি রুল অফ ল’ প্রমিতা সেনগুপ্ত, কনসালট্যান্ট রিচার্ডস মাইলস, পার্টনারশীপ ম্যানেজার মোঃ আলী রেজা প্রমুখ বক্তব্য রাখেন। সভায় দুদক চেয়ারম্যান কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়নে সকলকে নিরলসভাবে কাজ করার আহ্বান জানান। তিনি বলেন, কোন কর্মপরিকল্পনাই অপরিবর্তনীয় নয়। অপরাধীদের আচরণের কৌশল পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে কমিশনের কৌশলগত কর্মপরিকল্পনা পরিবর্তন হবে। আমাদের কাজের গতিধারা, ধরন, দৃঢ়তা এবং পদক্ষেপ সব সময়ই অপরাধীদের চেয়ে উচ্চতর হতে হবে। কর্মকর্তাদের ফরোয়ার্ড ডায়রি অনুসরণ করার নির্দেশ দিয়ে তিনি বলেন, আপনাদের আরও অনেক কাজ করতে হবে। আপনাদের কার্যক্রম যত ইতিবাচক হবে দেশের মানুষের কাছে দুদকের ভাবমূর্তি তত উজ্জ্বল হবে। নিজের কাজকে নিজে ধারণ করুন। কারণ শুধু কাজের মাধ্যমেই প্রতিষ্ঠানের ভাবমূর্তি বিকশিত করা যায়। সভায় দুদক কমিশনার ড. নাসির উদ্দীন আহমেদ বলেন, কমিশন নির্দিষ্ট টাইম ফ্রেমের মধ্যে সকল কার্যক্রম সম্পন্ন করতে চায়। দুদক সচিব ড. মোঃ শামসুল আরেফিন জানান, দুর্নীতি দমন কমিশন এ যাবৎ ৬৪ টি গণশুনানি বাস্তবায়ন করেছে। এছাড়া কমিশনের প্রত্যক্ষ তত্ত্বাবধানে এবং অর্থায়নে ইতোমধ্যেই ৬শ’৩০ টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সততা স্টোর স্থাপন করা হয়েছে। দুদক মহাপরিচালক (প্রশাসন) মোহাম্মদ মুনীর চৌধুরী জানান, দুদকের নিজস্ব হাজতখানা নির্মাণ কাজ প্রায় সম্পন্ন হয়েছে। নারী ও পুরুষ আসামিদের জন্য আলাদা হাজতখানা হবে। তিনি আরও জানান, হাজতখানা পরিচালনার নীতিমালা ড্রাফট করা হয়েছে। কমিশনের অনুমোদন পাওয়া গেলেই চূড়ান্ত নীতিমালা প্রণয়ন করা হবে। সভায় দুদকের অন্যান্য অনুবিভাগের মহাপরিচালকগণ তাদের স্ব-স্ব অনুবিভাগের কার্যক্রমের পরিসংখ্যান তুলে ধরেন। জিআইজেড এর কনসালটেন্ট জেরি ওজ বর্ন কমিশনের কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়ন অগ্রগতি দেখে সন্তোষ প্রকাশ করে বলেন, দুদকের নিজস্ব সশস্ত্র ইউনিট গঠন অভূতপূর্ব ইতিবাচক পরিবর্তন।
×