ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

ফেসবুক, টুইটারে বড় ভয় দাবি বুকারজয়ী সাহিত্যিকের

প্রকাশিত: ১৯:২১, ১ সেপ্টেম্বর ২০১৭

ফেসবুক, টুইটারে বড় ভয় দাবি বুকারজয়ী সাহিত্যিকের

অনলাইন ডেস্ক ॥ দিনকাল বদলেছে। আগামী দিনে আরও বদলাবে। আর তার ফলে সামনের দিনে এমন প্রজন্ম আসতে চলেছে, যারা হবে অশিক্ষিত! এমনই দাবি করলেন বুকার পুরস্কার বিজয়ী সাহিত্যিক হাওয়ার্ড জ্যাকবসন। এক আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমের সূত্রে জানা যাচ্ছে, ব্রিটিশ এই ঔপন্যাসিক ও সাংবাদিকের মতে, যোগাযোগের চেহারাটা পাল্টে যাচ্ছে নাটকীয় ভাবে। তরুণ প্রজন্ম সোশ্যাল মিডিয়া ও স্মার্টফোনের দৌলতে ক্রমে বই পড়া থেকে দূরে সরে যাচ্ছে। তাদের বই পড়ার ইচ্ছেটাই চলে যাচ্ছে। কেবল তরুণ প্রজন্মকেই কাঠগড়ায় তুলেছেন তিনি, এমনটা নয়। তিনি আঙুল তুলেছেন নিজের দিকেও। জানিয়েছেন, একসময় মোটা উপন্যাসে ডুবে থাকতে তিনি সবচেয়ে পছন্দ করতেন। কিন্তু এখন তাঁর মনঃসংযোগও বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে স্ক্রিনের প্রতি নিরন্তর মনোযোগ থাকার কারণে। আক্ষেপের সুরে তিনি বলেন, ‘‘আমি সাদা কাগজ চাই। কাগজের উপর আলো চাই।’’ তাঁর মতে, এ ভাবে চলতে থাকলে, আগামী ২০ বছরের মধ্যে এমন প্রজন্ম আসছে, যারা পড়তে পারবে না। আসলে তারা পড়তে চাইবেই না। আগামী দিনের পৃথিবী কেমন হবে, এ প্রসঙ্গে একটা ধারণা চালু আছে যে, টেকনোলজির দৌলতে পৃথিবী আরও বেশি করে ‘ভার্চুয়ালিটি’-এর দিকে চলে যাবে। ধারণাটা ভুল নয়। মানুষের অনলাইনের থাকার প্রবণতা সত্যিই বাড়ছে। এক পরিসংখ্যান থেকে জানা যাচ্ছে, ১৯৮২ থেকে পাওয়া হিসেব অনুযায়ী আমেরিকান প্রাপ্তবয়স্করা গত বছরই সবচেয়ে কম সাহিত্য পাঠ করেছেন। পাশাপাশি এও জানা গিয়েছে যে, ৫ থেকে ১৫ বছর বয়সীরা সপ্তাহে ১৫ ঘণ্টা ইন্টারনেটে সময় কাটাচ্ছে। এই সব সংকেত থেকেই আগামী দিনের ছবিটা স্পষ্ট দেখতে পাচ্ছেন ২০১০ সালে ‘দ্য ফিঙ্কলার কোয়েশ্চেন’ উপন্যাসের জন্য ম্যান বুকার পুরস্কার পাওয়া হাওয়ার্ড জ্যাকবসন।
×