ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

নরখাদকের ভয়ে অস্থির এক গ্রামের চিত্র

প্রকাশিত: ১৮:১৯, ২৯ আগস্ট ২০১৭

নরখাদকের ভয়ে অস্থির এক গ্রামের চিত্র

অনলাইন ডেস্ক ॥ নরখাদকের ভয় এখন তাড়িয়ে বেড়াচ্ছে দক্ষিণ আফ্রিকার কাওয়া জুলু নাটাল প্রদেশের শ্যামইয়া গ্রামে। গত জুলাই মাসে এ গ্রামের বাসিন্দা জানিলি নিখোঁজ হয়েছিল। তার পরিবারের ধারনা সে নরখাদকদের পাল্লায় পড়েছিল। জানিলির পরিবার হয়তো ধরেই নিতো যে সে নিখোঁজ। কিন্তু নরখাদকদের হাতে মৃত্যু এমন কথা তারা ভাবতেই পারেননি। ঘটনার মোড় ঘুরে যায় গত সপ্তাহে। সে এলাকার এক বাসিন্দা স্বেচ্ছায় পুলিশের কাছে এসে বলে মানুষের মাংস খেতে-খেতে সে ক্লান্ত হয়ে পড়েছে। কিন্তু সে ব্যক্তির কথা পুলিশ প্রথমে মোটেও আমলে নেয়নি। একবিংশ শতাব্দীতে নরখাদক থাকতে পারে সেটি তাদের ধারনাই ছিলনা। সে ব্যক্তি কথার প্রমাণ হিসেবে মানুষের একটি রক্তাক্ত হাত ও একটি পা দেখায়। তারপর পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে। তার কয়েকদিন পরেই জানিলির বিকৃত মরদেহের সন্ধান মেলে। জানিলির মৃত্যু কতটা নির্মম ও ভয়ঙ্কর হয়েছিল সে বিষয়টি ভাবতে শিউরে উঠছে তার পরিবার। জানিলির উদ্ধার করা জমা দেখে বোঝা যাচ্ছিল যে নিজেকে রক্ষার জন্য সে আপ্রাণ চেষ্টা করেছে। যে নরখাদকটি পুলিশের কাছে আত্নসমর্পন করেছিল সে একটি ভাড়া বাড়িতে থাকতো। তার একজন সহযোগীর ভাইয়ের বাড়ি ছিল এটি। বাড়ির মালিক ফিলানি মুগাবেন বলছেন, নরখাদকের বিষয়টি বিশ্বাস করতে তার কষ্ট হচ্ছে। গত বেশ কিছুদিন ধরেই আরেকজন ভাড়াটিয়া অভিযোগ করে আসছিলেন যে পাশের বাসা থেকে পঁচা মাংসের গন্ধ বের হচ্ছে। নরখাদকের এ ঘটনা প্রকাশ্যে আসার পর এলাকার মানুষের মাঝে আতংক বিরাজ করছে। এ বিষয়টি অনেকের কাছে রূপকথার গল্পের মতো মনে হচ্ছে। বাস্তবে নরখাদকের অস্তিত্ব থাকতে পারে - এমন কথা ভাবতেই পারেন না স্থানীয় মানুষজন। এদিকে নরখাদক হিসেবে সন্দেহভাজন পাঁচ ব্যক্তিকে সোমবার আদালতে হাজির করানো হয়েছে যাদের বিরুদ্ধে হত্যা, ষড়যন্ত্র এবং মানব দেহের অঙ্গ প্রত্যঙ্গ রাখার অভিযোগ আনা হবে। আদালতের বাইরে অপেক্ষমাণ মানুষ যখন জানতে পারে যে সন্দেহভাজন নরখাদকদের জামিনের আবেদন নাকচ করে তাদের কারাগারে রাখা হবে, তখন মানুষজন উল্লাস করে। গত সপ্তাহে প্রথম নরখাদক পুলিশের কাছে স্বেচ্ছায় আত্মসমর্পণের পর এ বিষয়ে ব্যাপক তদন্তে নামে পুলিশ। সূত্র- বিবিসি বাংলা
×