ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

উদার ও আলোকিত মন নিয়ে সমাজের অন্ধকার দূর করতে হবে

প্রকাশিত: ০২:২৮, ২৩ আগস্ট ২০১৭

উদার ও আলোকিত মন নিয়ে সমাজের অন্ধকার দূর করতে হবে

বিশ্ববিদ্যালয় রিপোর্টার ॥ ১৯৭১ সালের ১৫ আগস্ট জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যা করা হয়েছিল। ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা চালিয়ে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনাকেও হত্যার অপচেষ্টা চালানো হয়েছিল। সেদিন আইভি রহমান সহ ২৪জন নেতা কর্মী নিহত হন। এসব নৃশংস হত্যাকান্ডের মদদদাতাসহ মুক্তিযুদ্ধের চেতনার বিরোধীতাকারীদের চিহ্নিত করে বিচারের আওতায় আনতে হবে। বুধবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্র মিলনায়তনে কালো দিবস উপলক্ষে এক আলোচনা সভায় উপাচার্য অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, চতুর্দিকে আরও ষড়যন্ত্র চলছে। এসব ষড়যন্ত্র মোকাবেলায় শিক্ষক-শিক্ষার্থীসহ সকলকে এখন থেকেই প্রস্তুতি নিতে হবে। অন্যথায় দেশে ষড়যন্ত্র চলতেই থাকবে। সত্য অনুসন্ধান ও সত্য প্রকাশের জন্যই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করা হয়েছিল। এখানে অসত্যের কোন জায়গা নেই। তাই উদার ও আলোকিত মন নিয়ে সমাজের অন্ধকার দূর করতে হবে। সভায় উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. নাসরীন আহমাদ, উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মো: আখতারুজ্জামান, শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল, কারা নির্যাতিত শিক্ষক অধ্যাপক ড. আনোয়ার হোসেন, অধ্যাপক ড. সদরুল আমিন, অফিসার্স এসোসিয়েশনের সভাপতি সৈয়দ আলী আকবর সহ কারা নির্যাতিত একজন ছাত্র, তৃতীয় শ্রেণী কর্মচারী সমিতি, কারিগরী কর্মচারী সমিতি ও ৪র্থ শ্রেণী কর্মচারী ইউনিয়নের নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখেন। আলোচনা সভা পরিচালনা করেন ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার মো: এনামউজ্জামান। অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক বলেন, ২০০৭ সালের বিভীষিকাময় দিনগুলোর স্মৃতিচারণ করে বলেন, অন্যায়-অপকর্ম করার জন্য এদেশের মীর জাফর, খন্দকার মুস্তাকরা আগস্ট মাসকেই বেছে নেয়। চলতি আগস্ট মাসেও এর ব্যতিক্রম হয়নি। আগস্ট মাসে আমরা শোকে মুহ্যমান থাকি ও আতঙ্কিত হই। বিভিন্ন কর্মসূচীর মধ্য দিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে কালো দিবস পালিত হয়। দিবসটি পালন উপলক্ষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বিস্তারিত কর্মসূচী গ্রহণ করে। কর্মসূচীর মধ্যে ছিল শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারী ও ছাত্র-ছাত্রীদের কালো ব্যাজ ধারণ এবং আলোচনা সভা। ২০০৭ সালের ২০ আগস্ট বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় খেলার মাঠে ফুটবল খেলা দেখার সময় কতিপয় সেনাসদস্য ছাত্রদের মারধর করেন। এর প্রতিবাদে ছাত্র সমাজ বিক্ষুদ্ধ আন্দোলন গড়ে তোলেন। এ প্রেক্ষিতে তৎকালীন সেনা সমর্থিত সরকার সান্ধ্য আইন জারী করে এবং ২৩ আগস্ট রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের ৪ জন শিক্ষক এবং ৮জন ছাত্রকে গ্রেফতার করে নির্যাতন চালায়।
×