কূটনৈতিক রিপোর্টার ॥ জাপানে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত রাবাব ফাতিমা বলেছেন, ঐতিহাসিকভাবে বাংলাদেশও জাপানের মধ্যে চমৎকার দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক বিদ্যমান। এছাড়া জাপানে কর্মক্ষম লোকবল দিন দিন কমছে অথচ বাংলাদেশে জনবলের অভাব নেই। তাই জাপান, বাংলাদেশ থেকে তথ্য-প্রযুক্তিতে দক্ষ জনবল নিয়োগ করতে পারে।
মঙ্গলবার জাপান এক্সটারনাল ট্রেড অর্গানাইজেশন (জেটরো)’র প্রধান কার্যালয়ে আয়োজিত ‘তথ্য-প্রযুক্তি খাঁতে বাংলাদেশের জনসম্পদ’- শীর্ষক সেমিনারে এমন আশা প্রকাশ করেছেন। বুধবার টোকিওর বাংলাদেশ দূতাবাস থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বাংলাদেশ দূতাবাস আয়োজিত এই সেমিনারে সহ-আয়োজক হিসাবে জেটরো, জাপান ইনফরমেশন টেকনোলজি সার্ভিস ইন্ড্রাস্টিজ এ্যাসোসিয়েশন (জিসা) এবং কম্পিউটার সফটওয়্যার এ্যাসোসিয়েশন অফ জাপান (সিএসজি) সহযোগিতা করে। জাপানের নামকরা একশোর বেশি তথ্যপ্রযুক্তি কোম্পানির প্রতিনিধিরা সেমিনারে অংশগ্রহণ করেন।
বাংলাদেশের বর্তমান ধাবমান অর্থনৈতিক অগ্রগতির কথা তুলে ধরে রাষ্ট্রদূত বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশকে আগামি ২০২১ সালের মধ্যে ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’ ও ২০৪১ সালের মধ্যে ‘উন্নত-আধুনিক বাংলাদেশ’ হিসাবে গড়ার লক্ষ্য নির্ধারণ করেছেন এবং তথ্যপ্রযুক্তি সেই লক্ষ্য পূরণের অন্যতম হাতিয়ার। তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশে অনেক মেধাবি ও তথ্য-প্রযুক্তিতে দক্ষ অনেক জনবল রয়েছে যাদেরকে জাপানি কোম্পানির চাহিদা অনুযায়ী প্রশিক্ষণ প্রদান করে জাপানে নিয়োগ নিশ্চিত করতে পারলে, তা দুদেশের জন্যই কল্যাণকর হবে।
সেমিনারে বাংলাদেশে জেটরোর সাবেক রিপ্রেজেন্টেটিভ কিই কায়ানো, কুয়াল্কম সিডিএমএ টেকনোলজির সিনিয়র ডাইরেক্টর এহেসানুল ইসলাম, ওয়ার্কস আপ্লিকেশন কোম্পানির শিগেও ইয়াশিতা, হিদিয়েকু শিমিজু এবং সৌরভ সরকার এবং লিঙ্ক স্টাফ কোম্পানির ইয়াসুয়াকি সুগিতা ও তাজুল ইসলাম সকলের কাছে তাদের প্রেজেন্টেশন প্রদান করেন। পরে উম্মুক্ত আলোচনা ও প্রশ্ন উত্তর পর্ব অনুষ্ঠিত হয়। টোকিওর বাংলাদেশ দূতাবাসের কমার্শিয়াল কাউন্সিলর হাসান আরিফের সমাপনি বক্তব্যের মাধ্যমে সেমিনার শেষ হয়।
