ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

এদেশে আর কোনো ওয়ান ইলেভেন হবে না: কাদের

প্রকাশিত: ০২:১৩, ২৩ আগস্ট ২০১৭

এদেশে আর কোনো ওয়ান ইলেভেন হবে না: কাদের

জনকণ্ঠ রিপোর্ট ॥ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ষোড়শ সংশোধনী বাতিলের রায় নিয়ে বিএনপি দেশে অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টির পাঁয়তারা করছে। আজ দেশে যে বিষাক্ত পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে, তার উস্কানিদাতা বিএনপি। তারা ভাবছে, বিষাক্ত ও অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টির মাধ্যমে বাংলার মাটিতে আরেকটি ওয়ান ইলেভেন ঘটাবে। কিন্তু এদেশে আর কোনো ওয়ান ইলেভেন হবে না। বুধবার রাজধানীর জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ মিলনায়তনে জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে শেখ রাসেল জাতীয় শিশু-কিশোর পরিষদের আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। ওবায়দুল কাদের বলেন, আদালতের রায় বিএনপিকে ক্ষমতায় বসাবে? সুপ্রিম কোর্টের একটা রায়কে কেন্দ্র করে তারা ধরেই নিয়েছে, তাদের বিজয়ের স্বর্ণদুয়ার সমাগত! নির্বাচন এখনও অনেক দূরে। কিন্তু তারা মনে করেছে, একটা সুবর্ণ সুযোগ পাওয়া গেল হারানো ক্ষমতার ময়ূর সিংহাসন ফিরে পেতে। তাই টেমস নদীর তীরে বসে তারা ক্ষমতার রঙিন খোয়াব দেখছে। দিল্লী বহুদূর। অচিরেই তাদের এই রঙিন খোয়াব আর দিবাস্বপ্ন ভেঙে যাবে। গত আট বছরে বিএনপির আন্দোলনের ব্যর্থতার প্রসঙ্গ তুলে ধরে তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় থেকেও সুসময়ে নেই। কিছুদিন পরপরই দুঃসময়। গত সাড়ে আট বছর এই সরকারের চলার পথ কখনো পুষ্প বিছানোও ছিল না। অবিরাম ষড়যেন্ত্রর মধ্য দিয়ে কণ্টকাকীর্ণ পথে শেখ হাসিনার সরকারের পথচলা। ঈদের পর আন্দোলনের ঘোষণা দিয়ে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার লন্ডনে যাওয়ার প্রসঙ্গ তুলে ধরে ওবায়দুল কাদের বলেন, জনগণ তাদের সঙ্গে নেই বলেই তারা এখন শেখ হাসিনার ওপর প্রতিশোধ নেবে! চক্রান্ত করে সরকার হঠাবে— সেটাই তাদের শপথ। এজন্যই তারা দেশ-বিদেশে ষড়যন্ত্রের বৈঠক করছে। বিদ্বেষ ও অন্ধ আক্রোশ নিয়ে কথা বলছে। গত নির্বাচন বানচালে বিএনপি-জামায়াত জোটের জ্বালাও-পোড়াও ও সহিংস আন্দোলনের প্রেক্ষাপট তুলে ধরে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, তাদের হাতে এখনো রক্তের দাগ। তাদের রক্তের পিপাসা এখনো শেষ হয়নি। জনগণকে সঙ্গে না পেয়ে ও আন্দোলনে ব্যর্থ হয়ে তারা এখন অন্ধগলিতে ষড়যন্ত্রের পথ খুঁজছে। একটা সুযোগ পেলেই ঘোলা পানিতে মাছ শিকারের অপচেষ্টা করছে। বিএনপি নেতা ব্যারিস্টার মওদুদ আহমেদ ও মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে ধীরে চলার নীতি অবলম্বন করার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, 'বিএনপি নেতা ব্যারিস্টার মওদুদ বলেছেন আওয়ামী লীগকে না-কি চরম মূল্য দিতে হবে। বরং দেশে বিষাক্ত পরিবেশ সৃষ্টির জন্য বিএনপিকেই চরম মূল্য দিতে হবে। শক্তি কমে আসছে বলেই তাদের মুখের বিষ খুব উগ্র হয়েছে। যে বিষধর সাপ নিয়ে তারা খেলছেন, সেই সাপের ছোবল থেকে তাদেরই রক্ষা নেই। সেই সাপের ছোবলই তাদের ধ্বংস করবে, করুণ পরিণতি ঘনিয়ে আনবে।' সেতুমন্ত্রী বলেন, "বিএনপি নেতা খন্দকার মোশাররফ বলেছেন— ২১শে আগস্ট ও ১৫ আগস্ট জাতীয় দুর্ঘটনা, এ ধরনের দুর্ঘটনা হতেই পারে। ইতিহাস ও সত্যের সঙ্গে কী নির্মম ও নিষ্ঠুর তামাশা! হ্যাঁ, এটি জাতীয় দুর্ঘটনা। কারণ তারা ধরেই নিয়েছিলেন ২১ আগস্টের গ্রেনেড হামলায় শেখ হাসিনা শেষ হয়ে যাবেন। কিন্তু আল্লাহর রহমতে শেখ হাসিনা বেঁচে গেছেন। এটা তো তাদের কাছে জাতীয় দুর্ঘটনা হবেই। আয়োজক সংগঠনের চেয়ারম্যান রকিবুর রহমানের সভাপতিত্বে সভায় আরও বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য মোজাফফর হোসেন পল্টু, জাতীয় প্রেসক্লাবের সভাপতি মুহাম্মদ শফিকুর রহমান, সংগঠনের মহাসচিব মাহমুদ-উস সামাদ চৌধুরী এমপি, উপদেষ্টা সিরাজুল ইসলাম মোল্লা এমপি, ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির উপাচার্য অধ্যাপক ড. আবুল হাসেম, দাবা ফেডারেশনের সহ-সভাপতি তরফদার মো. রুহুল আমিন প্রমুখ।
×