ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

নায়করাজ রাজ্জাকের বিদায় যাত্রা

শুধু সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্বরা নন, শ্রদ্ধা জানাতে আসেন সাধারণ মানুষও

প্রকাশিত: ০৫:০৬, ২৩ আগস্ট ২০১৭

শুধু সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্বরা নন, শ্রদ্ধা জানাতে আসেন সাধারণ মানুষও

জনকণ্ঠ রিপোর্ট ॥ ষাটের দশকের শেষ দিকে প্রথম দেখেছিলাম রাজ্জাক অভিনীত চলচ্চিত্র। ‘নীল আকাশের নীচে’ নামের ছবিটি দেখে তার ভক্ত হয়েছিলাম। ওই মুগ্ধ হওয়ার ঘোরটুকু আজও কাটেনি। এরপর রূপালী পর্দায় রাজ্জাকের সঙ্গে আর কাউকে মেলাতে পারিনি। বাংলাদেশের এ মহানায়কের প্রতি মোহাবিষ্টতা নিয়ে তাঁর অসংখ্য ছবির দেখেছি। সেলুলয়েডে অনবদ্য অভিনয় আর অভিব্যক্তিকে তিনি আমাদের হাসিয়েছেন-কাঁদিয়েছেন, অপার বিনোদনে ভাসিয়েছেন। আজ তার মৃত্যুতে আমরা কাঁদলাম। লাল গোলাপ দিয়ে জানালাম ভালবাসা। কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে এভাবেই নায়করাজের প্রতি শ্রদ্ধাঞ্জলি জানালেন আজিমপুরের বাসিন্দা মোঃ আবু হানিফ। কিংবদন্তি চলচ্চিত্র অভিনেতা রাজ্জাককে এমন অগণন মানুষ শ্রদ্ধার সঙ্গে ভালবাসা জানালেন। মঙ্গলবার তার বিদায়যাত্রায় সঙ্গী হলেন আপামর মানুষ। আবু হানিফের মতো আরেক ভক্ত ফজর আলী হাতে ফুল নিয়ে শ্রদ্ধা জানাতে এসেছিলেন সুদূর শরীয়তপুর থেকে। সারা জীবন সর্বসাধারণকে অপারভাবে বিনোদিত করা মানুষটির প্রতি এদিন ভালবাসা প্রকাশ করেছেন চলচ্চিত্রশিল্পী থেকে শুরু করে, স্কুল-কলেজ ছাত্র, চাকরিজীবী, সংস্কৃতিকর্মী, রাজনীতিবিদ, কিশোর-তরুণ-যুবা থেকে বয়োজ্যেষ্ঠ ব্যক্তিসহ বিভিন্ন স্তরের নানা শ্রেণী-পেশার জনতা। সেসব মানুষের হৃদয়ের উষ্ণতা পরশ নিয়েই চিরবিদায়ের আগে শেষ ভালবাসা পেলেন নায়করাজ রাজ্জাক। আজ বুধবার ভোরে রাজ্জাকের মেজ ছেলে রওশন হোসেন বাপ্পি দেশে ফেরার পর সকাল ১০টায় বনানী কবরস্থানে তাঁর দাফন সম্পন্ন হবে। এর আগ পর্যন্ত তার মরদেহ রাখা হবে ইউনাইটেড হাসপাতালের হিমঘরে। চিরনিদ্রায় শায়িত হওয়ার আগে কয়েক দফায় সর্বস্তরের মানুষের শ্রদ্ধা-ভালবাসায় সিক্ত হলেন দেশের চলচ্চিত্র ইতিহাসের সবচেয়ে জনপ্রিয় চিত্রনায়ক রাজ্জাক। মঙ্গলবার সকালে হাসপাতাল থেকে প্রথমে শিল্পীর শবদেহ নিয়ে আসা হয় তার গুলশানের বাসভবন লক্ষ্মীকুঞ্জে। পরিবারের মানুষের শেষ ভালবাসা নিবেদন শেষে বেলা ১১টায় নিয়ে আসা এফডিসিতে। এখানে চলচ্চিত্রশিল্পীদের শ্রদ্ধা নিবেদনের পাশাপাশি অনুষ্ঠিত হয় প্রথম জানাজা। এরপর সর্বসাধারণের শ্রদ্ধা নিবেদনে শিল্পীর মরদেহ রাখা হয় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের। সেখান থেকে শবদেহ নিয়ে যাওয়া গুলশানের আজাদ মসজিদে। এখানে বাদ আসর অনুষ্ঠিত হয় দ্বিতীয় দফা জানাজা। সোমবার সন্ধ্যায় রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন রাজ্জাক। এফডিসিতে চলচ্চিত্র শিল্পীদের ভালবাসা ॥ নিজের জীবনের সবচেয়ে প্রিয় আঙিনা এফডিসিতে রাজ্জাকের শবদেহ আনা হলে গভীর বেদনা বয়ে যায় চলচ্চিত্র শিল্পীদের মাঝে। আবেগে আপ্লুত হয়ে অনেকেই ধরে রাখতে পারেননি চোখের জল। এই এফডিসিতেই গত বছর নিজের ৭৫ জন্মদিনের আয়োজনে এসে রাজ্জাক বলেছিলেন, শেষ রক্তবিন্দু পর্যন্ত আমি এফডিসির হয়েই থাকব। তাই তো রাজ্জাকের বিদায়যাত্রায় সাক্ষী হয়ে রইল এফডিসি। নিজের অর্ধশতাব্দীর কর্মক্ষেত্রে শেষবারের মতো এসেছিলেন নায়করাজ। সকালের বৃষ্টিঝরা বৈরী প্রকৃতির মাঝেই সবাই ভালবাসার অর্ঘ্য দিলেন প্রিয় নায়ক ও প্রিয় মানুষের শবদেহে। বেলা ১১টার দিকে শেষবারের মতো এফডিসিতে নিয়ে আসা হয় রাজ্জাকের মরদেহ। সঙ্গে ছিলেন তার দুই ছেলে বাপ্পারাজ ও সম্রাট। লাশবাহী গাড়ির খোলা দরজার ফাঁক দিয়েই শেষবারের মতো সবাই দেখেন নায়করাজকে। এরপর একে একে শ্রদ্ধা জানায় বিভিন্ন সংগঠন ও ব্যক্তিবর্গ। ব্যক্তিগতভাবে রাজ্জাককে শ্রদ্ধা জানান তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব সৈয়দ হাসান ইমাম, গীতিকবি গাজী মাজহারুল আনোয়ার, চলচ্চিত্র অভিনেতা আলমগীর, চিত্রনায়িকা কবরী, সুচন্দা, ববিতা, চম্পা, শাবনূর, চিত্রনায়ক শাকিব খান, ফেরদৌস, আমিন খান, রুবেল, আহমেদ শরিফ, ওমর সানি, চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সভাপতি অভিনেতা মিশা সওদাগর, চলচ্চিত্র পরিচালক মনতাজুর রহমান আকবর, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব ম. হামিদ, চলচ্চিত্র পরিচালক মোরশেদুল ইসলাম প্রমুখ। প্রাতিষ্ঠানিকভাবে শ্রদ্ধা জানায় তথ্য মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন কর্পোরেশন (বিএফডিসি), বাংলাদেশ চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতি, চলচ্চিত্র প্রযোজক পরিবেশক সমিতি, চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতি, বাংলাদেশ চলচ্চিত্র পরিবার, সিনেম্যাক্স মুভি পরিবার, বাংলাদেশ আওয়ামী সাংস্কৃতিক লীগ, বাংলাদেশ ফিল্ম ক্লাব, চলচ্চিত্র গ্রাহক সংস্থা, চলচ্চিত্র সাংবাদিক সমিতি, সিনে স্থির চিত্রগ্রাহক সমিতি, জাসাসসহ বিভিন্ন সংগঠন। প্রিয় অভিনেতাকে শ্রদ্ধা জানানোর পর সেখানেই তার প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় উপস্থিত সবার উদ্দেশে রাজ্জাকের বড় ছেলে বাপ্পারাজ বলেন, আমার আব্বা সবাইকে ছেড়ে চলে গেছেন। সবাই তার জন্য দোয়া করবেন। তিনি জীবনের পুরোটা সময় আপনাদের সঙ্গে কাজ করেছেন, এর মধ্যে যদি কারও সঙ্গে কোন লেনদেন থেকে থাকে, তাহলে আমার বা আমার পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করবেন। তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু বলেন, রাজ্জাকের নেতৃত্বেই মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়েছে বাংলাদেশের চলচ্চিত্রশিল্প। এ দেশের চলচ্চিত্রের উন্নয়নের জন্য তিনি কাজ করেছেন ও ভেবেছেন। চলচ্চিত্রে অভিনয়ের মাধ্যমেই তিনি এদেশের সংস্কৃতির প্রতিনিধিত্ব করেছেন। মৃত্যুর আগে পর্যন্ত সাংস্কৃতিকচর্চার মাধ্যমে সাম্প্রদায়িকতা ও জঙ্গীবাদের বিরুদ্ধে অভিভাবকের ভূমিকা রেখেছেন রাজ্জাক। তাই আমরা সরকারীভাবে তার কর্মকা-কে ভবিষ্যত প্রজন্মের কাছে তুলে ধরার চেষ্টা করব। যাতে প্রজন্ম থেকে প্রজন্ম তার কর্মময় জীবন থেকে শিক্ষা নিতে পারে। এফডিসিতে শেষবারের মতো তাকে দেখতে এসেছিলেন নায়করাজের প্রথম নায়িকা সুচন্দা। তিনি বলেন, রাজ্জাক নায়কের মতো রূপালী পর্দায় এসেছিলেন। তার চলে যাওয়াটাও নায়কের মতোই। তিনি কখনও কারও কাছে ছোট হননি। বাস্তব জীবনেও তিনি মহানায়ক ছিলেন। ববিতা বলেন, আমার জীবনের ব্যবসাসফল ও ভাল ছবিগুলো রাজ্জাকের সঙ্গে জুটি বেঁধে অভিনয় করেছি। রাজ্জাকের পর্দা উপস্থিতিটাই ছিল ভিন্ন রকমের। এমন অভিব্যক্তিময় চিত্রনায়কের দেখা সহজে মেলে না। এ কারণে এখনকার নায়করাও তাকে অনুসরণ করে। আলমগীর বলেন, আসলে আমার বলার কিছুই নেই। একজন সন্তান পিতাকে হারালে যেমন কষ্ট পায়, আমি তেমনিই কষ্ট পাচ্ছি। গাজী মাজহারুল আনোয়ার বলেন, রাজ্জাক ভাইয়ের স্বপ্ন ছিল, এ দেশের চলচ্চিত্র বিশ্ব দরবারে স্থান করে নেবে। এটা হলেই তার স্বপ্ন সার্থক হবে, আত্মা শান্তি পাবে। চম্পা বলেন, ওনার সঙ্গে খুব কম ছবিতেই কাজ করেছি। তবে ওনার মতো অভিভাবক আমরা আর পাব কিনা জানি না। শাবনূর বলেন, বিশ্বাস হচ্ছে না, রাজ্জাক আঙ্কেল আর নেই। পর্দার নায়করাজের চেয়ে, পর্দার পেছনের রাজ্জাক আমার কাছে চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে। শাকিব খান বলেন, বর্তমান প্রজন্ম এবং আগামী যত প্রজন্ম আসবে তাদের কাছে নায়করাজ প্রেরণার উৎস হয়ে থাকবেন। আমরা আমাদের একজন আইডল হারালাম। ওমর সানী বলেন, তাকে আমরা অবেলায় হারালাম। তার আরও অনেক কিছু দেয়ার ছিল। তবে নিজের কর্মের মধ্য দিয়ে তরুণ প্রজন্মের কাছে আজীবন বেঁচে থাকবেন। রুবেল বলেন, রাজ্জাক ভাই এমন একজন মানুষ ছিলেন, যাঁর অভাব পূরণ হওয়ার নয়। বছরখানেক আগে আমাদের দেখা হয়েছিল, কুশল বিনিময় হয়েছিল। এছাড়া তেমন কোন কথা হয়নি। বেশ কিছু ছবিতে ভাইয়ের সঙ্গে কাজ করা হয়েছে। শহীদ মিনারে সর্বসাধারণের শ্রদ্ধাঞ্জলি ॥ বেলা ১২টায় রাজ্জাকের শবদেহ আসার কথা ছিল কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে। বেলা ১১টা থেকেই চিরসবুজ নায়ককে দেখার জন্য বাড়তে থাকে তাঁর অনুরাগীদের পদচারণা। বেলা ১২টা ২০ মিনিটে এসে এসে পৌঁছে শিল্পীর শবদেহ। ততক্ষণে পুরো শহীদ মিনার এলাকা পরিণত হয়েছে লোকে-লোকারণ্যে। সেই জনতার চাপ সামলাতে হিমশিম খেতে সর্বসাধারণের শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদনের আয়োজক সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের। বাধ্য হয়ে দুই ঘণ্টাব্যাপ্তির শ্রদ্ধাঞ্জলি পর্ব শেষ হয় ৪০ মিনিটে। তবে স্বল্প সময়ের এই নাগরিক শ্রদ্ধানুষ্ঠানেই হাজার হাজার মানুষের ফুলেল শ্রদ্ধায় সিক্ত হন নায়করাজ। পুরোটা সময় রাজ্জাকের মরদেহের পাশে ছিলেন দুই ছেলে বাপ্পরাজ ও সম্রাট, চিত্রনায়ক জাভেদ ও শাকিব খান, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব নাসির উদ্দীন ইউসুফ, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব হাসান ইমাম, জোটের সভাপতি গোলাম কুদ্দুছ ও সাধারণ সম্পাদক হাসান আরিফ। শহীদ মিনারে আওয়ামী লীগের পক্ষে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, সাংগঠনিক সম্পাদক খালিদ মাহমুদ চৌধুরী ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক অসীম কুমার উকিল। বিএনপির পক্ষে শ্রদ্ধা জানায় দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান। এছাড়া প্রাতিষ্ঠানিক ও সাংগঠনিকভাবে শ্রদ্ধা জানায় বাংলা একাডেমি, শিল্পকলা একাডেমি, জাতীয় জাদুঘর, চলচ্চিত্র ও প্রকাশনা অধিদফতর, সেক্টর কমান্ডারস ফোরাম, চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতি, অভিনয় শিল্পী সংঘ, আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগ, উদীচী শিল্পীগোষ্ঠী, এনটিভি, গণসঙ্গীত সমন্বয় পরিষদ, ঋষিজ, বাংলাদেশ টেলিভিশন, ওয়ার্কার্স পার্টি, দৃষ্টিপাত নাট্য সংসদ, মুক্তধারা সাংস্কৃতিকচর্চা কেন্দ্র, কেন্দ্রীয় খেলাঘর আসর, বাউল একাডেমি ফাউন্ডেশন, যুব সমিতি, সুবচন নাট্য সংসদ, দনিয়া সাংস্কৃতিক জোট, ডিরেক্টরস গিল্ড, এনটিভি, দেশ টিভি, প্রজন্ম ৭১, বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোট, ফেডারেশন অব ফিল্ম সোসাইটি ইত্যাদি। ব্যক্তিভাবে অনেকেই এসেছিলেন তার প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে। ওবায়দুল কাদের বলেন, দীর্ঘ পাঁচ দশক তিনি আমাদের চলচ্চিত্রে অবদান রেখেছেন। তার ক্ষতি অপূরণীয়। রাজ্জাক ছিলেন এ বাংলার উত্তম কুমার। সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর বলেন, বাংলা ছবির নির্মাণের ইতিহাস দেখলে বলতে হয়, যে ব্যক্তির ওপর দাঁড়িয়ে বাংলা চলচ্চিত্র দাঁড়িয়েছিল তিনি রাজ্জাক। নিজের দক্ষতা, নিজের গুণে তিনি জনপ্রিয়তা অর্জন করেছিলেন। তিনি আমাদের অভিভাবকের ভূমিকা পালন করেছেন। আজ বাংলা চলচ্চিত্রের প্রধান স্থপতি চলে গেলেন। সৈয়দ হাসান ইমাম বলেন, রাজ্জাকের বিনয়ের প্রেমে পড়েনি, এমন মানুষ বোধহয় নাই। এত জনপ্রিয় মানুষ হয়েও সে তার অতীতকে ভোলেনি। সিনিয়রদের সম্মান করা ছিল তার স্বভাবগত ব্যাপার। সে সব শ্রেণীর মানুষকে শ্রদ্ধা করতো। নাট্যজন আতাউর রহমান বলেন, আমি ওর চেয়ে বয়সে মাত্র এক বছরের বড়। কিন্তু আমাদের সম্পর্কে ছিল বন্ধুর মতো। সে আমার ‘রক্তকবরী’ নাটক দেখে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছিল। আমাদের যখনই দেখা হতো, আমরা আড্ডায় মেতে উঠতাম। নন্দিত অভিনেত্রী জয়া আহসান বলেন, উনার বাচনভঙ্গি থেকে শুরু করে সবকিছু দারুণ মার্জিত। এরকম পারফেক্ট একটা মানুষকে হিরো হিসেবে দেখি না এখনও। যাবার সময় হলে তো সবাই যায়, কিন্তু আমাদের এখানে তো একটা জায়গা ফাঁকা হয়ে গেলে পূরণ হতে অনেক সময় লাগে, তার চলে যাওয়ায় এই জায়গাটা আর কখনও হয়ত পূরণ হবে না। চলচ্চিত্রশিল্পী রোজিনা বলেন, আমার জীবনের প্রথম ছবি আয়নাতে নায়ক হিসেবে পেয়েছিলাম রাজ্জাককে। তার সঙ্গে অভিনয় করতে গিয়ে আমার হাত-পা কাঁপছিল। সেটা বুঝে তিনি আমাকে সাহস দিয়েছিলেন। অভিনয়ের অনেক কিছু শিখেছি তার কাছে। বাংলাদেশের চলচ্চিত্রের ইতিহাসে তিনি একটি প্রতিষ্ঠান ছিলেন।
×