ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

ভর দুপুরে সাঝেঁর আঁধার নামে যুক্তরাষ্ট্রে

প্রকাশিত: ০৫:৪৯, ২২ আগস্ট ২০১৭

ভর দুপুরে সাঝেঁর আঁধার নামে যুক্তরাষ্ট্রে

জনকণ্ঠ ডেস্ক ॥ যুক্তরাষ্ট্রে ভর দুপুরে সাঝেঁর আঁধার নেমেছিল। সত্যিই দেশটির কোটি কোটি নাগরিক সোমবারের অপরূপ এক মহাজাগতিক দৃশ্য দেখেছেন। ১৯১৮ সালের পর এই প্রথম দেশটির পূর্ব উপকূল থেকে পশ্চিম উপকূল পর্যন্ত বিস্তৃত হয় পূর্ণ সূর্য গ্রহণ। পশ্চিম ইউরোপ, আফ্রিকার কয়েকটি এলাকা এবং এশিয়ার উত্তর-পূর্বাঞ্চল থেকেও আংশিক সূর্য গ্রহণের দেখা মিলে। খবর বিবিসি ও নাসার। যুক্তরাষ্ট্রের পশ্চিম উপকূলীয় রাজ্য অরেগনের ছোট্ট শহর ডিপো বে থেকে স্থানীয় সময় সকাল নয়টা পাঁচ মিনিটে প্রথম সূর্য গ্রহণ দেখা যায়। তবে পূর্ণ গ্রহণ হয় ঠিক ১০:১৬ মিনিটে। বাংলাদেশ সময় যেটা রাত ৯:৪৭ মিনিটে শুরু হয়ে শেষ হয় রাত ৩:৮ মিনিটে। বাংলাদেশ থেকে সূর্য গ্রহণ দেখা যায়নি। আগামী দুই বছর চার মাস পর ২০১৯ সালের ২৬ ডিসেম্বর বাংলাদেশে সূর্য গ্রহণ ফের দেখা যাবে। দিনের শুরুতেই ধীরে ধীরে চাঁদ অবস্থান নেয় পৃথিবী ও সূর্যের মাঝামাঝি। অরেগন থেকে মাঝে ১২টি রাজ্য পেরিয়ে গ্রহণের শেষ অংশটি দেখা যায় দেশটির পূর্ব উপকূলীয় রাজ্য সাউথ ক্যারোলিনায়। পূর্ণ সূর্য গ্রহণের খবরে যুক্তরাষ্ট্রের ১৪টি রাজ্যের অধিবাসীদের মধ্যে দেখা যায় সাজ সাজ রব। চলে ‘এক্লিপস পার্টি’ও। প্রায় দুই মিনিট সূর্যকে ঢেকে রাখে চাঁদ। পূর্ণ গ্রহণের এলাকায় দেখা দেয় সন্ধ্যার আবহ। দিনের বেলাতেই দেখা মেলে বৃহস্পতি ও শুক্রসহ বিভিন্ন গ্রহ। রাতের তারারাও উঁকি দেয় সে সময়। ইলিনয় রাজ্যের জায়েন্ট সিটি স্টেট পার্কে বসে পূর্ণ সূর্য গ্রহণ দেখা গেছে দুই মিনিট ৪১.৬ সেকেন্ড। এছাড়া আয়ারল্যান্ড, উত্তর আয়ারল্যান্ড ও স্কটল্যান্ড থেকেও পূর্ণ সূর্য গ্রহণের আংশিক দেখা গেছে। উত্তর আয়ারল্যান্ডের রাজধানী বেলফাস্ট থেকে স্থানীয় সময় সকাল ৭:৩৭ মিনিটে পূর্ণ গ্রহণের আংশিক দেখা যায়। ১৯৭০ সালের পর যুক্তরাষ্ট্রবাসী এমন দৃশ্য দেখার সুযোগ পাননি। এ দিন আংশিক সূর্য গ্রহণ দেখা গেছে পশ্চিম ইউরোপ, আফ্রিকার কয়েকটি এলাকা এবং এশিয়ার উত্তর-পূর্বাঞ্চলে। তবে পূর্ণ সূর্য গ্রহণটি নাসা টেলিভিশন এবং নাসার ওয়েবসাইটে লাইভ ভিডিও স্ট্রিমেরও দেখা যায়। নাসার ওয়েবসাইটে জানানো হয়েছে, ১১টি বিমান থেকে ধারণ করা হয় এই সূর্য গ্রহণের দৃশ্য। এছাড়াও আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে থাকা নভোচারীরা অবিলম্বে পাঠাবেন গ্রহণকালে প্রকৃতির রহস্যময় রূপের ছবি।
×