ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

বন্যায় ফসলের ক্ষতিতে দুশ্চিন্তায় কৃষক

প্রকাশিত: ০৪:৩৪, ২২ আগস্ট ২০১৭

বন্যায় ফসলের ক্ষতিতে দুশ্চিন্তায় কৃষক

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ কয়েকদিনের বন্যায় বিভিন্ন স্থানে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে ফসলের। এতে চরম দুশ্চিন্তায় পড়েছেন কৃষকরা। বিশেষ করে বৃষ্টিতে নষ্ট হয়েছে আমন ধানের। এছাড়াও গো-খাদ্য সঙ্কটের কারণে বিপাকে পড়েছেন বন্যা দুর্গত এলাকার মানুষ। ঋণ নিয়ে জমিতে আমন ধান আবাদ করেছিল পঞ্চগড়ের অনেক কৃষক। সর্বনাশা বন্যা নষ্ট করে দিয়েছে আমনের খেত। তাই একদিকে ঋণের টাকা পরিশোধের চিন্তা আর অন্যদিকে জীবন চালানোর হিসেব মেলাতেই কাটছে কৃষকদের দিন রাত। এ বছর পঞ্চগড় জেলায় ৯৬ হাজার ৫০০ হেক্টর জমিতে আমনের আবাদ হয়েছে। বন্যায় ক্ষতি হয়েছে প্রায় ২ হাজার হেক্টর জমির আমন ধান। ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের তালিকা করে পুনর্বাসনের ব্যবস্থার কথা জানিয়েছে জেলা কৃষি অধিদফতর। দিনাজপুরে হঠাৎ বন্যায় ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে খামারিরা। এরই মধ্যে দেখা দেয় পশু খাদ্যের অভাব। ৪ গুণ দামে দিয়ে কিনতে হচ্ছে গো-খাদ্য। বন্যা পরবর্তী সময়ে জেলার ১৮টি ভেটেরিনারি টিমের মাধ্যমে গবাদিপশুকে চিকিৎসাসেবা দেয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছে প্রাণিসম্পদ বিভাগ। একই চিত্র রাজবাড়িতে। বন্যায় পানিবন্দী মানুষের দুই বেলা খাবার জুটলেও জুটছে না গবাদিপশুর। বেড়েছে চোর ডাকাতের উপদ্রবও। ফসলহানির পর এবার ক্ষতিগ্রস্ত মানুষগুলোর শেষ সম্বল, গবাদিপশুর শেষ রক্ষা হবে কিনা এ দুশ্চিন্তায় দিন কাটছে বানভাসি মানুষের। ঈদে ভয়াবহ রূপ নিতে পারে চট্টগ্রাম বন্দর জট পরিস্থিতি অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ দফায় দফায় বৈঠক আর নানামুখী সিদ্ধান্ত নিয়েও পুরোপুরি সেবা নিশ্চিত করা যায়নি আমদানি-রফতানি বাণিজ্যে। দূর করা যায়নি চট্টগ্রাম বন্দরের কন্টেনার জট। ব্যবসায়ীরা বলছেন, খালাস প্রক্রিয়া সহজ আর দ্রুততার সঙ্গে করা না গেলে কাক্সিক্ষত সুফল মিলবে না। তবে সুযোগ করে দেয়ার পরও রাত-দিন ২৪ ঘণ্টা ব্যবসায়ীরা কন্টেনার খালাস নেয় না বলে অভিযোগ বন্দর কর্তৃপক্ষের। কিছুতেই কাটছে না চট্টগ্রাম বন্দর আর বন্দরের সহায়ক প্রতিষ্ঠান-আইসিডিগুলোর কন্টেনার জট সঙ্কট। ফলে দুর্ভোগ পিছু ছাড়ছে না ব্যবসায়ীসহ সংশ্লিষ্ট সব মহলের। সপ্তাহের ৭ দিনই ২৪ ঘণ্টা আমদানি-রফতানি কার্যক্রম সচল রাখতে প্রতিনিয়ত নানা ক্ষেত্রে সংস্কার আনছে বন্দর-কাস্টমস। বাড়ানো হচ্ছে জনবল। তারপরও কাক্সিক্ষত সুফল না মেলার পেছনে আন্তরিকতার ঘাটতি আর সক্ষমতা সমানতালে না বাড়াকেই দায়ী করছেন কেউ কেউ।
×