ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

বাক প্রতিবন্ধী কিশোরী ধর্ষণ: ডাক্তারী পরীক্ষার সঠিক রিপোর্ট না দেওয়ার অভিযোগ

প্রকাশিত: ০১:৫১, ২০ আগস্ট ২০১৭

বাক প্রতিবন্ধী কিশোরী ধর্ষণ: ডাক্তারী পরীক্ষার সঠিক রিপোর্ট না দেওয়ার অভিযোগ

নিজস্ব সংবাদদাতা, নাটোর ॥ নাটোরের বড়াইগ্রামে বাক প্রতিবন্ধী এক কিশোরীকে ধর্ষণের ঘটনায় ধর্ষিতার ডাক্তারী পরীক্ষার রিপোর্ট সঠিকভাবে দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগীর পরিবার। অজ্ঞাতকারনে চিকিৎসক সঠিক সঠিক রিপোর্ট না দেওয়ায় ন্যয় বিচার পাওয়া নিয়ে শঙ্কিত তারা। তবে এ বিষয়ে কোন কথা বলতে রাজি হননি চিকিৎসক নাজনীন আক্তার রিপা। পুলিশ, ভুক্তভোগীর পরিবার ও মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, বড়াইগ্রাম উপজেলার শেষপ্রান্তে অবস্থিত ভবানীপুর মোল্লাপাড়া গ্রামের বাক প্রতিবন্ধী এক কিশোরীকে গত ১০আগস্ট বিকালে বাড়ীর পাশেই ধর্ষণ করে প্রতিবেশী আত্তাব আলীর লম্পট ছেলে শামীম হোসেন। এ সময় ধর্ষিতার পরিবারের সদস্যদের উপস্থিতিতে টের পেয়ে সেখান থেকে পালিয়ে যায় ধর্ষক শামীম হোসেন। পরে ওই দিন রাতেই ধর্ষিতার মা বাদী হয়ে বড়াইগ্রাম থানায় ধর্ষণের একটি অভিযোগ দায়ের করেন। ধর্ষিতা বাক প্রতিবন্ধী হওয়ায় ইশারার মাধ্যমে বড়াইগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শাহরিয়ার খানকে বিষয়টি জানালে তাৎক্ষনিক অভিযোগটি মামলা হিসেবে রুজু হয়। পরে রাতেই অভিযুক্ত শামীমকে তার বাড়ী থেকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এদিকে, কিশোরীকে ডাক্তারী পরীক্ষার জন্য বড়াইগ্রাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। সেখানে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স্রের মেডিকেল অফিসার ডাঃ নাজনীন আক্তার রিপা তার পরীক্ষা করেন। পরে তিনি পরীক্ষায় ধর্ষণের কোন আলামত নেই বলে সার্টিফিকেট প্রদান করেন। কিন্তু সেখানেই বাধে বিপত্তি। কেন অদৃশ্যকারনে মেডিকেল অফিসার এমন মিথ্যা সার্টিফিকেট প্রদান করেছেন এটা বুঝতে পারছে না ধর্ষিতার পরিবার। চিকিৎসক পুনরায় সঠিক মেডিকেল রিপোর্ট প্রদান করুক এমন দাবি জানিয়েছেন তারা। এদিকে, অভিযুক্ত শামীমের বিরুদ্ধে এর আগেও ধর্ষণ চেষ্টার একাধিক অভিযোগ রয়েছে বলে জানান স্থানীয়রা। তবে এ ব্যাপারে জানতে চাইলে কথা বলতে রাজি হননি বড়াইগ্রাম স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার ডাঃ নাজনীন আক্তার রিপা। উল্টো এই প্রতিবেদককে যা ইচ্ছা লিখতে বা করতে পারেন জানিয়ে কক্ষ থেকে বেরিয়ে যান তিনি। স্থানীয় বাসিন্দা কাইজার ও মাজদার জানান, এর আগে শামীমের বিরুদ্ধে একাধিক নারীঘটিত কেলেঙ্কারির অভিযোগ রয়েছে। তারই ধারাবাহিকতায় সম্প্রতি একটি মেয়েকে প্রেমের ফাঁদে ফেলে ধর্ষণ করে। পরে গ্রাম্য শালিসে ওই মেয়ের সাথে শামীমের বিয়ে দেওয়া হয়। কিন্তু বখাটে শামীমের ঘরে ঠাঁই মিলছিল না তার স্ত্রীর। কিন্তু ধর্ষণ মামলায় পুলিশ তাকে আটকের কিছু আগেই চালাকি করে ওই বউকে ঘরে নিয়ে আসে শামীম। বড়াইগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শাহরিয়ার খাঁন জানান, ভুক্তভোগীরা থানায় এসে অভিযোগ করলে বিষয়টি আমলে নেওয়া হয় এবং অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বর্তমানে অভিযুক্ত শামীম কারাগারে রয়েছে।
×