স্টাফ রিপোর্টার ॥ রাজধানীর রাজারবাগ পুলিশ লাইনে কর্মরত এক নারী কনস্টেবলকে ধর্ষণের অভিযোগে তার সহকর্মী গ্রেফতারকৃত আরিফুল ইসলামকে (২২) কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।
রবিবার দুপুরে ঢাকা মহানগর হাকিম আব্দুল্লাহ আল মাসুদ তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। এর আগে সকালে আরিফুল ইসলামকে আদালতে হাজির করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা শাহজাহানপুর থানার এসআই লায়েদুল ইসলাম। মামলার তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত তাকে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন তদন্ত কর্মকর্তা।
এদিকে, গ্রেফতারকৃত আরিফুল ইসলামের আইনজীবী জিয়াউর রহমান তার জামিনের আবেদন করে শুনানি করেন। শুনানিতে তিনি বলেন, আরিফুল ইসলাম পরিস্থিতির শিকার। তাকে ষড়যন্ত্র করে ফাঁসানো হয়েছে। বাদীর সঙ্গে তার কোনো সম্পর্ক নেই। অসৎ উদ্দেশ্যে হয়রানি করতে তাকে মামলায় জড়ানো হয়েছে। আমি তার জামিনের প্রার্থনা জানাচ্ছি। উভয় পক্ষের শুনানি শেষে আদালত জামিন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
পুলিশ জানায়, ১০ মাস আগে বাদীর নারী কনস্ট্রেবলের সঙ্গে তার সহকর্মী আরিফুল ইসলামের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। ২ জুন সকালে আরিফুল ইসলাম বাদীকে বিয়ে করবেন বলে ফোন দিয়ে মালিবাগের হোটেল মৌচাকের ৬ষ্ঠ তলার ৬০৬ নম্বর রুমে নিয়ে যায়। সেখানে আরিফুল ইসলাম বাদীকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে হোটেলে একাধিকবার ধর্ষণ করেন। এরপর আরিফুল ইসলামকে বাদী বিয়ের কথা বললে তিনি কর্ণপাত করেন না। এজন্য তার বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ করেছেন বলে বাদী এজাহারে উল্লেখ করেছেন। শাহজাহানপুর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আব্দুল মাবুদ জানান, শনিবার রাতে শাহজাহানপুর থানায় মামলা দায়েরের পর মধ্যরাতে রাজারবাগ পুলিশ লাইন থেকে আরিফুল ইসলামকে গ্রেফতার করা হয়। তিনি জানান, দু‘জনের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক ছিল বলে আমরা জেনেছি। কিন্তু আরিফুল কিছুদিন আগে গ্রামের বাড়িতে গিয়ে আরেক নারীকে বিয়ে করে। অভিযোগকারী নারী কনস্টেবলকে রাতেই ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে (ওসিসি) পাঠানো হয়েছে।
আরো পড়ুন
শীর্ষ সংবাদ: