ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে শিশুর মস্তিষ্ক

প্রকাশিত: ০৫:৫০, ১৯ আগস্ট ২০১৭

ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে শিশুর মস্তিষ্ক

পৃথিবী এখন হয়েছে ডিজিটাল। এসেছে মোবাইল ফোন। যেটি আমাদের কাছে স্মার্ট ফোন বা টাচ ফোন নামেও চিহ্নিত। মোবাইল ফোন একটি শিশুর জন্য অনেক বেশি ক্ষতিকর। কারণ একটি শিশুর মস্তিষ্ক অনেক বেশি নরম এবং শিশুদের মস্তিষ্কে সাধারণত পড়ালেখার চাপ বেশি চাপ পড়ে। তারা বিভিন্ন ধরনের কাজ করে। যেমন তারা খেলাধুলা করে আবার পড়ালেখা করে। মোবাইল ফোন তাদের মস্তিষ্কে এক ধরনের তরঙ্গ পাঠায়, যা তাদের মস্তিষ্কের জন্য বিপজ্জনক। এমন নয় যে শুধু শিশুদের জন্যই বিপজ্জনক। আসলে এটা সবাইÑ বড় ছোট সকল শ্রেণীর মানুষের জন্যই বিপজ্জনক, যাদের এরকম টাচ ফোন বা স্মার্ট ফোন আছে। মোবাইল ফোন কখনোই বুকের পকেটে রাখা উচিত নয়। ঘুমানোর সময় মাথার সামনেও রাখা উচিত না। তাতে মস্তিষ্কের অনেক ক্ষতি হয়। মোবাইল ফোনের পাশাপাশি লেপটপও বিপজ্জনক। শিশুরা যদি আধা ঘণ্টার বেশি লেপটপে তাকিয়ে থাকে, তাহলে তাদের মস্তিষ্ক এবং তাদের চোখ দুটিতেই অনেক বেশি প্রভাব পড়ে। অনেক পরিবারে ছেলেমেয়েরা অনেক বেশি দুষ্টুমি করে বলে তাদের বাবা-মা তাদেরকে মোবাইল ফোন বা বিভিন্ন ধরনের জিনিস কিনে দেন। যাতে তারা দুষ্টুমি না করে। সেগুলো বেশিক্ষণ চালালেও তাদের মস্তিষ্কের অনেক ক্ষতি হয়। অনেক ছাত্রছাত্রী আছে, যারা প্রথম দিকে অনেক ভাল রেজাল্ট করে। তাই তাদের জন্য তাদের মা ও বাবা মোবাইল ফোন কিনে দেন। কিন্তু ১ বা ২ বছর পর থেকে তারা খারাপ রেজাল্ট করে। কারণ তখন মোবাইল ফোনের ওপর এক ধরনের নেশা চলে আসে এবং তাদের ব্রেইন দুর্বল হয়ে পড়ে। তখন সে অমনযোগী দুর্বল হয়ে পড়ে পড়লেখার বিষয়ে। তাদের মা বাবা তাদের ওপর রাগ করেন। তাদের বকা দেন। কিন্তু তখন রাগ করে বা তাদের বকা দিলেও কোন লাভ নেই। আসলে এটা মা-বাবারই ভুল। কিন্তু তারা বুঝতে পারেন না যে, সেটা তাদের ভুল। এটার একটাই উপায় তাদের সঙ্গে কথা বলতে হবে। তাদের মোবাইল ফোন চালানো বন্ধ করতে হবে। তাদেরকে সহযোগিতা করতে হবে এবং তাদের পাশে থাকতে হবে। তাতে কোন উপায় হতে পারে আবার তাদের পড়ালেখার মনোযোগ আনার। যাতে তারা আবার ভাল রেজাল্ট করতে পারে। যদি আমরা সবাই মিলে চেষ্ট করি তাহলে কিছুই অসম্ভব নয়। আগের দিনে কোন ধরনের মোবাইল ফোন ছিল না। তখন অনেক ভাল ভাল ডাক্তার, বৈজ্ঞানিক, শিক্ষক ছিল। যেমন-ডাক্তার মো. শহীদুল্লাহ, ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর, অক্ষয়কুমার দত্ত ইত্যাদি। আমাদের উচিত শিশুদের মোবাইল ফোন থেকে দূরে রাখা। আমাদের উচিত নিজেদের কাজ করার পাশাপাশি কিছু সময় পরিবার ও নিজেদের সন্তানের সঙ্গে কাটানো। রাইয়ান বিন কাউসার সপ্তম শ্রেণী, উইলস লিটল ফ্লাওয়ার স্কুল এ্যান্ড কলেজ কাকরাইল, ঢাকা
×