ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

ঢাকা দুই সিটির পরিচ্ছন্ন কর্মীর সংখ্যা সাত হাজার ৯১৬ ॥ তীব্র আবাসন সঙ্কট,মজুরিও কম

অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে পরিচ্ছন্ন কর্মীদের মানবেতর জীবন

প্রকাশিত: ০৪:৫৬, ১৯ আগস্ট ২০১৭

অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে পরিচ্ছন্ন কর্মীদের মানবেতর জীবন

জান্নাতুল মাওয়া সুইটি ॥ ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের পরিচ্ছন্ন কর্মী আকলিমা। দশ বছর ধরে সে কাজ করে যাচ্ছেন। নিজে অপরিচ্ছন্ন, অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে থেকেও দিনরাত নগরীকে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখার চেষ্টা করছেন তিনি। কিন্তু সে কাজের মজুরি যেমন কম, প্রশংসাও তেমনি নেই। অন্যান্য পরিচ্ছন্ন কর্মীর মতো আকলিমাও ন্যূনতম সুযোগ-সুবিধা থেকেও বঞ্চিত হচ্ছেন। রোদ-ঝড়-বৃষ্টি, অসুস্থতা কিংবা শুক্র-শনিবার কোন কিছুতেই ছুটি নেই ঢাকার পরিচ্ছন্ন কর্মীর। সপ্তাহের প্রতিদিনই ৮ ঘণ্টা কিংবা এরও বেশি সময় কাজ করতে হয় তাদের। কোন কারণে কাজে হাজির হতে না পারলে বেতন নেই। দৈনিক মজুরি হিসেবে যে কয় টাকা পান তা দিয়েই চলে সংসার। সেই সঙ্গে রয়েছে আবাসন সমস্যা। দুই সিটি কর্পোরেশন এলাকায় এমন পরিচ্ছন্ন কর্মীর সংখ্যা সাত হাজার ৯১৬। বর্তমানে ৭০ শতাংশ পরিচ্ছন্ন কর্মীর থাকার কোন ব্যবস্থা নেই। তারা ফুটপাথ কিংবা বিভিন্ন বস্তিতে বাস করছেন। জানা গেছে, পরিচ্ছন্নকর্মীদের অধিকাংশের নেই আবাসন সুবিধা। নেই স্বাস্থ্যসেবা কিংবা সন্তানদের পড়াশোনার ব্যবস্থাও। স্বল্প পরিসরের ১২টি কলোনিতে পরিবার-পরিজন নিয়ে বাস করেন দুই সিটি কর্পোরেশনের এসব পরিচ্ছন্ন কর্মী। অপরিচ্ছন্ন, অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে থেকেও দিনরাত নগরীকে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখার চেষ্টায় নিয়োজিত তারা। নগরীর দেড় কোটি মানুষের বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় নিয়োজিত এসব শ্রমিক পান না মানবিক অধিকারটুকুও। রাজধানীর ওয়ারী কলোনিতে সরেজমিনে দেখা গেছে, ছোট ছোট ঘর। এক একটি বাথরুম ও রান্নাঘর ভাগাভাগি করছে ২০ জন। সেখানে বসবাস করেন মাহমুদা। তিনি ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের পরিচ্ছন্ন কর্মী। ছোট এক রুমের একটি বাসায় দুই সন্তান ও স্বামীকে নিয়ে তার বাস। মাহমুদা বলেন, ঘরটা এত ছোট যে একটি ডবল খাট ভেতরে ঢোকাতে গিয়ে জায়গা না হওয়ায় খাটের কিছু অংশ কেটে ফেলতে হয়েছে। সারাদিনের পরিশ্রম শেষে একটু আরামে ঘুমানোর মতো জায়গা নেই। এক রুমের বাসায় খাওয়া, ঘুম এবং সস্তানদের লেখাপড়া সবই করতে হয়। কখনও কোন নিকটজনকে বাসায় রাখার সুযোগ নেই তাদের। তিনি বলেন, আমরা পরিচ্ছন্নতার কাজ করি। কিন্তু আমাদের জীবনমান পরিচ্ছন্ন নয়। এই কলোনির আরেক বাসিন্দা মিঠুন বলেন, পরিচ্ছন্ন কর্মীদের আবাসন সমস্যা অনেক পুরনো। এই কলোনির আড়াই শ’ ঘরে বাস করছে দুই থেকে আড়াই হাজার লোক। এসব লোকের টয়লেট, গোসল, ঘুমানো সবই হয় একেবারে সীমিত পরিসরে। পরিচ্ছন্ন কর্মীদের এই সমস্যা সমাধানের আগেই হঠাৎ বাড়িয়ে দেয়া হয়েছে কাজের চাপ। ভোর থেকে গভীর রাত পর্যন্ত কাজ করতে হচ্ছে তাদের। ক্লান্ত-পরিশ্রান্ত পরিচ্ছন্ন কর্মীরা ভালভাবে বিশ্রামের সুযোগটুকুও পায় না। শুধু আবাসন সমস্যা নয় সঙ্গে রয়েছে মজুরির তারতম্যও। নগরীর পরিচ্ছন্নতা কাজে নিয়োজিত থাকা এসব কর্মী যুগের পর যুগ ধরে কাজ করে এলেও চাকরির নেই কোন নিরাপত্তা। বৃদ্ধ বয়সে এসে অবসর ভাতার কোন ব্যবস্থা নেই। দৈনিক মজুরি ও স্কেলভুক্তÑএ দুই শ্রেণীর কর্মী দিয়ে সিটি কর্পোরেশন পরিচ্ছন্নতার কাজ করিয়ে থাকে। দৈনিক মজুরিতে নিয়োগপ্রাপ্তদের দুটি ক্যাটাগরিতে ভাগ করে মজুরি নির্ধারণ করা হয়। অভিজ্ঞ ও অনেক পুরনো কর্মীরা পান দৈনিক ৫০০ টাকা। আর অপেক্ষাকৃত কম অভিজ্ঞ ও নতুন কর্মীরা পান ৪৭৫ টাকা করে। দীর্ঘ সময় কাজের অভিজ্ঞতার পর ইনক্রিমেন্ট হিসেবে তাদের পারিশ্রমিক বাড়ে মাত্র ২৫ টাকা। এক্ষেত্রে স্কেলভুক্ত কর্মীরা বেশি সুবিধা পেয়ে থাকেন। পুরনো কর্মীদের সর্বোচ্চ বেতন ২৫ হাজার টাকা, সর্বনিম্ন ১৪ হাজার টাকা। দুই সিটি কর্পোরেশনের স্কেলভুক্ত কর্মী রয়েছেন দুই হাজার ৩৬০। বাকি পাঁচ হাজার ৫৫৬ কর্মী মাস্টার রোলে বেতন পাচ্ছেন। যেসব পরিচ্ছন্ন কর্মী ঢাকার রাস্তায় কাজ করছেন তাদের অনেকেই আবার অন্যের কাজের প্রক্সি দেন। এক্ষেত্রে মূলকর্মী তার প্রক্সিকর্মীকে নিজের বেতনের অর্ধেকের চেয়েও কম অর্থ দেন। সে হিসেবে একজন কর্মী পান ২৫০ টাকা কিংবা এর চেয়েও কম। সিটি কর্পোরেশনের পরিচ্ছন্ন কর্মীদের প্রায় ৪০ শতাংশই অন্যের পরিবর্তে কাজ করেন। এ বিষয়ে পরিচ্ছন্ন কর্মী আকলিমা জানান, আমি অনেকজনের পরিবর্তে কাজ করি। ১০ বছর ধরে কাজ করে আসছি। কিন্তু সিটি কর্পোরেশন যে টাকা দেয় তার অর্ধেক আমার মূল ব্যক্তি নিয়ে যায়। অথচ সে কাজ করে না। এমন শত শত লোক আছে। যাদের ঢাকায় বাড়ি আছে। কিন্তু পরিচ্ছন্ন কর্মীর খাতায় নাম রেখে আমাদের আয়ে ভাগ বসায়। সে যদি কাজ না করে তাহলে তাদের তো বাদ দেয়া উচিত। এদিকে, বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় টেকসই উন্নয়নের লক্ষ্যে পরিচ্ছন্ন কর্মীদের জন্য বিভিন্ন অবকাঠামো নির্মাণের উদ্যোগ নিয়েছে ঢাকা সিটি কর্পোরেশন। এর মধ্যে দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন পরিচ্ছন্ন কর্মীদের জন্য আবাসন নির্মাণ প্রকল্প হাতে নিয়েছে। এ প্রকল্পের আওতায় গণকটুলী ক্লিনার কলোনিতে ছয়টি, মিরনজল্লা ক্লিনার কলোনিতে তিনটি ছয় তলা ভবন এবং ধলপুর ক্লিনার কলোনিতে একটি এক তলা ভবন নির্মাণের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। এছাড়া একটি দোতলা ভবনের উর্ধমুখী স¤প্রসারণ করে ছয় তলা ভবন নির্মাণের প্রকল্প হাতে নেয়া হয়েছে। এছাড়া ক্লিনারদের জন্য স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদফতর কর্তৃক ১৩টি দশ তলাবিশিষ্ট ভবনে মোট এক হাজার ১৪৮টি ফ্ল্যাট নির্মাণের প্রকল্প হাতে নিয়েছে। এ বিষয়ে জানতে চাইলে দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের অতিরিক্ত প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা খন্দকার মিল্লাতুল ইসলাম জনকণ্ঠকে বলেন, সিটি কর্পোরেশনের স্থায়ী কোন পরিচ্ছন্ন কর্মী নেই। অস্থায়ীভাবে দৈনিক মজুরির ভিত্তিতে কর্মীরা কাজ করছেন। বর্তমানে কর্মীদের জন্য নিজস্ব কোন স্বাস্থ্যকেন্দ্র না থাকলেও তাদের জন্য হাসপাতাল নির্মাণের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, শুধু মৃত্যুর পর দাফনের জন্য দেয়া হয় সাত হাজার টাকা। তবে কর্মরত অবস্থায় কেউ মারা গেলে মেয়রের বিশেষ ফান্ড থেকে একজন কর্মী ৫০ হাজার টাকা করে পান। তবে এর পেছনে খরচ হয়ে যায় সিংহভাগই। এ বিষয়ে মিল্লাতুল ইসলাম বলেন, কর্মরত অবস্থায় কেউ যদি মারা যান তাদের দাফনের জন্য সিটি কর্পোরেশন থেকে সাত হাজার টাকা দেয়া হয়। এছাড়া পরবর্তীতে একজন কর্মীকে ৫০ হাজার টাকা করে দেয়া হয়। এছাড়া মৃত কর্মীদের স্ত্রী কিংবা সন্তানরা চাইলে তাদের মাস্টার রোলে নিয়োগ দেয়া হচ্ছে। অন্যদিকে, উত্তর সিটির পরিচ্ছন্ন কর্মীদের জন্য একটি প্রকল্প অনুমোদন হয়েছে। এই প্রকল্পের আওতায় ৪টি ১২ তলা ভবন নির্মাণ করা হবে গাবতলী বেড়িবাঁধে। যাতে আট শ’ পরিচ্ছন্ন কর্মীর জন্য আবাসন সমস্যার সমাধান হবে বলে জনকণ্ঠকে জানালেন উত্তর সিটির অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী সৈয়দ কুদরত উল্লাহ। তিনি বলেন, উত্তর সিটির পরিচ্ছন্ন কর্মীদের জন্য তেমন কোন কলোনি নেই। যেসব ছোট কলোনি আছে সেখানে পানি, গ্যাস ও বিদ্যুতের সমস্যা রয়েছে। এগুলো উন্নয়নের জন্য প্রকল্পের কাজ চলমান রয়েছে। তাদের আবাসন সমস্যার সমধান শীঘ্রই সমাধান হবে বলেও আশা প্রকাশ করেন তিনি। রাখাইনে দীর্ঘস্থায়ী হতে পারে সেনা সার্জিক্যাল অপারেশন মোয়াজ্জেমুল হক/ এইচএম এরশাদ ॥ বাংলাদেশ মিয়ানমার সীমান্তের উভয় পাশে দু’দেশের সীমান্ত রক্ষীবাহিনীর টহল আরও জোরদার করা হয়েছে। সে দেশের সেনাবাহিনী সন্ত্রাসী ও চরমপন্থীদের দমনে সার্জিক্যাল অপারেশনে নেমেছে। মিয়ানমারের উত্তর মংডু, বুচিদং ও রাচিদং শহরে সেনা টহলের পাশাপাশি কারফিউ জারি করার পর রোহিঙ্গাদের ঘরে ঘরে তল্লাশি চালানোর ঘটনাকে কেন্দ্র করে সে দেশের সীমান্তরক্ষী বিজিপি ও বাংলাদেশের সীমান্তরক্ষী বিজিবি সদস্যদের পক্ষ থেকে নিয়মিত টহলকে আরও একধাপ বাড়িয়ে জোরদার করা হয়েছে। বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের মধ্যে সীমান্ত রেখার পরিমাণ ১২০ কিলোমিটার। রাখাইন রাজ্যে সেনা অভিযান শুরু হওয়ার পর রোহিঙ্গারা দলে দলে এদেশে আসতে শুরু করায় সীমান্তে সার্ভিলেন্স তৎপরতা বাড়ানো হয়েছে বলে টেকনাফ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল আরিফুল ইসলাম জনকণ্ঠকে জানিয়েছেন। অপরদিকে সীমান্তের ওপার থেকে প্রাপ্ত খবর অনুযায়ী মংডু, বুচিদং এর মধ্যবর্তী স্থান মাইয়ুতে জড়ো করা হয়েছে বিপুলসংখ্যক সেনা সদস্য। পর্বতের পাদদেশে সেনাবাহিনীর বেষ্টনি রয়েছে অস্ত্র তাক করা অবস্থায়। সেখান থেকে স্থানীয় রোহিঙ্গাদের সরিয়ে নেয়া হয়েছে। মংডু যাদিপ্রাং থেকে এ তথ্য পাওয়া গেছে। চিত্রটি এমন যে যেন যুদ্ধাবস্থা। জেলা শহর থেকে অস্ত্রশস্ত্র ও খাদ্য সরবরাহ সেখানে আনা হচ্ছে। এ নিয়ে ধারণা করা হচ্ছে সামরিক বাহিনী সেখানে দীর্ঘস্থায়ী অভিযান চালাতে পারে। সেখানকার জ্বালানি কাঠ সংগ্রহকারী ও বাগান মালিকদের পাহাড়ে আসা যাওয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। এর পাশাপাশি যাদিপ্রাং থেকে পর্বতের আশেপাশে রোহিঙ্গারা একপ্রকার বন্দী হয়ে আছে। রোহিঙ্গাদের যেমনি এক প্রকার বের হতে দেয়া হচ্ছে না, তেমনি বহিরাগতদের সেখানে ঢুকতে দেয়া হচ্ছে না। মিয়ানমারের ওই অঞ্চলের বিচ্ছিন্নতাবাদী ও চরমপন্থীদের দমনে মিয়ানমার সরকার সর্বশেষ এ ব্যবস্থা গ্রহণের পর রাখাইন রাজ্য থেকে রোহিঙ্গা আগমন নতুন করে শুরু হওয়ায় কক্সবাজার অঞ্চলের পরিবেশ উৎকণ্ঠার মধ্যে রয়েছে। জানা গেছে, রাখাইন রাজ্যে সেনাবাহিনী যে অপারেশন শুরু করেছে তার নাম দেয়া হয়েছে সার্জিক্যাল অপারেশন। এ অপারেশনে রোহিঙ্গা যুবকদের বিশেষভাবে টার্গেট করা হয়েছে। সেনা অভিযানের খবরাখবর যাতে বহির্বিশ্বে যেতে না পারে সেজন্য পুরুষদের কাছে মোবাইল ফোন পাওয়া যায় কিনা তা নিয়ে ব্যাপক তল্লাশি চালানো হচ্ছে। রোহিঙ্গা পল্লীতে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যাদির দোকানগুলো একপ্রকার বন্ধই রয়েছে। কারফিউর কারণে এমনিতেই রাতের বেলায় সব ধরনের কর্মকা- বন্ধ রয়েছে। তার ওপর দিনের বেলায় চলাচলেও তল্লাশি তৎপরতা বৃদ্ধি পাওয়ায় রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী সার্বক্ষণিক ভীতসন্তস্ত্র অবস্থায় রয়েছে। এদিকে বিজিবি সূত্রে জানা গেছে, গত ১৬ আগস্ট উভয় দেশের জিরো লাইনে দুদেশের সীমান্ত রক্ষীবাহিনী যৌথ টহল দিয়েছে। টহলের শুরুতে নিজ নিজ দেশের পতাকা নিয়ে তারা শুভেচ্ছা বিনিময় করেছে। উখিয়ার বালুখালি বরাবর মিয়ানমারের ঢেকিবুনিয়া ও বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি ঘুমধুম সীমান্তে বিজিবি ও বিজিপি সদস্যদের যৌথ টহল হয়েছে। এদিকে মিয়ানমার থেকে রোহিঙ্গাদের বিভিন্ন ফাঁক-ফোকরে আগমন অব্যাহত রয়েছে। যে কারণে বিজিবির পক্ষ থেকে সীমান্তে সার্ভিলেন্স তৎপরতা বাড়ানো হয়েছে। ওপারের সূত্র জানিয়েছে, গত বৃহস্পতিবার দুপুরে মংডুর নাপ্পুরা এলাকায় ৪ রোহিঙ্গা যুবককে ধরে নিয়েছে বিজিপি। শুক্রবার পর্যন্ত তাদের কোন খোঁজ মেলেনি। সেখানকার সূত্রগুলো বলেছে, সেনা অভিযান শুরু হওয়ায় রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর সদস্যরা বাস্তুচ্যুত হচ্ছে। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সে দেশের সেনাবাহিনী তথ্য পেয়েছে মাইয়ু পর্বত এলাকায় বিদেশী জঙ্গী গোষ্ঠীর অর্থায়নে বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠীর সন্ত্রাসীরা প্রশিক্ষণ নিচ্ছে। মূলত এ কারণেই সেনা অভিযান। এছাড়া বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের ৬ সদস্যের প্রাণহানির ঘটনাও রয়েছে।
×