ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১

বঙ্গবন্ধুর খুনীদের প্রশ্রয়দাতাদের সঙ্গে কোন আপোস নয় ॥ নাসিম

প্রকাশিত: ০৮:০১, ১৮ আগস্ট ২০১৭

বঙ্গবন্ধুর খুনীদের প্রশ্রয়দাতাদের সঙ্গে কোন আপোস নয় ॥ নাসিম

বিশেষ প্রতিনিধি ॥ আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য, ১৪ দলের সমন্বয়ক এবং স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম বলেছেন, দেশ এগিয়ে যাচ্ছে, আলোকিত বাংলাদেশ আজ। সেখানে আমরা কেন ছাড় দেব? সংবিধানে আমাদের হাত-পা বাঁধা। সেখানে ছাড় দেয়ার প্রশ্নই ওঠে না। কাকে ছাড় দেব, বঙ্গবন্ধুর খুনীদের? ’৭৫’র ১৫ আগস্টের ওই খুনীদের যারা আশ্রয়প্রশয় দিয়েছিল সেই বিএনপি-জামায়াতকে? না, তাদের ছাড় দেয়ার প্রশ্নই ওঠে না। সংলাপ দূরে থাকুক, তাদের সঙ্গে কোন আপোস হবে না। একটা কথা স্পষ্ট বলতে চাই, যারা বঙ্গবন্ধুর খুনীদের আশ্রয়প্রশয় দিয়েছে, বাংলার মাটিতে ওদের সরকার আর কখনও হবে না। বঙ্গবন্ধুর শাহাদতবার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে জাতীয় পার্টি-জেপির উদ্যোগে বৃহস্পতিবার কাকরাইলে আইডিইবিতে ‘আমি তোমাদেরই লোক’ শিরোনামে ‘স্মৃতি তর্পণ সভা’য় প্রধান অতিথির বক্তব্যে স্বাস্থ্যমন্ত্রী এসব কথা বলেন। মোহাম্মদ নাসিম বলেন, এদেশে সুষ্ঠু নির্বাচন ও মানুষের ভোটের অধিকারের জন্য শেখ হাসিনা কী করেছেন সবাই জানেন। নির্বাচনে ভোটার ও দেশের জনগণকে বিশ্বাস করতে হবে। পৃথিবীর কোন দেশ নেই যে, নির্বাচনের সময় আলোচনা হয়। একটি মীমাংসিত বিষয়কে বার বার আলোচনায় আনা হচ্ছে। যে মহলটি সুস্থ-স্বাভাবিক রাজনীতি চায় না, তারাই এটা করছে। সংবিধান অনুযায়ী যথাসময়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অধীনেই নির্বাচন হবে। দেশে এত মিডিয়াম আছে, জনগণ দেখবে-কীভাবে ভোট হচ্ছে। তাহলে এত ভয় পান কেন? আমরা যদি জনগণকে নেতৃত্ব দিতে ব্যর্থ হই তাহলে বিরোধী দলে বসব। কিন্তু অমুক না এলে নির্বাচন হবে না; এ রকম জুজুর ভয় দেখাবেন না। রাষ্ট্রের কোথাও লেখা নেই যে, অমুক দল না এলে নির্বাচন হবে না। নির্বাচনকালীন সরকারেরও প্রধান থাকবেন শেখ হাসিনা। বিএনপিকে উদ্দেশ করে ১৪ দল সমন্বয়ক বলেন, খেলার মাঠে আসুন। আপনাদের নিয়েই খেলতে চাই। সেখানে রেফারি থাকবে নির্বাচন কমিশন। দেখি কে হারে, কে জিতে। কিন্তু ফাউল করবেন না। এবার ফাউল করলে বাংলার মাটিতে আপনাদের রাজনীতি শেষ হয়ে যেতে পারে। তিনি বলেন, ১৪ দল একত্রে আছে, আগামীতেও ইন্শাল্লাহ আমরা একত্রে নির্বাচন করব। খোদা চাইলে একত্রে সরকারও গঠন করতে পারি। কারণ, সুখে-দুঃখে আমরা একত্রে আছি। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে প্রয়োজনে এই জোট সম্প্রসারণ করা হবে। তিনি বলেন, বিএনপি নেতা ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ এখন আইন ও ন্যায়বিচার নিয়ে বড় বড় কথা বলছেন। কিন্তু তিনি যখন আইনমন্ত্রী ছিলেন তখন বিবেক বিসর্জন দিয়ে কালো আইনÑইনডেমনিটির পক্ষে অবস্থান নিয়েছিলেন। নি¤œ আদালতে খুনীদের বিচার হবার পর সরকার পরিবর্তন হলো, বিএনপি ক্ষমতায় আসে। কিন্তু পাঁচটি বছর ওই আপীল নিষ্পত্তি হয়নি। তখন বলা হতো, বিচারক নেই, বেঞ্চ গঠন করা যাচ্ছে না। এভাবে মওদুদ সাহেব পাঁচ বছর খুনীদের রক্ষা করেছেন। স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, বেইমান মোশতাকের সঙ্গে জিয়াও নেপথ্যে ভূমিকা রেখেছিলেন। পরে এরশাদও খুনীদের লালন করেছেন। জেল হত্যার বিচারের ঠিক আগ মুহূর্তে বিচারক বদল করা হয়েছিল, এই মওদুদের সময়। পরে ইচ্ছামতো রায় দেয়া হয়, যেই রায়ে অভিযুক্ত কয়েকজনকে খালাস দিয়ে দেয়া হয়েছিল। এই মওদুদ রাজনৈতিক বহুরূপী। নাসিম বলেন, ইনডেমনিটি কালো আইন, এটা বাতিল করা হলো- সেদিন এ রকম কথা বলার মতো বিচারক পাইনি। এখন প্রতিদিন রুল দেখি। সব বিষয়ে আদালত রুল দিচ্ছে, আদেশ দিচ্ছে। একজন উকিল দাঁড়িয়ে যান, আর বিচারকরা রুল ইস্যু করেন। এমনকি অনেক সময় বদলিও তারা আটকে দেন। আমার প্রশ্ন, ২১ বছর শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা পিতা হত্যার বিচার পাননি, আমি নিজেও পিতা হত্যার বিচার পাইনি বহু বছর। তখন এই বিচারকরা কোথায় ছিলেন?
×