ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

এ্যাডভোকেট চিত্রা রায় সুপ্রীমকোর্ট, বাংলাদেশ

আইনী পরামর্শ

প্রকাশিত: ০৭:২৯, ১৮ আগস্ট ২০১৭

আইনী পরামর্শ

প্রশ্ন : ১. আমি বান্দরবানে ভ্রমণ করতে যাওয়ার পর সেখানকার জমি পছন্দ হওয়ায় ১৯৯৮ সালে ৫ একর পাহাড়ী জমি কিনি এবং সে আমাকে দলিল করে দেয়। তারপর হতে অদ্যাবধি আমি ১৮ বছর ধরে উক্ত জমিতে ভোগ দখলদার আছি। বিগত কিছুুদিন ধরে পার্শ্ববর্তী জমির মালিক বলাবলি করছে আমার দলিল ভুয়া। ঐবধফসধহ এর অনুমোদন নেই। আমি এসব কিছু বুঝতে পারছি না। অনেকের কাছে জিজ্ঞাসা করে সদুত্তর পাইনি। একটু বলবেন কি? ম্যাডাম। শাহিন, ঢাকা। উত্তর : চিটাগং পার্বত্য অঞ্চলে জমি ক্রয়-বিক্রয়ের আলাদা নীতিমালা আছে। এই নীতিমালাগুলো মেনে আপনি পাহাড়ী জমি কিনেছেন কিনা, তা বিস্তারিত বলার পর আশা করি আপনি আপনার উত্তর পেয়ে যাবেন। ২য় অংশ : ঈযরঃঃধমড়হম যরষষ ঃৎধপঃং ৎবমঁষধঃরড়হ ১৯০০ ও কিছু বিশেষ আইন দ্বারা বান্দরবান খাগড়াছড়ি রাঙ্গামাটি অঞ্চল শাসিত। এখানে বহিরাগতরা জমি ক্রয় করতে পারে না। তবে সরকার যদি কাউকে এখানে পুনর্বাসন করে অথবা গ্রামপ্রধান ঐবধফসধহ এর সুপারিশের ভিত্তিতে জবমরংঃৎু করে জমি ক্রয় করতে হয়। প্রশ্ন : ২. আমরা দুই ভাই-বোন। আমাদের জন্মের পর থেকে আমরা মাকে নিয়ে লন্ডন থাকি। প্রায় ২০ বছর ধরে। বাংলাদেশে আমার বাবা তার ২য় স্ত্রী নিয়ে বসবাস করতেন। আমার বাবার দ্বিতীয় স্ত্রীর গর্ভজাত একটি ছেলে সন্তান আছে। তার বয়স ১৮ বছর। কিছুদিন পূর্বে আমাদের প্রিয় বাবা এ পৃথিবীর মায়া ত্যাগ করে চলে যান। পরবর্তীতে আমরা জানতে পারি যে, বাবার নামে কিছু অর্থ সম্পদ ইধহশ অপপড়ঁহঃ-এ আছে। তাছাড়া তিনি দুটি সমবায় সমিতির সদস্য সেখানেও তার বেশ কিছু টাকা জমা আছে ও দুটি বীমা কোম্পানিতে তার নামে বীমা করা ছিল। এখন কিভাবে এগুলো আমরা কী করতে পারি। ফিরোজ খান, ঢাকা। উত্তর : আপনি বা আপনারা যে আপনার বাবার উত্তরাধিকারী সেটা প্রমাণসাপেক্ষ বিষয়। আর অন্য কেউ এসে যদি আবার সমদাবি করে তবে সব বিষয়ই বিশৃঙ্খলা হয়ে পড়বে। তাই কে ঝঁপপবংংড়ৎ এবং কে ঝঁপপবংংড়ৎ নয় এই বিষয়ে আদালত সংশ্লিষ্ট পক্ষদের লিখিত আবেদন পাঠান্তে, উভয় পক্ষের বক্তব্য শুনানির পর ন্যায়ত ও আইনত বৈধ উত্তরাধিকার বলিয়া ঝঁপপবংংরড়হ ঈবৎঃরভরপধঃব (উত্তরাধিকার সনদপত্র) প্রদান করে। উক্ত ঈবৎঃরভরপধঃব প্রদর্শিত হলে, ইধহশ, বীমা ও অন্যান্য আর্থিক প্রতিষ্ঠান উক্ত সনদপত্রের বর্ণনা অনুযায়ী প্রত্যেক ঝঁপপবংংড়ৎ কে আদালত কর্তৃক নির্ধারিত হারে যার যার আর্থিক প্রাপ্য প্রদান করবে। এর জন্য আপনাকে সকল ঝঁপপবংংড়ৎকে আবেদনকারী করে ও নিকট আত্মীয়দের দ্বিতীয় পক্ষ করে আপনার নিজ জেলার জজ আদালতে মামলা করতে হবে। কোন ঝঁপপবংংড়ৎকে বাদ দিলে পরবর্তীতে ওই ঝঁপপবংংড়ৎ-এর আবেদনক্রমে আপনার ঝঁপপবংংরড়হ ঈবৎঃরভরপধঃব (উত্তরাধিকার সনদপত্র) বাতিল হয়ে যাবে। দরখাস্তে উল্লেখ করতে হবে কোন্ কোন্ ব্যাংকে বা কোন্ কোন্ আর্থিক প্রতিষ্ঠানে কী পরিমাণ অর্থ উত্তোলনযোগ্য আছে। পূর্ণাঙ্গ বিবরণ দিতে হবে। সঙ্গে সবার জাতীয় পরিচয়পত্র এবং আপনার পিতার উবধফ ঈবৎঃরভরপধঃব দিতে হবে। এখন আপনি আপনার সৎ ভাইসহ, যেহেতু সে আপনার-বাবারই সন্তান তাই তাকেসহ আপনার এলাকার সংশ্লিষ্ট জেলা জজ আদালতে এর জন্য আবেদন করে মামলা করুন। তবে অবশ্য জেনে নিতে ভুলবেন না, আপনার সৎ ভাই অর্থাৎ আপনার পিতার দ্বিতীয় স্ত্রীর গর্ভজাত সন্তান আপনার এলাকার সংশ্লিষ্ট জেলা জজ আদালত থেকে কোন উত্তরাধিকার সনদপত্র তার নামে করে নিয়েছে কি না?
×