ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

ময়মনসিংহে স্ত্রী হত্যার দায়ে স্বামীর ফাঁসি

প্রকাশিত: ০৬:৫৬, ১৮ আগস্ট ২০১৭

ময়মনসিংহে স্ত্রী হত্যার দায়ে স্বামীর ফাঁসি

স্টাফ রিপোর্টার, ময়মনসিংহ ॥ যৌতুকের কারণে স্ত্রী পাপিয়া আক্তারকে হত্যার দায়ে স্বামী মনিরুজ্জামান সেলিমকে ফাঁসির আদেশ দিয়েছে আদালত। মামলার অপর আসামি নজরুল ইসলামের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় বেকসুর খালাস দেয়া হয়। ময়মনসিংহ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্র্যাইব্যুনালের বিচারক হেলাল উদ্দিন বৃহস্পতিবার এই রায় ঘোষণা করেন। জানা যায়, ২০১০ সালের অক্টোবর মাসে পাপিয়া আক্তারের সঙ্গে ফুলবাড়িয়া উপজেলার মনিরুজ্জামান সেলিমের পারিবারিকভাবে বিয়ে হয়। বিয়ের কিছুদিন পর থেকেই যৌতুকের জন্য সেলিম তার স্ত্রীকে নির্যাতন শুরু করে। এক পর্যায়ে চাকরির জন্য স্বামী সেলিম ২ লাখ টাকা দাবি করে স্ত্রী পাপিয়াকে বাপের বাড়ি পাঠিয়ে দেয়। পাপিয়া খুন হওয়ার ১৫ দিন পূর্বে স্বামী সেলিম পাপিয়াকে আবার তার বাড়িতে নিয়ে এসে আবারও অত্যাচার শুরু করে। এক পর্যায়ে গত ২০১০ সালের ২৮ এপ্রিল পাপিয়াকে মাথায় আঘাত করে ও গলায় রশি দিয়ে শ্বাস রোধ করে খুন করা হয়। পটুয়াখালীতে একজনের যাবজ্জীবন নিজস্ব সংবাদদাতা পটুয়াখালী থেকে জানান, বাউফলের তাতেরকাঠী গ্রামে তহমিনা বেগম হত্যা মামলায় একজনকে যাবজ্জীবন কারাদ-ের আদেশ দিয়েছে আদালত। পটুয়াখালীর অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ মোস্তফা পাভেল রায়হান বৃহস্পতিবার দুপুরে এ রায় প্রদান করেন। দ-প্রাপ্ত আসামি হচ্ছেন জালাল খন্দকার। ২০১২ সালের ২০ মে বাউফলের তাতেরকাঠী গ্রামে পৈত্রিক জমি নিয়ে বিরোধের জের ধরে তহমিনা বেগমকে হত্যা করা হয়। পরের দিন রাজু মাস্টারের বাড়ির দক্ষিণ পার্শ্বের পুকুরে তহমিনা বেগমের হাত-পা বাঁধা অবস্থায় লাশ উদ্ধার করা হয়। বিচারক আসামি জালাল খন্দকারকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদ- ও ১০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে ৬ মাসের বিনাশ্রম কারাদ-ের রায় প্রদান করেন। আসামি পলাতক রয়েছে।
×