ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

আজ থেকে ফের মাঠে গড়াচ্ছে বিপিএল ফুটবল

প্রকাশিত: ০৬:৩৭, ১৮ আগস্ট ২০১৭

আজ থেকে ফের মাঠে গড়াচ্ছে বিপিএল ফুটবল

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ দুটিই ঐতিহ্যবাহী ক্লাব। চলমান সাইফ পাওয়ার ব্যাটারি বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লীগ ফুটবলে দুটো দলেরই করুণ দশা। সেটা পয়েন্ট টেবিলে চোখ বোলালেই পরিষ্কার হবে। আরমাবাগ ক্রীড়া সংঘ তাদের তিন খেলার প্রতিটিতেই হেরেছে। ভা-ারে জমা হয়নি একটি পয়েন্টও। ১২ দলের মধ্যে তাদের অবস্থান তলানিতে। তাদের চেয়ে একটু ভাল অবস্থায় আছে দুইবারের লীগ শিরোপাধারী এবং ‘দ্য অরেঞ্জ ব্রিগেড’ খ্যাত গোপীবাগের দল ব্রাদার্স। তিন খেলার ১টিতে হারলেও ড্র করেছে দুটিতে। ফলে ২ পয়েন্ট নিয়ে তারা আছে দশ নম্বরে। আরামবাগ-ব্রাদার্স চলতি লীগে এখনও কোন জয়ের মুখ দেখেনি (অংশীদার টিম বিজেএমসিও)। সেই অধরা জয়ের সন্ধানে মরিয়া দু’দলই আজ পরস্পরকে মোকাবেলা করবে বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে। খেলাটি শুরু হবে কৃত্রিম আলোয়, সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায়। লীগ শুরুর আগে এবারের লীগে শীর্ষ চারে থাকার সংকল্প ব্যক্ত করেছিল আরামবাগ। কিন্তু কথার সঙ্গে কাজের সমন্বয় ঘটাতে পারেনি ক্লাবটি। আরামবাগের মূলশক্তি তাদের কোচ মারুফুল হক। এর আগে মোহামেডান, শেখ জামাল, শেখ রাসেল এবং জাতীয় দলের কোচ হিসেবে কাজ করা এই তারকা-অভিজ্ঞ কোচকে নিয়ে তাদের প্রত্যাশা অনেক। অথচ তারপরও টানা তিন ম্যাচের হারে আরামবাগের সমর্থকরা যেন বিস্ময়ে বজ্রাহত। সেই ম্যাচের দুঃসহ স্মৃতি ভুলে এবং ভুলত্রুটি কাটিয়ে আজকের খেলায় জিতে জয়ের খাতা খুলতে মরিয়া ‘রাইজিং স্ট্রেন্থ’ খ্যাত আরামবাগ (গত লীগে ১২ দলের মধ্যে ষষ্ঠ হয় তারা)। প্রতিপক্ষ ব্রাদার্সকে ‘ব্রাদার’ না ভেবে শত্রু হিসেবে গণ্য করে তাদের হারিয়ে পয়েন্ট এবং জয়ের খাতা খুলতে বদ্ধপরিকর তারা। আরামবাগের মূল খেলোয়াড় তাদের নাইজিরিয়ান ফরোয়ার্ড বুকোলা ওলালেকা। তিন মৌসুম পর আবারও খেলতে এসেছেন তিনি বাংলাদেশে। প্রথম ম্যাচে রহমতগঞ্জের বিপক্ষে একটি গোলও করেছেন (২০০৯ মৌসুমের লীগে মোহামেডানের জার্সিতে করেছিলেন ১৮ গোল যা ছিল ওই লীগের ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ গোল। এছাড়া ২০১৩ মৌসুমে শেখ রাসেলের ঐতিহাসিক ট্রেবলজয়ী দলেও ছিলেন)। ব্রাদার্সের আবার জোড়া সমস্যা। জয়হীনতার পাশাপাশি তারা ভুগছে তাদের নতুন ইতালিয়ান কোচ জিওভান্নি স্ক্যানুকে নিয়েও। এক কোচকে নিয়োগ দিয়ে তাকে মাসখানেকের মাথায় বরখাস্ত করার পর নতুন কোচকে এনেও লাভ হয়নি। না, ব্রাদার্স কোচকে বরখাস্ত করেনি, বরং নতুন কোচই ব্রাদার্সকে ছেড়ে দেয়ার মতো অবস্থা তৈরি হয়েছে। মায়ের অসুস্থতার কারণে নিজ দেশে ছুটি নিয়ে চলে যান জিওভান্নি। পরে জানা যায়, মায়ের অপারেশন করানো হবে। তার মায়ের যে অবস্থা তাতে তার ঢাকায় ফিরে আসতে আরও ৩ থেকে ৪ সপ্তাহ সময় লাগবে বলে ব্রাদার্স কর্তৃপক্ষকে জানান তিনি। কিন্তু ব্রাদার্স তাকে নতুন করে জিওভান্নিকে আর কোন বাড়তি ছুটি দিতে চায়নি (কেননা এই সময়ে তাদের একাধিক লীগ-ম্যাচ আছে)। আবার তাকে বরখাস্তও করেনি। কেননা বরখাস্ত করলেই চুক্তি অনুযায়ী জিওভান্নিকে ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। সেই পথে না হেঁটে ব্রাদার্স বরং ‘ধীরে চলো নীতি’ অবলম্বন করছে। চলমান লীগের প্রথম ম্যাচে দলের সঙ্গে ছিলেন স্ক্যানু। ব্রাদার্স সেই ম্যাচে বিজেএমসির সঙ্গে গোলশূন্য ড্র করে। এই ম্যাচের পরই তিনি ঢাকা ছাড়েন মায়ের কারণে। গত ১০ জুলাই তিনি ঢাকায় এসেছিলেন ব্রাদার্সে যোগ দিতে। তার সঙ্গে ব্রাদার্সের চুক্তি হয়েছিল আগামী নবেম্বর পর্যন্ত। কিন্তু একমাস যেতেই দ্বিতীয় দফায় আবারও কোচবিহীন হয়ে পড়লো ব্রাদার্স। জিওভান্নির অবর্তমানে আপাতত সাবেক গোলরক্ষক সাইদুর রহমান পান্নুই এখন ব্রাদার্স দলকে কোচিং করাচ্ছেন।
×