ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

দুঃসাহসী সেরেনা

প্রকাশিত: ০৬:৩৬, ১৮ আগস্ট ২০১৭

দুঃসাহসী সেরেনা

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ চলতি বছরের শুরুতে অস্ট্রেলিয়ান ওপেনেও দাপটের সঙ্গে খেলেছেন সেরেনা উইলিয়ামস। বড় বোন ভেনাস উইলিয়ামসকে পরাজিত করে ক্যারিয়ারের ২৩তম গ্র্যান্ডসøাম জয়ের স্বাদ পান তিনি। তখনও খবরটা সমর্থকদের কাছে অজানা। হ্যাঁ, অন্তঃসত্ত্বা হয়েই টেনিসের উন্মুক্ত যুগে সর্বোচ্চ গ্র্যান্ডসøাম জয়ের অবিস্মরণীয় কীর্তি গড়েন আমেরিকান টেনিসের এই জীবন্ত কিংবদন্তি। অস্ট্রেলিয়ান ওপেনের শিরোপা জেতার পর থেকেই অন্তঃসত্ত্বার কারণে টেনিস কোর্টের বাইরে রয়েছেন সেরেনা উইলিয়ামস। তবে সন্তান জন্ম দেয়ার পর যত দ্রুত সম্ভব খেলায় ফিরতে চান এই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের টেনিস তারকা। শুধু তাই নয়, নতুন বছরের প্রথম মেজর টুর্নামেন্ট অস্ট্রেলিয়ান ওপেন দিয়েই কোর্টে ফিরতে চান বিশ্ব টেনিস র‌্যাঙ্কিংয়ের সাবেক নাম্বার ওয়ান এই তারকা। চলতি বছরের শুরুতে যখন অস্ট্রেলিয়ান ওপেনের শিরোপা জেতেন সেরেনা; তখনও কয়েক সপ্তাহের প্রেগন্যান্ট ছিলেন তিনি। কোর্টে ফেরার জন্য সেই টুর্নামেন্টকেই টার্গেট করছেন যুক্তরাষ্ট্রের এই কৃষ্ণকলি। আগামী সেপ্টেম্বরে সন্তান জন্ম দেয়ার মাত্র তিন মাস পরই কোর্টে ফেরার প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন সেরেনা উইলিয়ামস। এ বিষয়ে এক সাক্ষাতকারে সেরেনা উইলিয়ামস বলেন, ‘এটি নিষ্ঠুর পরিকল্পনা (সন্তান জন্ম দেয়ার পরপরই কোর্টে ফেরা)। আমি আগে সন্তান জন্ম দিতে চাই। সন্তান জন্ম দেয়ার তিন মাস পর কোর্টে ফিরতে চাই।’ অবশ্য সন্তান জন্ম দেয়ার পর টেনিস কোর্টে ফেরার ঘটনা অবশ্য সেরেনারটাই প্রথম হবে না। এর আগে সন্তান জন্মের পর টেনিস কোর্টে ফেরার দারুণ অভিজ্ঞতা রয়েছে কিম ক্লিস্টার্সেরও। ২০০৫ সালে ২৩ বছর বয়সে ইউএস ওপেনের শিরোপা জেতার পর অন্তঃসত্ত্বার কারণে কোর্টের বাইরে চলে যান বেলজিয়ামের এই টেনিস তারকা। ২৮ মাস পর কোর্টে ফিরে আবারও নিউইয়র্কে শিরোপা জয় করেন তিনি। তবে সেরেনার বয়স ৩৬ ছুঁই ছুঁই হওয়ায় তারজন্য প্রত্যাবর্তনে সাফল্য পাওয়াটা কঠিনই হবে বলে মনে করেন ক্লিস্টার্স। চলতি বছরে মাত্র দুটি টুর্নামেন্টে অংশ নিয়েছেন সেরেনা উইলিয়ামস। কিন্তু তারপরও আয়ে শীর্ষ নারী ক্রীড়াবিদের মধ্যে শীর্ষস্থানটি দখল করে রেখেছেন সেরেনা। ২০১৬ সালের জুন থেকে ২০১৭ সালের জুন পর্যন্ত ২ কোটি ৭০ লাখ মার্কিন ডলার আয় করেছেন সেরেনা। প্রাইজমানি, টুর্নামেন্টে অংশগ্রহণ ফি এবং নাইকিসহ বিভিন্ন স্পন্সরের সঙ্গে চুক্তির মাধ্যমে এই অর্থ আয় করেন নারী টেনিসের ওপেনযুগে সর্বোচ্চ গ্র্যান্ডসøাম জয়ী এই কিংবদন্তি। আয়ে শীর্ষ ১০ নারী ক্রীড়াবিদদের মধ্যে টেনিস খেলোয়াড়দের একক আধিপত্য। শীর্ষ দশের আটজনই টেনিস তারকা। ১ কোটি ২৬ লাখ মার্কিন ডলার আয় করা এ্যাঞ্জেলিক কারবার রয়েছেন তালিকার দুই নম্বরে। গত মৌসুমটা দারুণ কেটেছে এই জার্মান তারকার। কিন্তু চলতি মৌসুমে এখন পর্যন্ত কোন শিরোপার স্বাদ পাননি স্টেফিগ্রাফের এই উত্তরসূরি। আমেরিকার রেসিং খেলোয়াড় ড্যানিকা প্যাট্রিক ১ কোটি ২২ লাখ মার্কিন ডলার আয় করে তৃতীয় স্থানে রয়েছেন। চতুর্থ স্থানে জায়গা করে নেয়া আমেরিকান মার্শাল আর্টিস্ট রোন্ডা রোসির আয় ১ কোটি ১০ লাখ মার্কিন ডলার। পাঁচ থেকে ১০ নম্বরে জায়গা করে নেয়া সবাই টেনিস খেলোয়াড়। এই ছয়জন হলেনÑ সেরেনা উইলিয়ামসেরই বড় বোন ভেনাস উইলিয়ামস। সাতটি গ্র্যান্ডসøাম জয়ী এই কিংবদন্তির আয় ১ কোটি ৫ লাখ মার্কিন ডলার। স্প্যানিশ টেনিস তারকা গারবিন মুগুরুজার আয় ৭৭ লাখ মার্কিন ডলার। গতমাসেই যিনি উইম্বলডনের চ্যাম্পিয়ন হয়েছেন। তাও আবার অভিজ্ঞ খেলোয়াড় ভেনাস উইলিয়ামসকে পরাজিত করে। এই তালিকার অন্য খেলোয়াড়রা হলেন- ক্যারোলিন ওজনিয়াকি, এ্যাগ্নিয়েস্কা রাদওয়ানস্কা, ইউজেনি বাউচার্ড এবং সিমোনা হ্যালেপ। ড্যানিশ টেনিস তারকা ক্যারোলিন ওজনিয়াকির আয় ৭৫ লাখ মার্কিন ডলার। রাদওয়ানস্কার আয় ৭৩ লাখ মার্কিন ডলার। অন্যদিকে ইউক্রেনের ইউজেনি বাউচার্ড পান ৭১ লাখ মার্কিন ডলার এবং সিমোনা হ্যালেপ ৬২ লাখ মার্কিন ডলার আয় করে শীর্ষ দশে জায়গা করে নেন।
×