**স্পর্শের মুখম-ল
যদি নক্ষত্র ধরি তাহলে দুঃখ পাবে
একটি আঙ্গুলের শব্দ বরং
তোমার কাছে থাক।
কাশবনের সেই অবিকল উন্মূল
আঙ্গুলটিও
তোমাকে দিলাম
শাদা শালিকের পালক ছুঁয়ে দীর্ঘ বছর
বুকের মধ্যে রেখেছি
আঙ্গুলের শব্দ
এই আঙ্গুলের শব্দটিই
তোমাকে দিলাম।
সেই অবিকল ভক্তবিলের
বটের ছায়াটিও তোমাকে দিলাম
দীর্ঘ বছর ছায়াটি আমি ছিঁড়ে রেখেছি
বাম পকেটের হীরকময়ে
সেই ছায়াটিও আঙ্গুলের সাথে
তোমাকে দিলাম।
যদি নক্ষত্র ধরি তাহলে দুঃখ পাবে
একটি আঙ্গুলের শব্দ বরং
তোমার কাছে থাক।
**নন্দিত নিঃশব্দ
কড়ির কাছে নেমে যাচ্ছে বেনামি ঘর থেকে
নাভির বুদ্বুদ্ শব্দ। সাপানুডোর ভেঙ্গে নিখুঁত
ঘামগুলো আবার এসে দাঁড়ায় সেই চিক রেখা
মুখ ঢেকে; রং-তুলিটা শরীর পাবে
তবু উড়তে
যেও না মেয়ে...
**নীল খাম
মেয়েটি চোখের বদলে চায় নুন। আর ছেলেটি গোলাপের উত্তেজনা। ঠিক হয়, কে পারে পাহাড়টি
এঁকে যাবে ঠোঁটের আদলে; আর একটা হাসি
যেন নেয়া যায় রাতের আদলে। তারা বসে
থাকে হাতঘড়ির মুখোমুখি; আলোকচিত্রী এসে
পড়ে-
চিতার আদলে খুনভর্তি মেমোরি নেয়া
যাবে বেওয়ারিশ যুবকের লাশ...
**শোক প্রস্তাব
খুনের কোনো নাম নেই শোক প্রস্তাব হতে পারে
ভগ্নাংশ প্রথায়।
পাখির মৃতদেহ যদিও পড়ে থাকে
মানুষের শরীর ও মগজ বেছে নেয়
অভ্যাস মতো
একটি নির্মম মৃত্যুর ঘটনা। একঘেয়ে থেকে থেকে
শহর বুঝে গেছে
পাখি আর মানুষের দূরত্বে
শোক প্রস্তাব
খুনের প্রথায় নিষিদ্ধ নয়...
**বিষ
তবু হে দেয়াল
এঁকে যাও নদী
দূরে যেতে যেতে
টুকরো সয়ে
গভীর হবে গভীর।
তবু হে দেয়াল
লিখে যাও স্মৃতি
ভুলে যেতে যেতে
বিস্মৃত হয়ে
শরীর পাবে শরীর।
**ঘড়ি ২
ঘড়ির সময়টা বুঝে আলতো ডুবধ্যানে
ঝুলে আছে তোমার শয়নকক্ষ। দ্বিধাহীন
পাঠক গীত ধরে
পুবের বারান্দা হেলে দেয়
ঘড়ির ঘণ্টা
যদিও তুমি একদা চাওনি
কবিতার কাছে অমৃতসুধা
তার চেয়ে ঘড়িও তোমার
ঘুমিয়ে পড়ার সম্ভ্রম হতে
নিঃশব্দে ডেকে দেয়...
অট্রালিকার কথোপকথন
চোখের বিশ্বাসে জন্ম নেয়া মেঘ যখন
লাল স্কার্ফ থেকে হিলিয়াম খোঁজে
তখন ক্রমশ ভায়োলিন গ্রাস করে
পাখিদের মৌন শোকের
নির্লিপ্ত নীল ফিতা।
বসন্ত খেয়ে লুটেরা
জুতার সাথে নেমে যাচ্ছে হলোকাস্টের দিকে-
ভীষণ আত্মলোকে মুখঢাকা লোকগুলো
পকেটে তুলে নেয় অট্রালিকার
কথোপকথন।