ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

মাসুদ মুস্তাফিজ

সমকালীন বোধে নান্দনিক সংমিশ্রণ

প্রকাশিত: ০৫:৫২, ১৮ আগস্ট ২০১৭

সমকালীন বোধে নান্দনিক সংমিশ্রণ

মহাদেব সাহা (জন্ম : ১৯৪৪, ৫ আগস্ট) ষাটের দশকের এই কবির ‘এই গৃহ এই সন্ন্যাস’ কাব্যগ্রন্থ দিয়ে যাত্রা। মানুষ, প্রকৃতি ও প্রেমের অনুষঙ্গ-কাব্য প্রবণতার অন্যতম কবি মহাদেব সাহা। তিনি কেবলই কবি এবং কবি। বাংলা কাব্যের যান্ত্রিকতার আবদ্ধ ভেঙে রচনা করেছেন বিশুদ্ধ অক্ষরসমুদ্র। মহাদেব সাহার কবিতার প্রধান বিষয় নারীপ্রেম। জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক রাজনীতি ও তার অভিঘাতে সৃষ্ট সমাজ-বাস্তবতা তাঁর কবিতায় দ্বিতীয় প্রধান বিষয়। প্রকৃতি, বিশেষ করে বৃক্ষ, অরণ্য ও পাখির প্রসঙ্গ তাঁর কবিতায় ঘুরেফিরে আসে। বাকভঙ্গিমায় তিনি সহজ-সরল ভাষা ব্যবহার করেন যা সব শ্রেণীর পাঠকের জন্যই উপযোগী। অলঙ্কারের বাহুল্য নেই, যা বলেন তা অনেক ক্ষেত্রেই সরাসরি বলেন; তবু এতে থাকে পাঠককে আকৃষ্ট করার মতো উপাদান। কবিতা সম্পর্কে কবির নিজের অভিমতই যথেষ্টÑ ‘যেমন একটা তারাভরা আকাশ, সেখানে কিন্তু অন্ধকার, এই তারাভরা আকাশের অন্ধকার উপলব্ধি করা। এমন একটা ব্যাপার যে, কবিতা হলো একটা আলো, সেই আলো থেকে অনেকগুলো আলো জ্বালানো যায়। ’ কবি মহাদেব সাহা কাব্যে নতুন শব্দে উদ্দীপ্ত হয়ে কবিতা রচনা করেন। তাঁর কাব্য স্বপ্নের আগমনে বাস্তবতা নির্মিত হয়। তিনি স্বপ্নপ্রবণতার কবি। তাই তিনি স্বপ্নপ্রবণতায় সমর্পিত হন। তিনি দৃঢ়ভাবে উচ্চারণ করেন এভাবেÑ তোমরা যখন কারও ভাতের থালা উপুড় করে ফেল/তখন পৃথিবী থেকে শত শত ইঞ্চি বৃষ্টিপাত কমে যায়,/সেই মুহূর্তে দাবদাহে দগ্ধ হয় দক্ষিণ এশিয়ার বনাঞ্চল/তাৎক্ষণাৎ কয়েক হাজার মাইল বনভূমি সঙ্কুচিত হয়ে পড়ে,/শত শত একর একর কৃষিজমি বিরাণ মরুভূমি হয়ে যায়।/‘তোমরা যখন কারও ভাতের থালা উপুড় করে ফেল’ প্রকাশ: দৈনিক সংবাদ ২ আগস্ট ২০১২) মহাদেব সাহা ভীষণভাবে আবেগতাড়িত হোন। আমরা জানি কাব্যে আবেগের ব্যবহার অত্যন্ত জরুরী। তিনি আবেগের সঙ্গে কল্পনার মিশ্রণে বিশুদ্ধ মৌলিক চিন্তার কাব্য রচনা করেন। তাঁর কবিতা কাল থেকে কালান্তরে বিবর্তিত হয়। তিনি স্বপ্নপ্রবণতায় সমর্পিত হন। তাই কবির বর্ণনাশৈলিতে চোখে পড়ে প্রকৃতি বাস্তবতার নিদারুণ চিত্রÑ আমাজান ও মিসিসিপিতে দীর্ঘ চর জেগে উঠে/সব সংরক্ষিত খাদ্যগুদামে ভয়াবহ দূষণ শুরু হয়/এক সঙ্গে একশ’টি পণ্যবাহী জাহাজ মধ্য আটলান্টিকে ডুবে যায়।/ (‘তোমরা যখন কারও ভাতের থালা উপুড় করে ফেল’ প্রকাশ: দৈনিক সংবাদ, ০২ আগস্ট ২০১৪) বাঙলাছন্দের তিন রীতির ব্যবহারই তাঁর কবিতায় চোখে পড়ে। তবে তাঁর প্রধান অবলম্বন অক্ষরবৃত্ত ছন্দের আদলে যা ব্যবহৃত হয়েছে সেগুলোকে অক্ষরবৃত্ত না-বলে একধরনের নিজস্ব গদ্যছন্দ বলা চলে যা অক্ষরবৃত্তীয় দোলায় আবর্তিত। প্রচুর ছন্দবদ্ধ সমিল কবিতাও লিখেছেন তিনি। মিল-প্রয়োগে পটুত্বের কমতি নেই। এভাবেই মহাদেব সাহা হয়ে উঠেছেন ষাটের দশকে নতুন কাব্যভাষা, কাব্য চেতনায় মহাদেব সাহাকে আমরা স্বতন্ত্র কণ্ঠে দেখিÑ নিজের উদ্ভট ছায়া ঘিরে থাকে শুধু/এই শূন্যতার মাঝে, ঘোর দুঃসময়ে/তোমার ভেতর এই অপার্থিব মরূদ্যানখানি/না পেলে এখন(জীবনে তুমি শুধু স্নিগ্ধ জলাশয়) বৃষ্টির অনিবার্য প্রার্থনা প্রেমিকার মতো শিহরণ জাগায় কাব্যের পুঙ্ক্তিতে। কবির কিছু কবিতা পাঠে এ রকম বৃষ্টিবিষয়ক রূপক কবিতা লাখ করা যায়। তাঁর কবিতায় বিশাল স্বপ্নমগ্নতা, স্বপ্নবাস্তবতা সংশ্লিষ্ট। যে সোনালি সম্ভাবনার স্বপ্ন তিনি লালন করেন তাঁর কবিতার নির্মাণের শ্রেষ্ঠ উপকরণ হয়ে ওঠে। স্বপ্ন বাস্তবায়নে তিনি সাহসী যোদ্ধা। দিন বদলের দৃঢ়প্রত্যয়ে মহাদেব সাহা পবিত্র স্বপ্নকে কবিতায় বিস্তৃত করেন। দেখা যায় কখনও কখনও এই স্বপ্ন তাঁকে অপরাধী করে তোলেÑ জলের আখ্যানজুড়ে আছে নদী রাঙিয়ে থাকা/মাছরাঙা পাখিদের কথা/ প্রকৃতিতে ঠিক স্থির কিছু নেই, হয় বর্ষা না হয় বসন্ত/বৃষ্টি যেন এক খণ্ড টোলের পুরনো পুঁথি/ যতবার খুলে পড়ি ততোবার মন ভরে যায়। (‘বৃষ্টির প্রার্থনা’ সর্বাঙ্গে তোমার গুঞ্জন, পৃ:৩৫) অন্যদিকে আরও কিছু বৃষ্টিবিষয়ক কবিতায় তিনি স্বপ্নকে নান্দনিকভাবে উপস্থাপন করেনÑ আমি আর বৃষ্টি কিংবা বর্ষা আনতে পারব না/গন্ধে আর গুঞ্জনে ভরে দিতে পারব না কাউকে/উদ্দাম নদীর বর্ণনা কেউ আর আমার কাছে/শুনতে পাবে না। (‘আমার গল্প’ প্রকাশ: দৈনিক সংবাদ ২ আগস্ট ২০১২) মহাদেব সাহার কবিতা ভুবন বহুমাত্রিকতার প্রশস্ত। তাঁর কবিতায় বিষয়ে-বৈচিত্র্যের দিক লক্ষণীয়। তিনি অন্যান্য বিষয়ের মতো প্রেমলীলা বিষয়ের কবিতা রচনা দক্ষতা ও মননশীলতার পরিচয় দিয়েছেন। যা অনুধাবন করা খুব সহজে সম্ভব। মহাদেব সাহাও প্রেমের কবিতায় আনন্দকে বিজয়ী করেছেন। তাঁর কাছে অশ্রু ও বেদনা অসহ্য হিসেবে বিবেচিত হয়েছে। প্রেমের লক্ষ্য আনন্দ অর্জন এটাই যেন কবিতার মূলকেন্দ্র, বেদনার নয়। এ রকম অনেক পরম সত্য তিনি তাঁর কবিতায় ব্যক্ত করেছেন। তাঁর প্রেমে দুরন্তপনা কাব্যোচ্ছ্বাস লক্ষ্য করা যায়। আনন্দÑবিষাদের পাশাপাশি তিনি পরিণতিকেও স্বীকার করে নিয়েছেন। কবিকে দুঃখ তাড়া করে না যেন নান্দনিক কাব্যআঁধার বিলাপ আবার গভীর সঙ্কটে ও ক্রোধে বা দ্রোহে তিনি ফেটে পড়েন না বরং আন্তরিক মানবিক স্থিরতায় খুঁজে ফেরেন মানবিক প্রেমের কাব্যচেতনা। তিনি কাব্যকে চমৎকার লিরিকের ভেতর উপস্থাপন করেনÑ তুমি দিয়ে শুরু একটি বাক্য/শেষ তার তুমিহীন/একেই আমরা বলেছি তো প্রেম/বিচ্ছেদ চিরদিন (০৯/লিরিকগুচ্ছ ‘প্রেমের কবিতা’, কাব্যসমগ্র/৩,পৃ:২৮) মহাদেব সাহার কবিতায় চিত্রকল্প যেন জীবনের প্রতিচ্ছবি হয়ে ওঠে। তাঁর কবিতা বোধের- ভাললাগার অনুভূতিকেও সেভাবে নাড়া দিয়ে যায়। পাঠক যেন হারিয়ে যান। তিনি মানুষের ভেতরে প্রবেশ করে হৃদয়তাড়িত বোধকে ভাষায় প্রকাশ করে। যেমনÑ একখানি মুখ মনে পড়ে, একখানি মুখ মনে পড়ে/চাঁদ গলে কি বৃষ্টি ঝরে ধূসর স্মৃতি ছায়াচ্ছন্ন;/মধ্যরাতে ফুটপাতে চাঁদ একটি পাহাড় সামনে/নদী তারপরে মুখে একটি দেয়াল তারপরে মুখ/ আকাশে চাঁদ উত্তেজিত এবং বড় ভীষণ বড়ো।/চাঁদ যদি এই আকাশটিকে গ্রাস করে খায়/আমাকে খায়? (কাব্যসমগ্র ৪ পৃ: ৪২০) বোধ ও দৃষ্টিভঙ্গির ভিন্নতা সত্ত্বেও রক্তে-ঘামে তৈরি স্বদেশ এবং প্রতœস্মৃতির রক্তিম অভিজ্ঞতাপুঞ্জকে কবি চেতনার কেন্দ্রে স্থাপন করেছেন। এবং সংগ্রামের অভিজ্ঞতা অভিজ্ঞানে রূপান্তরিত হয়ে বিশ্বজনীন সংগ্রাম ও মানবতাবোধে উজ্জীবিত হয়েছেন কবির। যুদ্ধোত্তর কয়েক দশকে জাতীয় জীবনে যেসব অভাবিত রাজনৈতিক দুর্যোগ সংঘটিত হয়েছে, তা কেবল জাতীয় জীবনকেই বিপন্ন করেনি, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও রক্তক্ষয়ী সংগ্রামের মাধ্যমে অর্জিত সকল গণমুখী মূল্যবোধকেই বিপর্যয়ের সম্মুখীন করেছে। এই পরিস্থিতিতে কবিদের চেতনার রূপান্তরও অনিবার্য হয়ে পড়েছে। রূপান্তরের রক্তাক্ত পরীক্ষায় কেউ উত্তীর্ণ হয়েছেন, আবার কেউ মুক্তিযুদ্ধে পরাজিত হয়েছেন। ষাটের দশকে উদ্ভূত কবিবৃন্দ যুদ্ধোত্তরকালে বাংলাদেশের সম্মিলিত কাব্যধারায় ইতিবাচক গতি সঞ্চারে সমর্থ হন। উল্লেখ্য যে, এসব কবির অধিকাংশই মুক্তিযুদ্ধে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেন। বাঙলা কবিতার পালাবদলে মুক্তিযোদ্ধের অবিনাশী অবদানের রূপ ও স্বরূপ এঁদের কবিতা পাঠে অনুধাবন করা যায়। আবেগের তীব্রতায় বিক্ষোভে-প্রতিবাদে, প্রেম-সংগ্রামে, আসক্তি ও ঘৃণা-যুদ্ধ ও যুদ্ধোত্তর সমগ্র রূপ ধরা পড়েছে। মহাদেব সাহার কবিতার দৃষ্টান্তÑকত আর নতজানু হবো, কতো আর দাঁতে ছোঁবো মাটি /এই শিরদাঁড়া হাঁটু ভেঙে/কতবার হব আর ন্যুব্জ কখনও.../.আমার জীবন এক আগাগোড়া ভুলের গণিত’; ‘এক কোটি বছর হয় তোমাকে দেখি না/একবার তোমাকে দেখতে পাব/এই চিশ্চয়তা পেলে/ বিদ্যাসাগরের মতো আমিও সাঁতরে পার হবো ভরা দামোদর।/ (সর্বাঙ্গে তোমার গুঞ্জন পৃ: ৪৭) ষাটের দশকেই বাংলাদেশের কবিতায় শিল্প সর্বস্বতার প্রথম প্রকাশ। বলা যায় সাধারণ পাঠকের সঙ্গে যোগাযোগের ক্ষেত্রেই এই দশকের কবিতা যে সাফল্য অর্জন করেছিল, তা কেবল এই দেশকের নয় বরং ত্রিশত্তোর বাংলা কবিতার পটভূমিতেই মূল্যবান। কেননা ত্রিশত্তোর কবিতার ক্ষেত্রে যে অভিযোগ- ‘দুরূহতা ও অস্পষ্টতা’ তাকে দূর করে এই পর্বের কবিরা তাঁদের কবিতায় রূপকল্প-উপমা শব্দের প্রাঞ্জল স্বাচ্ছন্দ্য ও সাবলীল গতিময়তার মাধ্যমে কবিতাকে আপামর পাঠকের করে তোলেন। আর মহাদেব সাহা তাঁদেরই একজন। এভাবে মানবিক প্রেমের সাবলীল গতিময়তা মহাদেব সাহার কবিতা পাঠকের কাছে নিয়ে গেছে। মহাদেব সাহার প্রায় কবিতার পঙ্ক্তিতে যে রোমান্টিকচেতনার ব্যবহার এবং তার কাব্যিক শিল্পমাত্রার উৎকর্ষতা চোখে পড়ার মতো। আলো-আঁধারি এবং সত্যমিথ্যার মূল মন্ত্রে তাঁর কাব্য হয়ে ওঠে এক অলৌকিক শক্তিময় ব্যঞ্জনাÑ এই পাঠে ভুল ছিলো তাই এতো অসম্পূর্ণতা।/এতো ক্রটি ঘুচবার নয়, এই আজ অব্যর্থ নিয়তি/তাই মাথায় নিয়েছি তুলে সব ভুল/সব পরাজয়,/(‘এই মন্ত্রে ভুল ছিলো’ সর্বাঙ্গে তোমার গুঞ্জন পৃ: ৩১)) কবি মহাদেব সাহা তার সময়ের নিষ্ঠুর জীবনচিত্রকে কাব্যময় করে তুলেছেন সমকালীন বাস্তবতার কঠিন সময়ের অনিবার্য সত্যে। আবার তাঁর সত্য-মিথ্যার নান্দনিক কাব্যময় বর্ণনা আমাদের ভাবিয়ে তোলে। বোদলেয়ার প্রাকৃতিক সত্যের প্রতি বিতৃষ্ণ ছিলেন। তার অভিমত ছিল প্রাকৃতি হল প্রথম তাড়না, স্বতোৎসারতা-তাৎক্ষণিকতা, দয়া ইত্যাদি যা সরাসরি আর অপরিকল্পিত। সবার উপরে হলো সৃষ্টি। শিল্পের স্বাধীনতা কথাটিকে যদি মান্য করতে ইচ্ছে হয় তবে সত্য দিয়ে সেখানে যাওয়া কি ততটা সহজ? সত্য নির্ধারিত, যেভাবে মৃত্যু। মিথ্যা স্বাধীন, যেভাবে অমরত্ব। আর যদি এভাবে ভাবা যায় একটা সত্যের উপস্থিতির পেছনে মিথ্যার সর্বাধিক ভূমিকা। সাজানো মিথ্যা নিয়েই আমাদের বেঁচে থাকা। কবি যখন বলেন, ‘পাখির নীড়ের মতো চোখ’, তখন আমাদের এক আশ্চর্য ঘোর আচ্ছন্ন করে এই প্রেমহীনতার, এই ছলনার জগতের বাইরে কী এক মহান আশ্রয় এসে আমাদের চোখে তাকায়। আমাদের উজ্জীবিত করে। কবি দ্বিতীয় ইশ্বর হয়ে যান। দৃষ্টান্ত-আমার কথা বিশ্বাস করো না, আমার সব কথা মিথ্যা,/আমি সেই বকপক্ষী যে তোমাদের পঞ্চভ্রাতাকে/জলের কথা বলে মায়া সরোবরের কাছে এনেছে। মূলত মহাদেব সাহা আত্মমগ্ন চেতনাবিলাসী কবি। তাই তাঁকে ষাটের দশকের নতুন ধারার কবি হিশেবে চিহ্নিত করা যায়। কিন্তু অনেকে তাঁকে ষাট দশকের না বলে বিশেষ দশকের কবি বলে দাবি করেন। বিপরীতধারার এই কবির কবিত+ায় ক্ষেদ, ক্ষোভ কিংবা ক্রোধ সর্বোপরি প্রেমের অনুষঙ্গ চরমভাবে ধরা পরে। বিশিষ্ট ধারার কবি মহাদেব সাহার কবিতা সর্বকালের এবং চিরকালের। আমরা বিশ্বাস করি শঙ্খে সমুদ্রনিনাদের মতো তাঁর কাব্যবাণী বাংলা কবিতার পাঠককে আলোকস¤ভূত করবে। কবি মহাদেব সাহা এক মাতাল সময়ের আহ্বানে শরীর ও শরীরহীনতার গন্ধে, কামে, প্রেমে, আধ্যাতিকতায় যেন আরও পরিশুদ্ধ ও পবিত্র। আর সেখানে নিজেকে আরও উন্মচিত করার প্রয়াসে পরিণত আবেগে ক্রমাগত নিজেকে ছাড়িয়ে যান। কবিতা হয়ে ওঠে এক অদ্ভুত সময়ের অশরীরী আত্মা। প্রিয় কবি মহাদেব সাহার জন্মদিনে অমলিন শ্রদ্ধা।
×