ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

নওগাঁর শহর রক্ষা বাঁধে ভাঙ্গন

প্রকাশিত: ০১:৫৪, ১৭ আগস্ট ২০১৭

নওগাঁর শহর রক্ষা বাঁধে ভাঙ্গন

নিজস্ব সংবাদদাতা, নওগাঁ ॥ নওগাঁ শহরবাসীকে বন্যার হাত থেকে বাঁচাতে শহরের বুক চিরে প্রবাহিত ছোট যমুনা নদীর দু’পাড়ে নির্মান করা হয় ফ্লাড ওয়াল। নদীর দুই তীরে শহর এলাকায় নির্মিত এই ফ্লাড ওয়াল নির্মানে ব্যয় হয় ৭২ কোটি টাকা। কিন্তু এত টাকা ব্যয় করে নির্মিত ফ্লাড ওয়াল শহরবাসীর কোন কাজে আসলো না। শহরের পানি নিস্কাশনের জন্য ফ্লাড ওয়ালের মাঝে মাঝে আউট লেট (ড্রেন) নির্মান করা হয়। শহরের পানি নদীতে পড়ার ব্যবস্থা করা হলেও নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে যে শহরে ঢুকতে পারে, তা আটকানোর কোন ব্যবস্থা রাখা হয়নি। পানি উন্নয়ন বোর্ডের তত্বাবধানে নির্মিত ফ্লাড ওয়ালে আউট লেটের ব্যবস্থা থাকলেও ইনলেটের কোন ব্যবস্থা নেই। ফলে এবারের নদীর পানি বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে আউটলেটের সুরঙ্গ পথে হু হু করে নদীর পানি শহরে প্রবেশ করে গোটা শহর প্লাবিত করে ফেলে। বন্যা কবলিত শহরবাসীরা জানান, শহর এলাকাকে বন্যামুক্ত রাখতে নির্মিত ফ্লাড ওয়াল নির্মানে সরকারের বিপুল অংকের টাকা ভাগবাটোয়ারা করে নেয়া হয়। পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী, সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান ও কতিপয় রাজনৈতিক নেতাদের যোগসাজসে ৭২ কোটি টাকার প্রকল্পের একটি বড় অংশ লুটপাট করা হয়। অবশিষ্ট টাকা দিয়ে ফ্লাড ওয়াল নির্মান করা হলেও অপরিকল্পিতভাবে আউটলেট ড্রেন নির্মান করা হয়। আর এতে করে শহরের পানি নদীতে পড়ার ব্যবস্থা থাকলেও নদীর পানি যাতে শহরে ঢুকতে না পারে, তেমন কোন ব্যবস্থা রাখা হয়নি। পানি উন্নয়ন বোর্ডসহ সংশ্লিষ্টদের এমন অনিয়মের কারনে আজ শহরবাসীকে বন্যার পানিতে ভাসতে হচ্ছে। এমন বক্তব্য শহরের সচেতন মহলের। এসন ঘটনায় শহর জুড়ে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। বৃহস্পতিবার বিকেলে এব্যাপারে নওগাঁ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আনোয়ার হোসেনের মুঠো ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করলে তিনি ফোন রিসিভ না করায় তার বক্তব্য জানা যায় নি।
×