ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

পেঁয়াজের দাম বাড়ার কারণ জানতে চেয়ে লিগ্যাল নোটিশ

প্রকাশিত: ০১:৪৮, ১৭ আগস্ট ২০১৭

পেঁয়াজের দাম বাড়ার কারণ জানতে চেয়ে লিগ্যাল নোটিশ

স্টাফ রিপোর্টার ॥ পেঁয়াজের অস্বাভাবিক দাম বৃদ্ধির কারণ জানতে চেয়ে লিগ্যাল নোটিশ পাঠিয়েছে ভোক্তা অধিকার সংস্থা কনসাস কনজুমার্স সোসাইটি (সিসিএস)। বৃহস্পতিবার দুপুরে সিসিএসের পক্ষে সুপ্রীমকোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার শিহাব উদ্দিন খান ডাক ও রেজিস্ট্রিযোগে এ নোটিশ পাঠিয়েছেন। ব্যারিস্টার শিহাব উদ্দিন খান বলেন, গত এক মাসে তিন দফায় বেড়েছে পেঁয়াজের দাম। তাই বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব, ট্রেডিং কর্পোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) চেয়ারম্যান ও বাংলাদেশ ট্যারিফ কমিশনের চেয়ারম্যানকে নোটিশ পাওয়ার তিনদিনের মধ্যে জনসমক্ষে পেঁয়াজের মূল্য বৃদ্ধির কারণ আনুষ্ঠানিকভাবে ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়েছে। তিনি বলেন, এ সময়ের মধ্যে ব্যাখ্যা দিতে না পারলে এ বিষয়ে পরবর্তী আইনগত পদক্ষেপ নেয়া হবে বলেও নোটিশে উল্লেখ করা হয়েছে। নোটিশে আরও বলা হয়েছে, চলতি বছরের আগস্ট মাসের প্রথম সপ্তাহ থেকে পেঁয়াজের মূল্য দফায় দফায় বাড়ছে। ফলে নিম্ন ও নিম্ন-মধ্যবিত্ত ভোক্তাদের জন্য নিত্যপ্রয়োজনীয় এ পণ্যটি কেনা দুঃসাধ্য হয়ে পড়েছে।বাংলাদেশ ট্রেডিং কর্পোরেশনের (টিসিবি) মূল্য তালিকা থেকে দেখা যায়, জুলাই মাসের ১৩ তারিখে দেশি পেঁয়াজের মূল্য ছিল প্রতি কেজি ২৮ থেকে ৩২ টাকা এবং আমদানি করা পেঁয়াজের মূল্য ২২ থেকে ২৫ টাকা। আগস্ট মাসের ৮ তারিখে দেশি পেঁয়াজের মূল্য ছিল প্রতি কেজি ৩০ থেকে ৩৫ টাকা, আমদানি করা পেঁয়াজের মূল্য ৪৫ থেকে ৫০ টাকা।এছাড়া গত ১৩ আগস্ট প্রকাশিত মূল্য তালিকায় দেখা যায়, দেশি পেঁয়াজের মূল্য প্রতি কেজি ৫০ থেকে ৫৫ টাকা, আমদানি করা পেঁয়াজের মূল্য ৬০ থেকে ৬৫ টাকা। টিসিবি’র হিসাব অনুযায়ী, গত এক মাসে দেশি পেঁয়াজের মূল্য বেড়েছে ১০৮ দশমিক ৩৩ শতাংশ, বিদেশি পেঁয়াজের মূল্য বেড়েছে ১২৩ দশমিক ৪০ শতাংশ। এক মাসে পেঁয়াজের গড় মূল্য বেড়েছে ১১২ দশমিক ৯৬ শতাংশ।নোটিশে বলা হয়, দেশে পেঁয়াজের উৎপাদন ও আমদানি মিলিয়ে সরবরাহ চাহিদার তুলনায় বেশি তাই সিসিএস মনে করে এ নিত্যপণ্যের দাম বাড়ার কোনো যৌক্তিকতা নেই।সর্বশেষ তথ্যানুযায়ী, গত এক সপ্তাহের ব্যবধানে ৬৫ থেকে ৭০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে পেঁয়াজ। নিত্যপণ্যটির এ অস্বাভাবিক মূল্য বৃদ্ধিতে ক্ষুব্ধ সাধারণ ক্রেতারা।
×