ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

বন্যা পরিস্থিতির অবনতি ॥ শেরপুর-জামালপুর সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন

প্রকাশিত: ০১:২৫, ১৭ আগস্ট ২০১৭

বন্যা পরিস্থিতির অবনতি ॥ শেরপুর-জামালপুর সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন

নিজস্ব সংবাদদাতা, শেরপুর ॥ পুরাতন ব্রহ্মপুত্র নদের পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় শেরপুরে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে। বৃহস্পতিবার দুপুর পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টায় ব্রহ্মপুত্র নদের পানি শেরপুর ফেরিঘাট পয়েন্টে ২২ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়েছে। এদিকে পানিবৃদ্ধির কারণে শেরপুর-জামালপুর সড়কের পোড়ার দোকান কজওয়ের (ডাইভারশন) ওপর দিয়ে প্রায় ৪ ফুট উচ্চতায় বন্যার পানি প্রবাহিত হচ্ছে। এতে ওই সড়কে যানবাহন চলাচল বন্ধ ঘোষণা করেছে সড়ক ও জনপথ বিভাগ। ফলে শেরপুর-জামালপুর সরাসরি সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। কজওয়ের পাশে সড়কটি ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় যান চলাচল বন্ধের একটি সতর্কতামূলক নোটিশও স্থাপন করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বন্যার পানি পুরাতন ব্রহ্মপুত্র নদের শেরপুর অংশের বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের পুরাতন ভাঙন অংশগুলো দিয়ে প্রবলবেগে প্রবাহিত হচ্ছে। এতে চরাঞ্চলের নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হচ্ছে। লছমনপুর ইউনিয়নেও বন্যার পানি প্রবেশ করেছে। চরপক্ষিমারী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোঃ আব্দুর রউফ জানান, তার ইউনিয়নের ৮টি গ্রামের সবগুলোই বন্যার পানিতে নিমজ্জিত হয়ে বাড়িঘরে পানি প্রবেশ করেছে। পানিবন্দি লোকজন ছুটছেন নিরাপদ আশ্রয়ের সন্ধানে। বেপারীপাড়া এলাকায় শুরু হয়েছে নদীভাঙন। কুলুরচর-বেপারিপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে আশ্রয় নিয়েছে পানিবন্দি মানুষ। এছাড়া নকলার উপজেলার নিম্নাঞ্চলেও বন্যার পানি প্রবেশ করেছে। বন্যার পানিতে জলমগ্ন হওয়ায় শেরপুর সদরের ২০টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মো. নূরে আলম মির্ধা। সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হাবিবুর রহমান বলেন, বন্যায় সদরের চরাঞ্চলের ৬ ইউনিয়নের ২৫টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। এতে অন্তত ১৫ হাজার মানুষ পানিবন্দি অবস্থায় রয়েছে। ইতোমধ্যে গত দু’দিনে বন্যার পানিতে ডুবে ২ শিশুর মৃত্যু হয়েছে। বন্যার্তদের মধ্যে বিতরণের জন্য ৭ মেট্রিকটন খয়রাতি চাল ও ১৫ হাজার টাকা বরাদ্দ পাওয়া গেছে। শেরপুরের বন্যা পরিস্থিতি সম্পর্কে জেলা প্রশাসক ড. মল্লিক আনোয়ার হোসেন বলেন, সদরে বন্যার পানিবৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। বন্যা ও পাহাড়ি ঢলে জেলার ৪ উপজেলার ক্ষতিগ্রস্তদের মধ্যে বিতরণের জন্য ২৫ মেট্রিকটন খয়রাতি চাল ও ও ৪৫ হাজার টাকা বরাদ্দ পাওয়া গেছে।
×