ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

সাইফুর রহমান সোহাগ

বিশ্বাসঘাতকতার বর্বরতম অধ্যায় পনেরো আগস্ট

প্রকাশিত: ০৩:৫০, ১৬ আগস্ট ২০১৭

বিশ্বাসঘাতকতার বর্বরতম অধ্যায় পনেরো আগস্ট

১৫ আগস্ট ১৯৭৫। পিতৃহত্যার কলঙ্ক আর পিতৃবিয়োগের বেদনা মিশ্রিত একটি দিন। এমন বিভীষিকাময় বর্বরতা কখনও দেখেনি বিশ্ব। যে পিতা বাঙালী জাতিকে মুক্তি দিলেন, যে পিতা বাঙালী জাতিকে স্বতন্ত্র পরিচয় দিলেন, সেই পিতাকেই হত্যা করল কিছু কুলাঙ্গার বাঙালী! নয় মাস রক্তক্ষয়ী যুদ্ধ করে বিজয়ী হওয়া একটি গর্বিত জাতি বিশ্ববাসীর চোখে হয়ে গেল কলঙ্কিত। সবাই বলে থাকে, একদল বিপথগামী সেনাসদস্য জাতির পিতাকে সপরিবারে হত্যা করেছে। এ বক্তব্যের সঙ্গে দ্ব্যর্থহীনভাবে দ্বিমত পোষণ করেই বলা যায়, বঙ্গবন্ধু হত্যা ক্ষণিকের স্বতঃস্ফূর্ততায় মধ্যরাতে ঘটে যাওয়া কোন ঘটনা নয়, এটি দীর্ঘদিনের কূটকৌশল মাফিক দেশ ও বিদেশের যৌথ নীলনক্সা অনুযায়ী সংগঠিত এক নির্মম হত্যাযজ্ঞ। রোমের জুলিয়াস সিজার, জায়ারের লুবাম্বা, গ্রানাডার মরিস বিশপ, চিলির আলেন্দে, ভারতের মহাত্মা গান্ধী, ইন্দিরা গান্ধী, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আব্রহাম লিংকন, জন এফ কেনেডির মতো মহান নেতৃবৃন্দের জীবন প্রদীপ নিভে গেছে আততায়ীর নির্মম আক্রমণে। তবে সপরিবারে আত্মত্যাগের ইতিহাস শুধুই ধানমণ্ডি বত্রিশ নম্বর বাড়িটির ইতিহাস। এ ইতিহাস পৃথিবীর বুকে লেগে থাকা পবিত্র রক্তের ছাপ। বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব, শেখ আবু নাসের, শেখ কামাল, শেখ জামাল, সুলতানা কামাল, রোজী জামাল এবং আদরের শেখ রাসেল যেন ইতিহাসের শোকগাথায় চির বেদনার সুর হয়ে বাজছে পৃথিবীজুড়ে। সেদিন পিতার বুক থেকে ঝরে পড়া রক্তে ভিজেছে লাল-সবুজের রং তুলিতে আঁকা বাংলার বুক, রচিত হয়েছে ইতিহাসের ভয়াবহ ও কলঙ্কিত অধ্যায়, বিপন্ন হয়েছে মানবতা, এতিম হয়েছে বাঙালী জাতি। জাতির পিতা যে বাঙালী জাতিকে অন্ধের মতো বিশ্বাস করতেন সেই বাঙালী জাতির মধ্যে যে কিছু মীর জাফরের রক্তের উত্তরসূরি লুকিয়ে আছে তা পশ্চিম পাকিস্তানী জান্তারা ঠিকই বুঝতে পেরেছিল। আর সে বিষয় বুঝতে পেরেই তারা বাছাইকৃত মীরজাফরদের নিয়ে ষড়যন্ত্রের বীজ বুনতে শুরু করল। পাকিস্তানীরা যখন তাদের পরাজয়ের ঘণ্টা শুনতে পেল তখন তারা স্বাধীন হতে যাওয়া লাল-সবুজের দেশটাকে আঁতুড় ঘরেই উঊঅউ ঈঙটঘঞজণ “মৃতদেশে” বা “ব্যর্থ দেশে” পরিণত করার লক্ষ্যে ‘বিশ্বাসঘাতকতা’ নামক মারণাস্ত্র ব্যবহার করল। সুদীর্ঘ অনুসন্ধানে জানা গেছে, বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যার ঘৃণ্যতম মিশনে যে সব বিশ্বাসঘাতক বাঙালী সামরিক সদস্য শারীরিকভাবে অংশগ্রহণ করেছিল, তারা পাকিস্তানী সেনাবাহিনীর সর্বোচ্চ আনুগত্য ও বিশ্বাস অর্জন করে পাকিস্তানী সেনাবাহিনীর সঙ্গে লোভনীয় উচ্চ বেতনে ডেপুটেশনে যোগদানের অকল্পনীয় সুযোগ পায় ও নির্বাচিত হয়। ১৯৭১ সালের সেপ্টেম্বর-অক্টোবরের দিকে আমেরিকার গোয়েন্দা সংস্থা সিআইএ এবং পাকিস্তানের গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই, সৌদি আরব, আরব আমিরাত, কুয়েত, কাতার, লিবিয়া, জর্ডানে কর্মরত মীরজাফর চরিত্রের বাঙালী অফিসারদের ফিরে গিয়ে বাংলাদেশের পক্ষে যুদ্ধে যোগদানের গোপন নির্দেশ দেয়। পরিকল্পিত চক্রান্তের অংশ হিসেবে বাঙালী অফিসাররা চাকরি ছেড়ে দিয়ে ভারতে চলে আসে এবং মুক্তিযুদ্ধে যোগদান করে। যদিও বাংলাদেশ তার কিছুদিন পরেই স্বাধীনতা অর্জন করাতে তাদের কোন যুদ্ধে অংশগ্রহণ করতে হয়নি। তথাপিও তারা কৌশলে তাদের নামের আগে মুক্তিযোদ্ধা উপাধি লাগাতে সক্ষম হয়। এরপর থেকে তারা নতুন সরকার ও সেনাবাহিনীর সঙ্গে মিশে গিয়ে পাকিস্তানী এজেন্ডা বাস্তবায়ন করতে শুরু করে। বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করতে আরেকটি দেশীয় বিশ্বাসঘাতক চক্র মাস্টারমাইন্ড হিসেবে কাজ করেছে। এই চক্রের হোতা ছিল খন্দকার মোশতাক, জিয়া, তাহের উদ্দীন ঠাকুর, মাহবুবুল আলম চাষী, বঙ্গবন্ধুর প্রিন্সিপাল ইকনমিক সেক্রেটারি ড. সাত্তার। এরা সকলেই বঙ্গবন্ধুর অনুকম্পায় সমাজের উচ্চ পর্যায়ের আসন পেয়েছিল অথচ এরাই রাতদিন বঙ্গবন্ধুর পাশে বসে বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করার পরিকল্পনা করেছে! খন্দকার মোশতাকের দেশদ্রোহিতার অভিযোগে শাস্তি হয়ে যেত ১৯৭১ সালেই। কিন্তু ভাগ্যক্রমে সে বেঁচে যায়। একাত্তরের প্রবাসী সরকারের অজ্ঞাতে সরকারে বিরুদ্ধে খন্দকার মোশতাক নিজে পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে পাকিস্তানের সঙ্গে কনফেডারেশনের গোপন প্রস্তাব ইরানের মোহাম্মদ রেজা শাহ পাহলভীকে পাঠায়। ভারতের মাটিতে বসে ভারত সরকার ও প্রবাসী বাংলাদেশ সরকারের আন্তর্জাতিক পররাষ্ট্র নীতি লঙ্ঘন করে খন্দকার মোশতাকের এই অপতৎপরতা দেশদ্রোহিতার পর্যায়ে পড়ে এবং সেই অপরাধে মুক্তাঞ্চল পরিদর্শনের কর্মসূচিতে অজ্ঞাত ক্রসফায়ারে তার মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করার সিদ্ধান্ত মুক্তিযুদ্ধ পরিচালনাকারী বাংলাদেশ ও ভারতের শীর্ষতম পর্যায়ে গৃহীত হয়। কিন্তু তাজউদ্দীন আহমদের অনুরোধে সেই সিদ্ধান্ত বদল করে তাকে গৃহবন্দী করে রাখা হয়। সেই খন্দকার মোশতাক দেশ স্বাধীন হবার পরে বঙ্গবন্ধুর কৃপায় বন্যা নিয়ন্ত্রণ, পানি ও বিদ্যুতমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেবার সুযোগ পায়। সুযোগ গেয়ে বিশ্বাসঘাতক খন্দকার মোশতাক প্রথমে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যা করে এবং দ্বিতীয় সুযোগে তাজউদ্দীন আহমদ জাতীয় চার নেতাকে হত্যা করে। মেজর জিয়া ছিলেন বঙ্গবন্ধুর কাছে সন্তানতুল্য। তার স্ত্রী বেগম জিয়াকে বঙ্গবন্ধু নিজের আরেক মেয়েই মনে করতেন। জেনারেল জাঞ্জুয়ার সঙ্গে অভিসারের দায়ে জিয়া যখন বেগম খালেদা জিয়াকে স্ত্রী হিসেবে আর ঘরে তুলবেন না বলে সাফ জানিয়ে দিল, তখন খালেদা জিয়া এসে হাজির হলো ধানমণ্ডি বত্রিশ নম্বর বাড়িতে, বেগম মুজিব, শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানার সামনে জুড়ে দিল কান্না। অগত্যা সবাই মিলে বঙ্গবন্ধুকে বিষয়টি জানালে তিনি জিয়াকে জরুরী তলব করে আনেন। এবং বেগম জিয়াকে তাঁর কন্যার মর্যাদা দিয়ে মেজর জিয়াকে সস্ত্রীক বাংলোয় ফিরে যেতে নির্দেশ দেন। ১৯৭৪ সালের দিকে ভারতীয় কূটনীতিক শশাঙ্ক এস ব্যানার্জীর একটি রিপোর্টের ভিত্তিতে ভারতের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী শেখ মুজিবুর রহমানকে সতর্ক করে বার্তা পাঠানোর পর শেখ মুজিবুর রহমান বলেছিলেন, ‘জিয়াউর রহমান ও ফারুক রহমান আমার ছেলের মতো, ছেলেরা কখনও পিতা-মাতাকে হত্যা করে না’। বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের ভিজিবল ক্রিমিন্যাল ফারুক ও রশীদের সঙ্গে পর্দার আড়াল থেকে সবকিছু নির্ধারণ ও নিয়ন্ত্রণ করেছিল জিয়াউর রহমান। সে সম্পর্কে প্রখ্যাত মার্কিন সাংবাদিক লরেন্স লিফৎসুলজের ‘এনাটমি অফ এ ক্যু’ প্রতিবেদনটির সত্যতা মেলে তখনই যখন ফারুক এবং রশীদ উভয়েই ১৯৭৬ সালের আগস্ট মাসে সানডে টাইমসের সাংবাদিক এন্থনি মাসকারেনহাসকে ১৫ আগস্ট প্রসঙ্গে সাক্ষাতকার দেয়। ফারুকের ভাষ্যমতে – সুস্পষ্টভাবেই প্রথম পছন্দ ছিল জেনারেল জিয়া যে তাদের মতোই মনেপ্রাণে একই মতাদর্শের ছিল। তার সঙ্গে ১৯৭৫ সালের ২০ মার্চ তারা দেখা করে কিন্তু অতি চতুর জিয়াউর রহমান কূটকৌশলে বিষয়টির প্রতি সমর্থন জানিয়ে বলেছিল– ‘আমি সিনিয়র অফিসার, তাই তোমাদের সঙ্গে এই টিমে আমি সরাসরি সক্রিয় হতে পারি না, তবে তোমরা জুনিয়র অফিসাররা যদি তাকে (বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব) হত্যা করতে চাও, তবে গো এহেড’। অর্থাৎ জিয়া মনে মনে চাইছিল, বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করা হোক, কিন্তু এই হত্যাকাণ্ড সফল হবে কি হবে না সেটি নিয়ে দ্বিধাগ্রস্ত জিয়াউর রহমান নিজেকে আড়ালে রাখারই সিদ্ধান্ত নেয়। বর্বরতম হত্যাযজ্ঞের কিছু পরেই খুনী কর্নেল রশীদ ফোন করে সেনানিবাসে অবস্থানরত ব্রিগেডিয়ার শাফায়াত জামিলকে। বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যা করা হয়েছে জানতে পেরে হতভম্ব ও উদভ্রান্ত অবস্থায় শাফায়াত জামিল ছুটে যান কাছেই উপ সেনাপ্রধান জিয়াউর রহমানের বাসায়। উত্তেজিত অবস্থায় দরজা ধাক্কাতে থাকেন তিনি, বেরিয়ে আসেন জিয়া। পরনে সিøপিং ড্রেসের পাজামা ও স্যান্ডো গেঞ্জি। এক গালে শেভিং ক্রিম লাগানো। শাফায়াত উদ্বিগ্ন কণ্ঠে বললেন, ‘দ্য প্রেসিডেন্ট ইজ কিল্ড’ শুনে জিয়া অবিচলিত। তার শান্ত প্রতিক্রিয়া- ‘প্রেসিডেন্ট ইজ ডেড সো হোয়াট? ভাইস প্রেসিডেন্ট ইজ দেয়ার। গেট ইউর ট্রুুপস রেডি। আপহোল্ড দ্য কনস্টিটিউশন’। মুজিব হত্যার প্রধান বেনিফিসিয়ারি ছিল জিয়াউর রহমান। জিয়াউর রহমান ছিল শেখ মুজিব হত্যার মাস্টারদের মাস্টার মাইন্ডার। বিশ্বাসঘাতকতার ইতিহাস এই বাংলায় বার বার ফিরে এসেছে। নবাব সিরাজউদ্দৌলার আমলে তাঁর সবচেয়ে বিশ্বস্ত অনুসারী উমিচাঁদ সভায় এসে নবাব সম্পর্কে বিভিন্ন গোপন খবর জেনে কাশিমবাজার কুঠিতে চক্রান্তকারীদের কাছে যেমনিভাবে পৌঁছে দিত, ঠিক তেমনি বঙ্গবন্ধু হত্যার ষড়যন্ত্রেও ঢাকার আগামসিহ লেনে খন্দকার মোশতাকের তৈরি দ্বিতীয় কাশিমবাজার কুঠিতে গোপন বৈঠকে বঙ্গবন্ধুর একজন অত্যন্ত স্নেহের ঘনিষ্ঠ অনুসারী তাহেরউদ্দীন ঠাকুর এসে নিয়মিত হাজিরা দিত। দিনে সে ছিল মুজিব ভক্ত, রাতে মোশতাকের অনুসারী। মাহবুবুল আলম চাষী, মোশতাক ও তাহেরউদ্দিন ঠাকুর এই তিন ষড়যন্ত্রকারী যারা ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধ নস্যাত করে যুদ্ধবিরতির ব্যর্থ পাঁয়তারা করছিল, তারা ১৫ আগস্টের হত্যাকাণ্ডের মাধ্যমে তাদের সেই মহাপরাজয়ের প্রতিশোধ তুলল। এদের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে যুক্ত ছিল বঙ্গবন্ধুর প্রিন্সিপাল ইকোনমিক সেক্রেটারি ড. সাত্তার। বিশ্বাসঘাতক ড. সাত্তার বঙ্গবন্ধুর পাশে কী বেশে ছিল তা বলতে একটি ঘটনার বর্ণনা করা যেতে পারে, ‘একবার সমাজতন্ত্রের মডেল উদ্বোধন করে মেহেরপুর-পঞ্চগ্রাম থেকে ফেরার পথে ড. সাত্তার কুমিল্লা উন্নয়ন একাডেমিতে গেল। কথায় কথায় সে জানাল, প্রেসিডেন্ট (বঙ্গবন্ধু) তাকে খুব স্নেহ এবং বিশ্বাস করেন। আর সেও প্রেসিডেন্টকে খুব শ্রদ্ধা করে। শেখ মুজিব কাঁঠাল ও ছোট মাছ খেতে খুব পছন্দ করেন। তাই সে তাঁর জন্য কাঁঠাল এবং ছোট মাছ ভাজা করে নিয়ে যাচ্ছে’। অথচ বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পরে সেদিন সন্ধ্যায় টিভিতে এসে ড. সাত্তার বলল, ‘আমাদের ছেলেরা এই মহান দায়িত্ব পালন করে নিরাপদে ফিরে আসতে পারার জন্য আল্লাহকে ধন্যবাদ’। কী নির্মম বিশ্বাসঘাতকতা! বঙ্গবন্ধুর হত্যাকা-ের কথা জানতে পেরে তাজউদ্দীন আহমদ তাঁর স্ত্রী জোহরা তাহউদ্দীনকে বলেছিলেন, “বঙ্গবন্ধু জানতেও পারলেন না- কে তার শত্রু আর কে তার বন্ধু ছিল”। তবে বিশ্বাসঘাতকদের শেষ পরিণতি সবসময় হয় ভবিষ্যতের জন্য শিক্ষণীয়। পঁচাত্তরের প্রধান ‘মীর জাফর’ খন্দকার মোশতাক মাত্র ৮১ দিনের মাথায় ক্ষমতাচ্যুত হয়ে চুরির দায়ে জেলে যায়। জেল থেকে মুক্তি পেয়ে আর কোনদিন জনসম্মুখে বেরোয়নি। নিজের ঘরে দুরারোগ্য ব্যধিতে ধুঁকে ধুঁকে মারা যায় খন্দকার মোশতাক। মানুষের আদালতে দ- এড়াতে পারলেও মাহবুবুল আলম চাষী ইতিহাসের দ- এড়াতে পারেনি। হজ করতে যাওয়ার পথে তার গাড়িতে গ্যাস লিক হয় এবং দরজা-জানালা বন্ধ সেই গাড়িতে আটকে পড়ে শরীর পুড়ে ছাই হয়ে গিয়েছিল তার। বুলেটের আঘাতে আর একজন বিশ্বাসঘাতক মেজর জিয়ার সমস্ত অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ, হাড় মাংস, শিরা-উপশিরা ছিন্ন-বিচ্ছিন্ন অবস্থায় মাটিচাপা পড়ে। পরবর্তীতে মাটি খুঁড়েও বিশ্বাসঘাতকের লাশটি শনাক্ত করা সম্ভব হয়নি। তবে খুনী জিয়ার মরণোত্তর বিচার তরুণ প্রজন্মের ন্যায্য দাবি। ফাঁসিকাষ্ঠে ঝুলিয়ে অনেকের বিচার হয়েছে এই বাংলার বুকে। কেউ কেউ মৃত্যুর পরোয়ানা মাথায় নিয়ে বিদেশের মাটিতে ফেরারি হয়ে আছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকার বিদেশে পালিয়ে থাকা আত্মস্বীকৃত খুনীদের ফিরিয়ে এনে ফাঁসির কাষ্ঠে ঝুলাবেন, এটাই তরুণ প্রজন্মের প্রাণের প্রত্যাশা। লেখক : সভাপতি, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ
×