ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

কম খরচে ভ্রমণ

প্রকাশিত: ০৬:৩২, ১৪ আগস্ট ২০১৭

কম খরচে ভ্রমণ

ভ্রমণ করতে কে না চায়। সবাই কম বেশি ঘুরতে পছন্দ করে। তবে বিনে পয়সায় ভ্রমণ সবার জন্য সম্ভব না হলেও স্বল্প খরচে ভ্রমণ তো করাই যায়। আপনার সত্যিকারের ভ্রমণপিপাসু মন আর খানিকটা সচেতনতাই আপনার ভ্রমণের খরচ কমিয়ে দিতে পারে শতকরা ৩০ থেকে ৪০ ভাগ। ভ্রমণের খরচের কমানোর কিছু উপায় নিয়েই সাজানো হয়েছে আজকের এই লেখাটি। স্বল্প খরচে যারা ভ্রমণ করতে চান, তাদের জন্য লেখাটি বেশ কাজে দেবে। যেখানে যেতে চাচ্ছেন, সেই স্থান সম্পর্কে জানুন ভালমতো কোন জায়গা সম্পর্কে ঠিকঠাক না জেনেই হুট করে চলে গেলে খরচ যেমন বেড়ে যায় বহুগুণ, তেমনি পদে পদে বিপদেও পড়তে হয়। অনেক সময় পূর্ব ধারণা না থাকার কারণে ভ্রমণের আনন্দটাই মাটি হয়ে যায়। তাই যেখানে যাবেন বলে ঠিক করেছেন, সেই জায়গা সম্পর্কে রীতিমতো পড়াশোনা করে নিন। সেখানকার মানুষজন, আবহাওয়া, প্রকৃতি, ভ্রমণের উপযুক্ত সময়, থাকার জায়গা, জিনিসপত্রের দরদাম, খাবারদাবার, ঐতিহাসিক স্থান হলে এর ইতিহাস, যানবাহন ইত্যাদি সম্পর্কে খুঁটিনাটি তথ্যগুলো জানার চেষ্টা করুন। গুগল, ইউটিউব, বিভিন্ন ট্রাভেল ব্লগের সাহায্যে খুব সহজেই কাজটি করা যেতে পারে। এতে আপনার ভ্রমণ পরিকল্পনা সাজাতে সুবিধা হবে। আগে সেই জায়গায় গিয়েছেন এমন কারও সঙ্গে কথা বলুন এই পদ্ধতিটি বেশ কাজে দেয়। যিনি আগে একবার ওই স্থান ঘুরে এসেছেন, তিনি আপনাকে বেশ ভাল ধারণা দিতে পারবেন। থাকা খাওয়ার খরচ, গাইড, সেখানকার মানুষজন, নিয়মকানুন সম্পর্কে তার রয়েছে বাস্তব ধারণা। তার পরামর্শ নিন। ভ্রমণ পরিকল্পনা সাজান ভ্রমণ পরিকল্পনা সাজানো খুব জরুরী বিষয়। আপনার বাজেট, সদস্য সংখ্যা, সময় মাথায় রেখে ভ্রমণ পরিকল্পনা সাজান। কিছু অতিরিক্ত বাজেট রাখুন, হোক না সামান্য, বিপদে-আপদে কাজে লাগতে পারে। চেষ্টা করুন দলীয় ভ্রমণের একা নয়, বরং চেষ্টা করুন দলীয়ভাবে ভ্রমণ করতে। এতে খরচ যেমন কমবে, তেমনি বিপদে-আপদে বেশ ভাল সাপোর্টও পাবেন। দলীয়ভাবে ভ্রমণ করলে খরচগুলো ভাগাভাগি করে নেয়া যায়। ধরা যাক, ট্যাক্সি ভাড়া ১,০০০ টাকা। একা গেলে পুরো খরচ আপনাকে একাই বহন করতে হতো। কিন্তু যদি চারজনের গ্রুপ হয়, তাহলে সেই খরচ নেমে আসবে ২৫০ টাকায়। এছাড়াও হোটেল, গাইড, খাবারের খরচও ভাগাভাগি করে নিতে পারেন। দলীয় ভ্রমণ আপনার ভ্রমণ খরচের অনেকটাই সাশ্রয় করবে। তবে হ্যাঁ, দলের সদস্য নির্বাচনের ব্যাপারে খেয়াল রাখবেন। ধরুন, যাচ্ছেন ট্রেকিং করবেন বলে। কিন্তু স্পটে গিয়ে কেউ বলল সে ট্রেকিং করবে না, তখন একটা সমস্যা সৃষ্টি হবে। আবার অনেকেরই থাকা-খাওয়ার ব্যাপারে অতিরিক্ত বাছবিচার থাকে। অনেকে আবার রুম শেয়ার করতে পারেন না। দলীয় ভ্রমণের আগে থেকেই তাই সমগ্র ভ্রমণ পরিকল্পনা গ্রুপের সবার সঙ্গে শেয়ার করে নেয়া ভাল। এতে করে অনাকাক্সিক্ষত সমস্যার সম্ভাবনা কমে যায়। চেষ্টা করুন অফ সিজনে যেতে অফ সিজনে থাকা-খাওয়ার খরচ অনেকটাই কম লাগবে। সেজন্য অফ সিজনে যেতে পারেন। আবার অফ সিজনের আগে বা পরে কাছাকাছি কোন সময়েও যেতে পারেন। তখনও খরচ কিছুটা কম লাগবে। কমিউনিটি ট্যুরিজমের সাহায্য নিন অনেক জায়গার নির্দিষ্ট কমিউনিটি ট্যুরিজম থাকে। তাদের সাহায্য নিতে পারেন। যেমন- আপনি যদি রাঙ্গামাটি বা বান্দরবান এলাকা ভ্রমণে যান, তবে সেখানকার কমিউনিটি ট্যুরিজমের সাহায্যে হোটেলের বদলে আদিবাসীদের সঙ্গে থাকা-খাওয়ার সুযোগ পেতে পারেন। এতে খরচ যেমন কমবে, তেমনি স্থানীয় মানুষদের কাছাকাছি থাকার মাধ্যমে তাদের আচার-আচরণ-রীতিনীতি সম্পর্কে জানার সুযোগও পাবেন।
×