ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

অদক্ষতায় মিলছেনা বৈদেশিক ঋণ

প্রকাশিত: ০০:০৭, ১৩ আগস্ট ২০১৭

অদক্ষতায় মিলছেনা বৈদেশিক ঋণ

অর্থনৈতিক রিপোর্টার॥ অদক্ষতা ও অব্যবস্থাপনায় কমছে বৈদিশিক ঋণ ও অনুদান। ফলে অর্থবছরের শুরুতে পরিকল্পনা করা হলেও বছর শেষে পাওয়া যাচ্ছে না পুরোটা। অর্থনীতিতে চাহিদা থাকলেও বাস্তবায়নে গিয়ে অদক্ষতার কারণে ব্যবহার করা যাচ্ছে ‍না বিদেশী ঋণ ও অনুদান। ফলে উন্নয়ন সহযোগীরা নতুন ঋণ প্রদানে আগ্রহী হচ্ছে না। জানা যায়, অভ্যন্তরীণ উৎসের আয় কাংখিত না হওয়ায় বাজেট বাস্তবায়নে বৈদিশিক নির্ভরতা বাড়ছে সরকারের। বিশ্লেষকরা বলছেন, বৈদিশিক অর্থের ব্যবহার করতে হবে উচ্চ প্রবৃদ্ধি, বিনিয়োগ ও কর্মসংস্থান সহায়ক প্রকল্পে। না হলে দেনা ও সুদ পরিশোধ গলার কাঁটা হয়ে দেখা দিতে পারে। যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশ পুনর্গঠনে স্বাধীনতার পর থেকেই বৈদিশিক ঋণ ও অনুদান নিতে শুরু করে বাংলাদেশ। সময়ের পরিক্রমায় নিজস্ব সক্ষমতা বেড়েছে ঠিকই তবে কমেনি বৈদিশিক নির্ভরতা। উচ্চ প্রবৃদ্ধি অর্জন, বিনিয়োগ ও কর্মসংস্থানের জন্য বৈদেশিক সহায়তা এখনো ভরসা বাংলাদেশের। অথচ কাংখিত মাত্রায় তা মিলছে না। আর পাওয়া গেলেও আছে নানান শর্তের বেড়াজাল। অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) তথ্য মতে, গত অর্থবছরে উন্নয়ন সহযোগীদের কাছ থেকে পাওয়া গেছে ৩৩৯ কোটি ৬১ লাখ ডলার। আগের অর্থবছরের চেয়ে যা ৭৬ কোটি ৮৯ লাখ ডলার কম। কমেছে অনুদান সহায়তাও। একই সময়ে বাংলাদেশকে সুদ ও আসলে পরিশোধ করতে হয়েছে ১১৪ কোটি ৪৩ লাখ ডলার। বাজেটে ঘাটতি অর্থায়নে এবার ৬৫০ কোটি ডলার জোগাড়ের লক্ষ্য ধরা হয়েছে এই উৎস থেকে। বিশ্লেষকরা বলছেন, একদিকে নিজস্ব অর্থের সংস্থান করার চ্যালেঞ্জ, অন্যদিকে ঋণ নিয়ে ঘাটতি বাজেট মেটানোর কারণে দায় বাড়ছে সরকারের। তাদের মতে, বৈদেশিক মুদ্রার আয় না বাড়লে দেনা পরিশোধের মাত্রা আরো অসহনীয় হয়ে উঠতে পারে। মধ্য আয়ের দেশে রূপান্তরের যাত্রায় বাংলাদেশকে প্রয়োজনের তাগিদেই অগ্রাধিকার ভিত্তিতে বৈদেশিক ঋণসহায়তা নিতে হবে। একই সাথে বাড়াতে হবে বাজেট বাস্তবায়নের দক্ষতা, রাখতে হবে ঋণের স্বাভাবিক প্রবাহও।
×