ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

মদিনায় আবাসন সমস্যার কবলে ৬৪১ বাংলাদেশী হজযাত্রী

প্রকাশিত: ০৫:৩৪, ১৩ আগস্ট ২০১৭

মদিনায় আবাসন সমস্যার কবলে ৬৪১ বাংলাদেশী  হজযাত্রী

বিডিনিউজ ॥ সৌদি আরবের মদিনায় হোটেলের ব্যবস্থা না পেয়ে ৬৪১ বাংলাদেশী হজযাত্রী দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন। চট্টগ্রামের শাহ আমানত হজ কাফেলার এ হজযাত্রীদের মধ্যে এস আলম গ্রুপের ২৩৩ জন রয়েছেন। হজযাত্রীরা অভিযোগ করে বলেন, নির্ধারিত হোটেলে না রেখে বিভিন্ন নন-এসি প্রতিটি কক্ষে ৮ থেকে ১০ হাজীকে ঠাসাঠাসি করে রাখা হয়েছে। যেখানে রুমে বাথরুমও নেই। এতে অনেকে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। বারবার হোটেল পরিবর্তনসহ ঘণ্টার পর ঘণ্টা রাস্তায় ব্যাগেজ নিয়ে দাঁড় করিয়ে রাখা হয়েছে অনেককে। স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার বিকেলে এস আলম গ্রুপের পক্ষে মানবাধিকার আইনজীবী জিয়া হাবীব আহসান ২০০ কোটি টাকার ক্ষতিপূরণ ও প্রতারণার অভিযোগে শাহ আমানত হজ কাফেলার বিরুদ্ধে উকিল নোটিস দেন। এতে সমস্যাটি সমাধানে ২৪ ঘণ্টার সময় বেঁধে দেয়া হয়। এস আলম গ্রুপ নোটিসে অভিযোগ করে- তাদের শিল্প গ্রুপ গত সোমবার প্রতি বছরের মতো এবারও ২৩৩ জনকে হজে পাঠান। যাদের ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব দেন চট্টগ্রামের শাহ আমানত হজ কাফেলাকে। কিন্তু হজ কাফেলাটি হাজিদের মদিনায় নিয়ে যাওয়ার পর হোটেলের ব্যবস্থা করে দেননি। ফলে চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন হাজিরা। নোটিসে আরও বলা হয়, হজ এজেন্সির একটি লাইসেন্সে ৩০০ হজযাত্রী নেয়ার কথা থাকলেও শাহ আমানত হজ কাফেলা বিভিন্ন লাইসেন্স ব্যবহার করে প্রায় ১৬০০ হাজি মদিনা মনোয়ারায় নিয়ে যায়। ফলে হাজিরা দুর্ভোগের শিকার হন। এ ব্যাপারে শাহ আমানত হজ কাফেলার ব্যবস্থাপক মোহাম্মদ ইয়াছিন বলেন, মক্কায় আমরা হাজিদের জন্য যে বাড়ি ভাড়া করেছি সে বাড়ির মালিকানা নিয়ে সৌদি দুই ভাইয়ের বিরোধ চলছে। সে কারণে বাড়িটি সিলগালা করে দিয়েছে সৌদি বলদিয়া কর্তৃপক্ষ। হঠাৎ এ সমস্যার কারণে আমাদের হাজিরা একটু দুর্ভোগে পড়েছেন। আমরা একটি নতুন বাড়ি ভাড়া করে হাজিদের থাকার ব্যবস্থা করছি। মোহাম্মদ ইয়াছিন হজযাত্রীদের এ দুর্ভোগের জন্য দুঃখ প্রকাশ করেন। অন্যদিকে মদিনা হজ মিশনে কর্মরত কাউন্সিলর মোঃ জহির আহমেদ ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে হজযাত্রীদের অন্যত্র বাসা ভাড়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে বলে জানান। শাহ আমানত হজ কাফেলার সৌদি আরবের মদিনায় কর্মরত কর্মকতা সাইফ উদ্দিন বলেন, শাহ আমানত হজ কাফেলার অধীনে এ পর্যন্ত ৬৪১ হজযাত্রী মদিনা জওরাজ ইলিয়াছ হোটেলে অবস্থান করছেন। হোটেলের অধিকাংশ রুমেই এসি রয়েছে। বাকি কয়েকটিতে শীঘ্রই ঠিক করা হবে। নতুবা হাজিদের অন্য কোথাও সরিয়ে নেয়া হবে। মদিনায় হজ মিশনের হাউজিং বিভাগের কর্মকর্তা মোঃ হামিদ বলেন, সৌদি হজ মন্ত্রণালয় ও হজ মিশনের কর্মকর্তারা ইতোমধ্যে হোটেলটি পরিদর্শন করে সমস্যা চিহ্নিত করে শীঘ্রই সমাধানের তাগিদ দিয়েছেন। নতুবা আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে।
×