ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

সুপ্রীমকোর্টকে রাষ্ট্রের প্রতিপক্ষ বানানোর ষড়যন্ত্র চলছে ॥ শাহরিয়ার কবির

প্রকাশিত: ০৫:৩৩, ১৩ আগস্ট ২০১৭

সুপ্রীমকোর্টকে রাষ্ট্রের প্রতিপক্ষ বানানোর ষড়যন্ত্র চলছে ॥ শাহরিয়ার কবির

স্টাফ রিপোর্টার, রাজশাহী ॥ লেখক-সাংবাদিক শাহরিয়ার কবির বলেছেন, সুপ্রীমকোর্ট সংবিধানের অভিভাবক। এ দেশের মানুষের দাঁড়াবার শেষ জায়গা। সুপ্রীমকোর্ট যখন সংবিধানের মর্যাদা রক্ষার জন্য রায় দেয়, লড়াই করে আমরা তাকে স্বাগত জানাই- কিন্তু সুপ্রীমকোর্ট যখন কোন বিতর্কিত রায় দেয় তখন গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের নাগরিক হিসেবে আমাদের তার প্রতিবাদ জানাতে হবে। ষোড়শ সংশোধনীর রায়ের মধ্য দিয়ে আজকে নজিরবিহীন সঙ্কট তৈরি করে সুপ্রীমকোর্টকে রাষ্ট্রের প্রতিপক্ষ বানানোর ষড়যন্ত্র চলছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, কোন ব্যক্তি যেন সুপ্রীমকোর্টকে রাষ্ট্রের প্রতিপক্ষ হিসেবে দাঁড় করাতে না পারে সে ব্যাপারে আমাদের সতর্ক থাকতে হবে। তিনি বলেন, সংবিধান এ দেশের সর্বোচ্চ আইন। সংবিধান অনুযায়ী এ রাষ্ট্রের সার্বভৌম ক্ষমতার মালিক জনগণ। জনগণের নির্বাচিত প্রতিনিধিরা সংসদে বসে আইন পাস করবেন। এ সংসদ রাষ্ট্রপতিকে প্রধান বিচারপতি নিয়োগ দেয়ার ক্ষমতা দিয়েছেন। এ সংসদ যদি রাষ্ট্রপতিকে ইমপিচ করতে পারে তাহলে বিচারপতিদের কেন ইমপিচ করতে পারবে না? এটা পাকিস্তানী প্রজাতন্ত্র নয়, মিলিটারি প্রজাতন্ত্র কিংবা জাজেস প্রজাতন্ত্র নয়। এটা এখনও গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ। জনগণের ট্যাক্সের টাকায় যারা পরিচালিত হন তাদের দুর্নীতি অনিয়মের তদন্তের দায়িত্ব জনগণের প্রতিনিধিদের হাতেই থাকতে হবে। সুপ্রীমকোর্ট সরকারের সমালোচনা করতে পারে কিন্তু সংবিধান সংসদকে যে ক্ষমতা দিয়েছে সেটা মানতে হবে। ঢালাওভাবে সংসদের সমালোচনা কোনভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। শনিবার বিকেলে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজের ডাঃ কাইছার রহমান অডিটোরিয়ামে আয়োজিত এক স্মরণসভায় ‘মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও আইনের শাসন’ শীর্ষক বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। প্রগতিশীল আন্দোলনের সংগঠক প্রয়াত ডাঃ সৈয়দ সাফিকুল আলমের দ্বিতীয় মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে এ স্মরণসভার আয়োজন করে রাজশাহী মুক্তিযুদ্ধ পাঠাগার ও একাত্তরের ঘাতক-দালাল নির্মূল কমিটি রাজশাহী জেলা ও মহানগর শাখা। প্রধান অতিথির বক্তব্যে শাহরিয়ার কবির আরও বলেন, প্রশাসনের বিভিন্ন জায়গায় পাকিস্তানপন্থী জামায়াত-বিএনপির চর বসে আছে। এ দেশের পার্লামেন্টের কাছে দাবি জানাই-রাজাকার-আলবদরসহ যে সব সংগঠন পাকিস্তানী হানাদারদের পক্ষ নিয়ে মুক্তিযুদ্ধে গণহত্যা চালিয়েছে তাদের বিচার করতে হবে। এসব অপরাধী সংগঠনের সঙ্গে যারা জড়িত তাদের প্রজাতন্ত্রের পদ থেকে অব্যাহতি দিতে হবে। মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস অস্বীকার আইন পাস করতে হবে। ভুলে গেলে চলবে না এ দেশ দাঁড়িয়ে আছে ত্রিশ লাখ শহীদের আত্মত্যাগের ওপর।
×