ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

শেরপুরের ভোগাই নদীর ১৩ স্থানে ভাঙ্গন ॥ অর্ধশতাধিক গ্রাম প্লাবিত

প্রকাশিত: ২৩:৫৬, ১২ আগস্ট ২০১৭

শেরপুরের ভোগাই নদীর ১৩ স্থানে ভাঙ্গন ॥ অর্ধশতাধিক গ্রাম প্লাবিত

নিজস্ব সংবাদদাতা, শেরপুর ॥ দুই দিনের টানা বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলার পাহাড়ি নদী ভোগাইয়ের অন্তত ১৩টি স্থানে তীব্র ভাঙ্গন শুরু হয়েছে। নদীর তীর গড়িয়ে প্লাবিত হচ্ছে চেল্লাখালী নদীর পানি। এতে পৌরসভাসহ এ উপজেলার অন্তত অর্ধশত গ্রাম আকস্মিক বন্যা কবলিত হয়ে পড়েছে। শনিবার সকালে বন্যা কবলিত বেশকিছু এলাকা পরিদর্শন করেছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তরফদার সোহেল রহমান। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, নালিতাবাড়ী উপজেলার চেল্লাখালী নদীর তীর প্লাবিত হয়ে বিপদসীমার উপর দিয়ে ঢলের পানি আশপাশের গ্রামে প্রবেশ করছে। এতে ফসলি জমি, ঘরবাড়ি, পুকুরের মাছসহ সবকিছুই বন্যা কবলিত হয়ে পড়েছে। এছাড়া ভোগাই নদীর তীরবর্তী নয়াবিল ইউনিয়নের হাতিপাগারে একটি, রামচন্দ্রকুড়া ইউনিয়নের মন্ডলিয়াপাড়া ও ভজপাড়ায় ২টি, নালিতাবাড়ী ইউনিয়নের নিচপাড়া ও খালভাঙ্গায় ৩টি, বাঘবেড় ইউনিয়নের শিমুলতলা এলাকায় ৩টি এবং পৌরসভার নিচপাড়ায় একটি, খালভাঙ্গায় একটি ও উত্তর গড়কান্দা এলাকার ২টি মিলে মোট ১৩টি স্থানে ভাঙ্গন দেখা দিয়েছে। ভাঙ্গনের আশংকা রয়েছে আরও বেশকিছু এলাকায়। সবমিলে ভাঙ্গনকবলিত নদী পাড়ের পরিমাণ প্রায় হাজার মিটার ছাড়িয়ে যাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। টানা বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে উপজেলার অন্তত ৮টি ইউনিয়ন আকস্মিক বন্যার কবলে পড়েছে। ওইসব এলাকার ফসলি জমি, বাড়ি-ঘর তলিয়ে গেছে। পুকুর গড়িয়ে ভেসে গেছে কোটি কোটি টাকার মাছ। পানির তোড়ে বিধ্বস্ত হয়ে পড়েছে অসংখ্যা কাঁচা ও পাঁকা রাস্তা। বন্যা কবলিত হয়ে পড়ায় বেশকিছু বিদ্যালয়ে ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। বেশকিছু এলাকায় বৈদ্যুতিক খুঁটি উপড়ে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে বিদ্যুত ব্যবস্থা। সীমাহীন দুর্ভোগে পড়েছে কয়েক হাজার মানুষ। বন্যা কবলিতরা জানান, শুক্রবার মধ্যরাতে ভোগাই নদীর বাঁধের বিভিন্ন অংশ ভেঙ্গে আকস্মিক ঢল নামে। একই সময়ে দু’কুল উপচে ঢল নামে চেল্লাখালীর আশপাশ এলাকায়ও। ওইসময় তারা বাড়ি-ঘর ছেড়ে আশপাশের উচু এলাকায় আশ্রয় নেন।
×